টু উইমেন (Two Women) টার্মস অফ এনডিয়ারমেন্ট (Terms of Endearment) দ্য ব্লাইন্ড সাইড (The Blind Side)

মা নিয়ে ৩টি বিখ্যাত সিনেমা

টু উইমেন (Two Women)
টু উইমেন (Two Women)

টু উইমেন (Two Women)

সন্তানকে বাঁচাতে মায়ের সংগ্রামের অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে ‘ক্লাসিক সিনেমা’র মাঝে ঠায় করে নিয়েছে ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায় কুঁকড়ে যাওয়া মানবতার করুণ গাঁথা সবচেয়ে ভালভাবে তুলে এনেছিলেন বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার ভিত্তোরিও ডি সিকা (Vittorio De Sica)। বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসাবে বিবেচিত আলবার্তো মোরাভিয়া (Alberto Moravia)’র লেখা ‘টু উইমেন’ উপন্যাসকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন যুদ্ধের করাল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়া এক মা-মেয়ের করুণ গল্প বলবার জন্য। স্বৈরতন্ত্রের নৃশংসতা ও মানববিদ্বেষী দিকটিই প্রতিফলিত হয়েছে এ খানে। নাৎসিবাহিনীর আক্রমণে দিশাহারা হয়ে অন্যান্য রোমবাসীর সঙ্গে লাতসিওতে পালিয়ে আসে সেসিরা তার ১২ বছর বয়সী মেয়ে রোসেত্তাকে নিয়ে। একদিকে প্রাণ হারাবার ভয়, আর অন্যদিকে শত্রুশিবিরের লালসা থেকে নিজের মেয়েকে বাঁচাতে মায়ের সংগ্রাম- এর সবকিছুই ‘টু উইমেন’-এ উঠে আসে।

কিংবদন্তী অভিনেত্রী সোফিয়া লোরেন (Sophia Loren) অভিনয় করেছিলেন এই সিনেমায় মা সেসিরার ভূমিকায়। এই চরিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয় তাকে এনে দিয়েছিল অস্কার (Academy Awards)সহ মোট ২২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

টার্মস অফ এনডিয়ারমেন্ট (Terms of Endearment)
টার্মস অফ এনডিয়ারমেন্ট (Terms of Endearment)

টার্মস অফ এনডিয়ারমেন্ট (Terms of Endearment)

মায়েদের নিয়ে আবেগী একটা চলচ্চিত্র হল ‘টার্মস অফ এনডিয়ারমেন্ট’। জেমস এল. ব্রুকস (James L. Brooks) এর পরিচালনায় ১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি সেবার অস্কার (Oscars) আসর করে নিয়েছিল নিজেদের। ১১টি মনোনয়নের মাঝে জিতেছিল সেরা সিনেমার পুরস্কারসহ পাঁচটিতে। মা অরোরার চরিত্রে অভিনয় করা শার্লি ম্যাকলেইন (Shirley MacLaine) জিতেছিলেন সেরা অভিনেত্রীর অস্কার।

মা-মেয়ের ত্রিশ বছরের গল্প নিয়ে এই চলচ্চিত্র। বাবাহীন এমাকে আগলে রেখে অরোরা খুঁজে ফেরে সত্যিকারের ভালোবাসা। এদিকে এমাও বড় হয়ে জড়িয়ে পড়ে জটিল এক সম্পর্কে, নিজেও অর্জন করে মাতৃত্বের স্বাদ। তাদের চারপাশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করলেও একান্ত গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্তে এই মা-মেয়ে দুজনেই এগিয়ে আসে একে অপরের সাহায্যে।

দ্য ব্লাইন্ড সাইড (The Blind Side)
দ্য ব্লাইন্ড সাইড (The Blind Side)

দ্য ব্লাইন্ড সাইড (The Blind Side)

ফুটপাথে এক মাদকাসক্তের ঔরসে জন্ম হয়েছিল মাইকেল ওহারের (Michael Oher)। মাত্র ৭ বছর বয়সেই মায়ের কাছ থেকে পরিত্যাক্ত হয় সে। ছোটবেলা থেকেই ওহারের স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে নামকরা ফুটবলার হবে সে। কিন্তু তার গায়ের কাল রঙই যে তার স্বপ্নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা!

শিশু ওহারের স্বপ্ন সাদা মানুষদের পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে হারিয়েই যেত, যদি না কৈশরে আরেক শেতাঙ্গ নারী মাতৃস্নেহে বুকে টেনে না নিতেন তাকে। পরিবারে ওর এর উপস্থিতি তাদের নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়েও নতুন করে ভাবতে শেখায়। মার্কিন ফুটবল তারকা মাইকেল ওহার আর তার ‘মা’ লেই অ্যান টুওহির গল্প নিয়েই লেখা মাইকেল লুইস (Michael Lewis) নন-ফিকশন গ্রন্থ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে কম বাজেটের চলচ্চিত্র ‘দ্য ব্লাইনইড সাইড’।

রক্ত সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও গৃহহারা কৃষ্ণাঙ্গ এক কিশোরকে নিজের ছেলের মত আগলে রাখা এক শ্বেতাঙ্গ নারীর এই গল্প সেলুলয়েডের পর্দায় অনন্য। তাইতো, ২০০৯ সালে জন লি হ্যানক (John Lee Hancock) নির্মিত এই সিনেমাটিতে লেই অ্যান-এর ভূমিকায় অভিনয় স্যান্ড্রা বুলক (Sandra Bullock)কে এনে দিয়েছিল সেরা অভিনেত্রীর অস্কার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *