ইতিহাসের সেরা ১০ জন ব্যবসায়ী

ইতিহাসের সেরা ১০ জন ব্যবসায়ী

আইনানুসারে, ব্যবসায় বলতে সেই সংগঠনকে বুঝায় যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে পণ্য বা সেবা কিংবা দুটো সুবিধাই প্রদান করে। ব্যবসা যারা করেন তারা ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীর সাফল্য যে শুধু মূলধন খাটিয়ে লাভবান হওয়া নয়; যুগান্তকারী পণ্য বা সেবার বিনিময়ে নাগরিক জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা। আজ রইলো শীর্ষ ১০ ব্যবসায়ীর কথা; যারা ব্যবসায় পরিচালনার ধরনকে পাল্টে দিয়ে,

০১.      জন ডি. রকফেলার: যাঁর ধন সম্পদ এখনো বেড়ে চলেছে। প্রথম জীবনে খুবই দরিদ্রের মধ্যে বড় হওয়া জন ডি. রকফেলার (জন্ম: ৮ই জুলাই, ১৮৩৯ – মৃত্যু: ২৩শে মে, ১৯৩৭) মৃত্যুর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সবচাইতে সেরা ধনী ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের সবচাইতে বড় তেল কোম্পানি ছিল। তিনি মৃত্যুর পূর্বে ৩১০ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রেখে যান। তার বংশধরেরা এখন তার ব্যবসা ধরে রেখেছেন। তাদের বর্তমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হল জন ডি. রকফেলার ফাউন্ডেশন, যা বর্তমানে সিনেটর জন ডি. রকফেলার (৪র্থ) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ছোট বেলায় তাঁর খুব মুরগী পোষার শখ ছিল, তাই পরে তিনি ৮০০০ একর জমির উপর একটি মুরগীর খামার করে তার শৈশবের কথা মনে করতেন। ‘রকফেলার ফাউন্ডেশন’ যা সারা বিশ্বজুড়ে মানবস্বাস্থোর উন্নয়ন কল্পে প্রতি মাসে দশ লক্ষ ডলার দান করে থাকে। রকফেলারের ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছিলেন যা বিশ্বের ইতিহাসে একক ব্যক্তি কর্তৃক সর্বচ্চ দান।

 

০২.      হেনরি ফোর্ড: মোটর গাড়ি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকের অবদান থাকলেও হেনরি ফোর্ড (জন্ম: ৩০ জুলাই, ১৮৬০ – মৃত্যু: ৭ এপ্রিল, ১৯৪৭)-এর অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি। এ কারণে তাঁকে মোটর গাড়ির আবিষ্কারক বলা হয়। তিনি ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং বহু উৎপাদন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত  বিন্যাসকরণ সজ্জার জনক। তার উদ্ভাবিত মোটরগাড়ি শিল্প ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনে। তিনি ছিলেন একজন বহুমুখী উদ্ভাবক এবং ১৬১টি পেটেন্টের অধিকারী ছিলেন। তাকে সস্তা পণ্যের বহু উৎপাদনশীলতার জনক বলা হয়; কারণ, তিনি তার কোম্পানিতে ব্যয়বহুল শ্রমশক্তি এবং যন্ত্রে সমন্বয়ে অধিক উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ফ্রাঞ্চাইজি এবং ডিলারশিপ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। ফোর্ড মোটর কোম্পানির মালিক হিসেবে তিনি পৃথিবীর অন্যতম ধনী ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় শান্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেও তিনি অনেক বিখ্যাত। তিনি তাঁর অর্জিত সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে ফোর্ড ফাউন্ডেশন গঠন করেন; যা আজো বিশ্বের উন্নতিতে অর্থ সাহায্য করে যাচ্ছে।

০৩.     বিল গেটস: বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম জনক তৃতীয় উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস শুধু বিশ্বের সেরা মেধাবীদের অন্যতম নন, শীর্ষ ব্যবসায়ীদেরও একজন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রপআউট এ ছাত্রের বর্তমান নিট সম্পদের পরিমাণ ৮১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০ বছর ধরে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১৫ বারই প্রথম স্থানটি ছিল তাঁর দখলে। ২০১৩ সালে তিনি আবার ফিরে আসেন তাঁর শীর্ষ স্থানে। ১৯৮৫ সালের মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণ প্রকাশ করে। বর্তমানে উইন্ডোজ পৃথিবীর সর্বাধিক ব্যবহৃত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম। ১৯৫৫ সালে ২৮ অক্টোবর তিনি ওয়াশিংটনের এক উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন গেটস। কোনো একটা বিষয় তার মাথায় ঢুকলে সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করতেন না। ব্যক্তি জীবনে এই প্রযুক্তিবিদ সামাজিক কাজেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন মানবকল্যানে।

০৪.      টমাস আলভা এডিসন: মার্কিন উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী টমাস আলভা এডিসন (জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭ – মৃত্যু ১৮ অক্টোবর ১৯৩১) সবচেয়ে বেশি পরিচিত বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের কারণে। তিনি গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা সহ বহু যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। ১৮৭৮ সালে তিনিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোম্পানির একটি ‘জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এডিসন ইতিহাসের অতিপ্রজ বিজ্ঞানীদের অন্যতম একজন; তাঁর নিজের নামে ১,০৯৩টি পেটেন্ট রয়েছে। গণযোগাযোগ খাতে বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাতে তার বহু উদ্ভাবনের মাধ্যমে তার অবদানের জন্য তিনি সর্বস্বীকৃত। যার মধ্যে একটি স্টক টিকার, ভোট ধারণকারী যন্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ধারণযোগ্য সংগীত এবং ছবি। এসব ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনকারী তাঁর কাজগুলো তাঁকে জীবনের শুরুর দিকে একজন টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে গড়ে তোলে। বাসস্থান, ব্যবসায়-বাণিজ্য বা কারখানায় বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ও বণ্টনের ধারনা এবং প্রয়োগ দুটিই এডিসনের হাত ধরে শুরু হয় যা আধুনিক শিল্পায়নের একটি যুগান্তকারী উন্নতি।

০৫.      সইচিরো হোন্ডা: পেশা জীবনের শুরুতে টয়োটা কোম্পানিতে চাকরির চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হন সইচিরো হোন্ডা (জন্ম: ১৭ নভেম্বর ১৯০৬ – মৃত্যু: ৫ আগস্ট ১৯৯১)। সময়টাও চাকরীর জন্য বৈরী ছিল। জাপান তখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে বিধ্বস্ত এক দেশ। কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র ছিলেন না তিনি। নিজের গ্যারেজেই বসে বানাতে চেষ্টা করেন স্কুটার। তাঁর উদ্ভাবিত স্কুটার খুব দ্রুত প্রতিবেশীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় ও আস্তে আস্তে তা বিকোতে থাকে। হোন্ডা তার উদ্ভাবনের সম্ভাব্য বাজারের কথা চিন্তা করে ১৯৪৬ সালে ১২ জন কর্মী নিয়ে ছোট্ট একটি গ্যারেজে গড়ে তোলেন মোটরসাইকেলের কারখানা। সেখানেই তৈরি হয় বিশ্বের প্রথম ‘হোন্ডা মোটরসাইকেল’। শ্রম ও একনিষ্ঠতার বদৌলতে এই কোম্পানিই পরবর্তীতে হয়ে ওঠে বিশ্ববিখ্যাত হোন্ডা কোম্পানি। অনেকে এখনো ‘হোন্ডা’ বলতে মোটরসাইকেলকেই বোঝান। ১৯৫৯ সাল থেকেই বিশ্বের শীর্ষ মোটরসাইকেল নির্মাতার মুকুটটা হোন্ডার দখলে। মোটরসাইকেল ছাড়াও হোন্ডার রয়েছে বিভিন্ন মডেলের কার। এদিকে কমবাসশন ইঞ্জিন তৈরিতেও কোম্পানিটি রয়েছে এক নম্বরে।

০৬.     স্টিভ জবস: তাঁকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। পল ও ক্লারা জবস তাকে দত্তক নিলে তাঁর নাম হয় ‘স্টিভেন পল জবস’। তাঁর প্রকৃত পিতা-মাতা ছিলেন জোয়ান ক্যারোল এবং আব্দুল্লাহ ফাতাহ জান্দালি। স্টিভ জবস ১৯৭৬ সালে স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন-এর সাথে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশন এবং পিক্সার এ্যানিমেশন স্টুডিওসের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৮৫ সালে বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের সদস্যদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে তিনি অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের থেকে পদত্যাগ করেন এবং নেক্সট কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি অ্যাপলে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৫ সালে টয় স্টোরি নামের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। রিড কলেজের ড্রপআউট ছাত্র স্টিভ জবসের নামে ৩৪২টি পেটেন্ট রয়েছে। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে এই সফল উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক মৃত্যুবরণ করেন।

০৭.      কার্লোস স্লিম হেলু: তাঁর লেবানিজ অভিবাসী পিতা ১৯০২ সালে কপর্দকহীন মেক্সিকোতে আসেন এবং মা ছিলেন লেবানিজ-মেক্সিকান। ১৯৪০ সালের ২৮ জানুয়ারি মেক্সিকোতে জন্ম নেয়া এই টেলিকম ব্যবসায়ী হোটেল ব্যবসা ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। মূলত ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি চুক্তিবদ্ধ হন ফ্রান্স টেলিকম এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন বেল কর্পোরেশনের সঙ্গে। সরকারি এই কাজটি তাঁর সফলতার সিঁড়ি হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে এই কাজের সুবাদে অন্যান্য বেসরকারি টেলিফোন সংস্থাও তার দিকে হাত বাড়ায়। ধীরে ধীরে তার ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা লাতিন আমেরিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কার্লোস ছোটবড় দু’একটা ঘটনা ছাড়া খুব একটা সমালোচিত হননি। টেলিকম ব্যবসা দিয়ে তার উত্থান ঘটলেও এখনো ধরে রেখেছেন সেসব আদি ব্যবসা। এখনও মেক্সিকোতে রয়েছে তাঁর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বেশ কয়েকটি হাউজিং কোম্পানি। ৭৪ বছর বয়সেও দক্ষ হাতে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৮.     অ্যান্ড্রু কার্নেগি: স্কটল্যান্ডের এক নিম্নবিত্ত পরিবারে ১৮৩৫ সালের ২৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য ছিল তাঁদের পরিবারের নিত্যসঙ্গী। এরপর তাঁর সপরিবারের যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এখানে তিনি সুতার কাজ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এর পরে নেন টেলিগ্রাফ বাহকের কাজ। অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে মাত্র আঠারো বছর বয়সেই তিনি ওই কোম্পানির অনেক উপরের অবস্থানে উঠে যান। এভাবে ধীরে ধীরে একজন বিনিয়োগকারীতে পরিণত হন; গাড়ি, রেলওয়ে, তেল, পেট্রোলিয়াম এবং স্টিল শিল্পে বিনিয়োগ করে শীর্ষ সম্পদশালীতে পরিণত হন। দানশীল ব্যক্তি হিসাবেও অনেক জনহিত কাজ করেন। লেখনশৈলী এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য, প্রকাশের পরপরই তাঁর আত্মজীবনী ৪০ হাজারের অধিক কপি বিক্রি হয়ে যায়। ১৮৯৮ সালে তিনি একটি নিলামে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে স্পেনের কাছ থেকে ফিলিপাইনকে কিনে নিতে চান, কারণ তিনি এর মাধ্যমে দেশটিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। তিনি অন্যদেরকেও ধনী করে তুলতেন। এই সফল বিনিয়োগকারী ১৯১৯ সালে ১১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

০৯.      জেপি মর্গান: জন পিয়ের্পন্ট মর্গান (জন্ম: ১৭ এপ্রিল ১৮৩৭ – মৃত্যু: ৩১ মার্চ ১৯১৩) একজন সফল ব্যাংকার। তিনি এতটাই সম্পদশালী হয়ে ছিলেন যে তাঁর ছেলে জেপি মর্গান জুনিয়ার উনিশ শতকের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকেও সহযোগিতা করেছেন। ব্যাংক ব্যবসার ইতিহাসে তাঁর নাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাইন্যান্সার হিসেবে লেখা রয়েছে। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান জেপি মর্গান চেস এন্ড কোং হল যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক ব্যাংকিং এবং হোল্ডিং কোম্পানি। সম্পদের বিবেচনায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ২০১২ সালের তথ্য মতে ২.৫০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদ নিয়ে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ২০০০ সালে চেস ম্যানহ্যাটন কর্পোরেশন এবং জেপি মর্গান এন্ড কোম্পানি একত্রিত হয়ে জেপি মর্গান চেস এন্ড কোম্পানি গঠিত হয়। ব্লুমবার্গ ম্যাগাজিনের মতে ২০১১ সালে জেপি মর্গান সম্পদের দিক দিয়ে ব্যাংক অফ আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁকে নিয়ে বলা হয় ‘জে পি মর্গান : একজন বিশিষ্ট ধনকুবের, যিনি ছিলেন অখ্যাত ও রহস্যময়।’

১০.      মাইকেল ডেল: মার্কিন শিল্পোদ্যোক্তা মাইকেল সল ডেল (জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫) ডেল ব্র্যান্ডের কম্পিউটার কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে তিনি ডেল ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ৪ নভেম্বর ডেল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে নিজের জমানো এক হাজার ডলার মূলধন বিনিয়োগ করে এ প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করান। ব্যবসা শুরুর এক দশকের মধ্যেই বিশ্বের অন্যতম কম্পিউটার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনি ডেলকে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি পারসোন্যাল কম্পিউটার (ডেস্কটপ, নোটবুক ও নেটবুক), সার্ভার কম্পিউটার, ডাটা স্টোরেজ ডিভাইস (ইকুয়ালজিক), নেটওয়ার্ক সুইচ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, টেলিভিশন, স্মার্টফোন প্রভৃতি প্রস্তুত করে থাকে। ই-মার্কেটিং-এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেল পণ্যের ব্যাপক বিক্রি হয়ে থাকে। চীন ও মালয়েশিয়া সহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ডেল-এর কারখানা রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এট অস্টিনের ড্রপআউট ছাত্র মাইকেল ডেলের বর্তামান নীট সম্পদের পরিমাণ ১৭.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *