পারফেক্টশনিস্ট হতে গিয়ে সময় যেন নষ্ট না হয়!

পারফেক্টশনিস্ট হতে গিয়ে সময় যেন নষ্ট না হয়!
খেয়াল করলে দেখা যায়, কর্পোরেট দুনিয়া হোক বা শিক্ষাজগত, কিংবা সরকারি চাকরি সব ক্ষেত্রেই কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির নাম উঠে আসে। এমন কিছু নাম, যাঁরা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কিছু করেননি, কিন্তু যেটুকু করেছেন তা আর পাঁচজনের তুলনায় হয়তো একটু বেশি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন, একটু আলাদা ভাবে করেছেন। আর এই আলাদা পদ্ধতি এইসব ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার হাতিয়ার হয়ে গিয়েছে। এগিয়ে গেছেন সকল প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে।
পারফেক্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা নয়
বর্তমানে জেন ওয়াইরা অপেক্ষা করে থাকেন নিখুঁত হওয়ার জন্য। কিন্তু পরবর্তী পর্যায় দেখা যায় তাতে অনেক সময় চলে গেছে। কাজ করতে করতেই পারফেক্ট হয়ে যাবে। আর এই র‍্যাট রেসের সময় নষ্ট করার কোনও মানে নেই৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, নেতৃত্ব দিতে নতুনরা পিছিয়ে আসে। কিন্তু বাস্তব বলছে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রয়োজন মূল্যবোধ এবং দক্ষতা। কেওই পরিপূর্ণ নন৷ কিন্তু তা প্রকাশ করলে চলবে না। শুধুমাত্র সবাইকে চালনা করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে।
জ্ঞানকে সুসংহত করা
নিজের কাজ সাফল্যের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, যে বিষয় জ্ঞান স্বল্প, সে বিষয় পড়াশোনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে বিষয় দুর্বলতা রয়েছে সে বিষয় নিজেকে মাস্টার প্রমাণ করা হলো সবচেয়ে কঠিন কাজ। দৈনন্দিন জীবনে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে এগিয়ে থাকতে গেলে পড়াশোনা এবং জ্ঞান অর্জন করা খুব জরুরি।
দল তৈরি
কর্মক্ষেত্রে সবাই বন্ধু নয়৷ কিন্তু কিছু মানুষ থাকবেন, যারা সর্মথন করবেন। এদেরকে নিয়ে একটা দল তৈরি করতে হবে। তবে দায়িত্ব হবে অফিসে সবার সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখা। বস যদি কখনও কাজে অসন্তুষ্ট হয়, এই দল তখন এগিয়ে এসে সমর্থন করতে পারবে।
ভেবেচিন্তে, বুঝেশুনে পা ফেলুন 
হঠাত্‍ দেখলেন বিনাকারণে অফিসে রেপুটেশন খারাপ হতে শুরু করেছে। আর তা হয়তো ভবিষ্যতে কেরিয়ারে ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই পরিস্থিতি বুঝে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বসকে কাজ সংক্রান্ত কোনও কথা অফিসে জানাতে না পারলে মেল করতে হবে।৷ এছাড়াও আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো পোশাক। এমন কোনও পোশাক পড়ে অফিসে যাওয়া যাবে না, যা দৃষ্টিকটু দেখায়।
 
ব্যক্তিগত জীবন
সাফল্যের অপর গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মক্ষেত্র এই দুটো জায়গাকে কখনওই এক করা উচিত নয়। দুটো বিষয়কেই পৃথকভাবে নজর দেওয়া জরুরি। যে কোনও একটা দিককে প্রাধান্য দেওয়া ঠিক নয়। তবে ব্যক্তিগত জীবনে সবাইকে খুশি রাখতে পারলে এবং নিজের শান্তি থাকলে কাজের জায়গায় সাফল্য আসা খুব সহজ।
প্রতিভাটাই বড় কথা
সর্বদা মাথায় রাখা উচিত, নিজের প্রতিভাটাই সবথেকে বড় কথা। কেউ কিছু বললেও নিজের ক্ষমতার ওপর ভরসা রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
আত্মবিশ্বাস 
সাফল্যের অন্যতম প্রধান দিক হল নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা৷ শুধু তাই নয়, যে কোনও কাজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মনের জোর থাকাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এক কথায় বলা যায় একে অপরের পরিপূরক। আত্মবিশ্বাস থাকাটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, তবে তা বেশি প্রয়োজন নতুনদের। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির জন্য পুরনোরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার ঝু‌িঁক নিয়ে থাকেন। কিন্তু নতুনদের অনেকে সংযমী হওয়ার ফলে পদোন্নতির কথা সহজে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে পারেন না। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রে পদোন্নতির বিষয়টা একটু ধীর গতিতে হয়। নতুনদের সাহস করে সদর্থক মনোভাব রেখে তাঁদের সুবিধা বা অসুবিধার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব, যখন তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সফলভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *