হুতি কারা, কেনই বা তারা যুদ্ধে

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে লাগাতার হামলা চালিয়ে  নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। তাদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের শোধ নিচ্ছে তারা। যার ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। হুথিদের ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ইয়েমেনে হুথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলা শুরু করে। হুতি কারা, কেনই বা তারা এই যুদ্ধে জড়াল, চলুন আদ্যোপান্ত জেনে নেই।

ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বাড়ল। ১২ জানুয়ারি ভোর থেকে ইয়েমেনে হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ হামলা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। গত বছরের শেষ থেকে লোহিত সাগরে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এই গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের শোধ নিচ্ছে তারা। এতে বিশ্বের বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো তাদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথে সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতিতে। হুতিদের সামাল দিতে তাদের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বাহিনী।

হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের উত্তাপ আরও বৃহৎ অঞ্চল-জুড়ে ছড়িয়ে দিতে পারে।

হুতি বিদ্রোহী কারা?

আনুষ্ঠানিক নাম আনসারুল্লাহ। স্থানীয়ভাবে তাদের হুতি বলে ডাকা হয়। তারা মূলত শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন যা ১৯৯০-এর দশকে ইয়েমেনে উদ্ভূত হয়েছিল। এটি প্রধানত যায়দি শিয়াদের নিয়ে গঠিত, সংগঠনটির নাম মূলত নেতৃত্বদানকারী হুতি গোত্রদের থেকে এসেছে। ইয়েমেনের হুতিদের সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। শিয়া মতাম্বলী এই গোষ্ঠী ইয়েমেনের স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় প্রতিবেশী সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি মতাবলম্বী অন্যান্য আরব দেশকে সঙ্গে নিয়ে হুতিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ ঘোষণা করে।

ধারণা ও অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ করা হয়, হুতিদের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেয় শিয়াপ্রধান দেশ ইরান। তবে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইরান কীভাবে হুতিদের সমর্থন বা সহায়তা দিচ্ছে, সে সম্পর্কে বিশ্ব গণমাধ্যম থেকে সুনির্দিষ্টভাবে তেমন কিছু জানার সুযোগ কম।

 

হুতিদের উত্থান

হুতিদের জন্ম উত্তর ইয়েমেনের সাদা শহরে। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে হুতি গোত্র যায়দি শিয়াদের জন্য “ধর্মীয় পুনরুজ্জীবন আন্দোলন” গড়ে তুলতে শুরু করে। জাইদিরা কয়েক শতাব্দী ধরে ইয়েমেন শাসন করলেও ১৯৬২ সালে গৃহযুদ্ধের পর সুন্নিরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সুন্নি মৌলবাদ মোকাবিলা, বিশেষ করে সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া ওয়াহাবি মতবাদ মোকাবিলায় যায়দি ধর্মীয় নেতা হুসাইন আল-হুতি এই আন্দোলন গড়ে তোলেন।

আল-হুতির নেতৃত্বে হুতিরা ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহর বিরোধী আন্দোলন হিসেবে আত্মপ্রকাশকরে, যার বিরুদ্ধে হুতিরা দুর্নীতি এবং সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক মদদপুষ্ট হওয়ার অভিযোগ ছিল। ২০০৩ সালে লেবাননের শিয়া রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, হুতিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে তাদের সাংগঠনিক স্লোগান গ্রহণ করে। এরপর সালেহ কর্তৃক আল-হুতিকে গ্রেফতারের আদেশ জারি করার কারণে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহের সূচনা হয়। ২০০৪ সালে সাদায় ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী কর্তৃক কয়েকজন দেহরক্ষীসহ আল-হুতি নিহত হন। তবে আন্দোলনটির মৃত্যু হয়নি। হুতিদের সামরিক শাখায় ইয়েমেনি তরুণেরা দলে দলে যোগদান করে।  হুসাইন আল-হুতির পর থেকে আন্দোলনটি বেশিরভাগ সময়েই তার ভাই আব্দুল মালিক আল-হুতির নেতৃত্বে সক্রিয় রয়েছে।

হুতি আন্দোলন তার প্রচারমাধ্যমগুলিতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়গুলিকে প্রচার করে ইয়েমেনের জাইদি শিয়া অনুসারীদের আকৃষ্ট করে। ২০০৩ সালে হুতিদের স্লোগান ছিল: আল্লাহ সর্ব মহান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতন হোক, ইসরায়েল ধ্বংস হোক, ইহুদিদের জন্য অভিশাপ ও ইসলামের বিজয় হোক। এই স্লোগান গ্রুপটির ট্রেডমার্ক হয়ে ওঠে। আন্দোলনের প্রকাশিত লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন এবং রাজনৈতিক প্রান্তিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং দেশের হুতি-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলির জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন চাওয়া। তারা ইয়েমেনে আরও গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক প্রজাতন্ত্রকে সমর্থন করার দাবি করে। হুতিরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

হুতিরা রাস্তার বিক্ষোভে অংশ নিয়ে এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সাথে সমন্বয় করে ২০১১ সালের ইয়েমেনি বিপ্লবে অংশ নিয়েছিল। অস্থিরতার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) উদ্যোগের অংশ হিসেবে তারা ইয়েমেনে জাতীয় সংলাপ সম্মেলনে যোগ দেয়। যাইহোক, হাউথিরা পরে ইয়েমেনে ছয়টি ফেডারেল অঞ্চল গঠনের শর্তযুক্ত নভেম্বর ২০১১ সালের জিসিসি চুক্তির বিধান প্রত্যাখ্যান করবে, এই দাবি করে যে চুক্তিটি মৌলিকভাবে শাসন ব্যবস্থার সংস্কার করেনি এবং প্রস্তাবিত ফেডারেলাইজেশন “ইয়েমেনকে দরিদ্র এবং ধনী অঞ্চলে বিভক্ত করেছে”। হুতিরা আরও আশঙ্কা করেছিল যে চুক্তিটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিকে পৃথক অঞ্চলের মধ্যে ভাগ করে তাদের দুর্বল করার একটি নির্মম প্রচেষ্টা। ২০১৪ সালের শেষের দিকে হুতিরা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আলি আবদুল্লাহ সালেহের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করে এবং তার সহায়তায় তারা রাজধানী এবং উত্তরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

২০১৪-২০১৫ সালে, হুতিরা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আলি আবদুল্লাহ সালেহের সহায়তায় সানায় সরকার দখল করে এবং আবরাব্বুহ মনসুর হাদির বর্তমান সরকারের পতনের ঘোষণা দেয়। হুতিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে এবং ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপকে প্রতিহত করছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনি সরকারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার দাবি করে। উপরন্তু, ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী হুতি, সালেহ বাহিনী, ইয়েমেনি সরকার এবং সৌদি আরব-নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী সহ বিরোধের সমস্ত প্রধান দলগুলিতে আক্রমণ করেছে। হুতিরা সৌদি শহরগুলোতে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই সংঘাতকে সৌদি আরব ও তাদ মিত্রদের সাথে ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়।

হুতি গোষ্ঠীটি ইরানের সমর্থনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে লড়াই চালায়। যদিও এই সময়ে উভয়পক্ষই শান্তি আলোচনার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শিয়া দলটিকে ইরানের প্রতিরূপ হিসেবে দেখা উচিত নয়। এদের নিজস্ব ভিত্তি, স্বার্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

হুতিদের মিত্র

ইরানের কথিত ‘অ্যাক্সিস অব রেসিস্ট্যান্স’-এর অংশ হুতিরা। এটি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদের বিরুদ্ধে ইরানের নেতৃত্বে গঠিত একটি আঞ্চলিক সামরিক জোট। গাজায় হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহ’র মতো ইয়েমেনে ইরানের আস্থার জায়গা হুতিরা।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হুতিদের ‘জড়িয়ে পড়া’র প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইসরায়েলকে ঘিরে ইরানের ‘অগ্নিবলয়’ সৃষ্টির সংবাদ  জানানো হচ্ছে।

এই ‘অগ্নিবলয়’ বলতে বিশ্লেষকরা ভূমধ্যসাগর তীরে ইসরায়েলকে ঘিরে হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের অবস্থানের পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরাকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতির কথা নতুন করে জানান দিচ্ছেন।

গত ১৭ অক্টোবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়, ‘বিস্তৃত যুদ্ধের মুখে মধ্যপ্রাচ্য, সব সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ইরান’।

প্রতিবেদনে ওয়াশিংটনভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো ফিরাস মাকসাদ বলেন, ‘হামাস যদি নির্মূল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়, তাহলে ইরান কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত হাতে পেয়ে যাবে। ইরান তখন আঞ্চলিক কৌশলগত “অগ্নিবলয়” সামনে নিয়ে আসবে।’

সেন্টার ফর স্ট্র‍্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ২০২১ সালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সমুদ্র মাইন, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনসহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র ও কারিগরি সুবিধা দিয়ে হুতিদের সহায়তা করে ইরান।

২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ তীব্র হওয়ায় এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের জেরে হুতিদের সহায়তা বাড়িয়ে দেয় ইরান।

হুতিদের সামরিকশক্তি

ইয়েমেনি মিলিশিয়া গোষ্ঠী হুতিরা ২০১৪ সাল থেকে তাদের সামরিক সক্ষমতা দেখাতে শুরু করে। হুতিদের প্রায় ২০ থেকে ৩৬ হাজার যোদ্ধা এবং সমৃদ্ধ অস্ত্রাগার রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানি সরঞ্জাম বা উপাদান দিয়ে তৈরি হুতিদের অস্ত্রাগারের মধ্যে ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন ও জাহাজবিদ্ধধ্বংসি অস্ত্র রয়েছে। হুতিরা বারবার কৌশলগত সৌদি অবকাঠামোতে হামলার জন্য এই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করেছে।

সামরিকবিশ্লেষকদের মতে, হুতিরা ইরানের দ্বারা সমর্থিত, যারা প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং বুদ্ধিমত্তা সহ রাজনৈতিক, সামরিক এবং অন্যান্য ধরণের সহায়তা প্রদান করেছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ইরানের গোয়েন্দা তথ্য, প্রযুক্তি এবং অস্ত্র হুতিদের লোহিত সাগরে তাদের আক্রমণ পরিচালনা করতে সক্ষম করেছে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞরা ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, হুতিদের ড্রোনগুলি জিপিএস নির্দেশিকা ব্যবহার করে এবং তাদের লক্ষ্যগুলির দিকে “প্রাক-প্রোগ্রামড ওয়েপয়েন্ট বরাবর স্বাধীনভাবে উড়ে যায়”।

গেল সেপ্টেম্বরে হুতিরা প্রথমবারের মতো বিমানবিধ্বংসী বারক-২ ক্ষেপণাস্ত্র, নৌ ক্ষেপণাস্ত্র, একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার প্রদর্শন করে। হুতিরা শিপিংয়ের বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে মেশিনগানে সজ্জিত দ্রুতগামী নৌকাও ব্যবহার করেছে।

মানবিক বিপর্যয়

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র রাষ্ট্র ইয়েমেনে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের ফলে বিশ্বের অন্যতম গুরুতর মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযানের পর সাম্প্রতিক ইঙ্গ-মার্কিন অভিযান হুতি বিদ্রোহ ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত, খাদ্য ঘাটতি এবং মৌলিক পরিষেবাগুলির বিপর্যস্ত হয়েছে। যুদ্ধের ভয়াবহতায় ইয়েমেনের অবকাঠামো এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। যা দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবিক সংস্থা ইয়েমেনে মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় সংঘাত বন্ধ করার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধান অধরা রয়ে গেছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *