বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ের ১০ ক্রিকেট

০১. মহেন্দ্র সিং ধোনি

তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় দল জয় করেছে ২০০৭ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ এবং ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ঝাড়খণ্ডের রাচি এলাকায় ৭ জুলাই ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণকারী ধোনির জাতীয় দলে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, তিনি বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ক্রিকেটার। ধোনি এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিতে আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)-এ খেলছেন। তার নেতৃত্বে দলটি ২০১০ এবং ২০১১ সালে আইপিএল-এ এবং ২০১০ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ টোয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। গত মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংস-এ তাঁর বেতন ছিল দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ধোনি ২০টি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণ করছেন। বলিউডের শীর্ষ অভিনেতা শাহরুখ খান তাঁর চেয়ে ১টি বেশী বিজ্ঞাপন করছেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষকের বার্ষিক বেতন তিন দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর এন্ডোজমেন্টস ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ধোনির নীট সম্পদের পরিমাণ ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০২. শহীদ আফ্রিদি:

পুরোনাম শাহিবজাদা মোহাম্মাদ শহীদ খান আফ্রিদি হলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভঙ্গির জন্য তাকে ডাকা হয় বুম বুম আফ্রিদি নামে। ১ মার্চ ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের খাইবার এজেন্সিতে জন্ম নেয়া শহীদ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার কৃতিত্ব অর্জন করলেও নিজেকে একজন ব্যাটসম্যানের চেয়ে বেশি বোলার মনে করেন। ১৯৯৬ সালে কেনিয়া বিপক্ষে তাঁর অভিষেক হয়। বার্ষিক বেতন দুই দশমিক পাঁচ মার্কিন ডলার। নীট সম্পদের পরিমাণ ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্যান্ডের পণ্য দূত আফ্রিদির মেয়েদের পেষাকের বুটিক হাউস আছে যার শাখা পাকিস্তান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, কুয়েত, কাতার এবং বাংলাদেশে রয়েছে। পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবং রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান সাম্প্রতিক অভিযোগ করেন, আফ্রিদি তাঁর চাচাকে সিনেট (সংসদের উচ্চ-কক্ষ) সদস্য হিসাবে নমিনেশন পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে ১৫০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি ঘুম হিসাবে দিতে চেয়েছিলেন।

০৩. বিরাট কোহলি:

বর্তমানে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলির জন্ম  ৫ নভেম্বর ১৯৮১ সালে দিল্লিতে। মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান কোহলিকে মাঝেমধ্যে ইনিংসের ওপেনিংও করতে দেখা যায়। তার নেতৃত্বে  ভারত ২০০৮ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে। সেই বছরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়। আইপিএলের অন্যতম দামি খেলোয়াড় তিনি। খেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে। দলটির নেতৃত্বেও রয়েছেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে ২০১৪ সালের মৌসুমে তাঁর বেতন ছিল ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় বিজ্ঞাপনের বাজারে মহেন্দ্র সিং ধোনির পরেই কোহলির অবস্থান। বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়ে বলিউডের অভিনেত্রী আনুষ্কা শর্মার সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূচনা হয়। এই জুটি এখন ক্রিকেট অঙ্গনে সব চেয়ে আলোচিত যুগল। বিরাট কোহলির বার্ষিক বেতন তিন দশমিক এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ব্যান্ড এন্ডোজমেন্টস ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ ৪৬ মার্কিন ডলার।

০৪. গৌতম গম্ভীর:

আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ)-এর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) অধিনায়ক এবং ভারতীয় দলের বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর ১৯৮১ সালের ১৪ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষিক্ত হন। সহ-খেলোয়াড় বিরেন্দর শেওয়াগ তাকে সুনীল গাভাস্কারের পর সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে উল্লেখ করেছেন। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে কেকেআর ২০১২ এবং ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়নস হয়। বলিউডের শীর্ষ অভিনেতা শাহরুখ খানের মালিকানাভিত্তিক কলকাতার দলটি আইপিএল টুর্নামেন্টের সর্বাপেক্ষা ধনী দল। ২০১৪ সালে কেকেআর-এ গৌতম গম্ভীরের বেতন ছিল এক দশমিক নয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেশ কিছু স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যান্ডের পণ্যদূত গৌতমের ব্যান্ড এন্ডোজমেন্টস ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বার্ষিক বেতন তিন দশমিক নয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের বাসিন্দা গৌতম গম্ভীরের নীট সম্পদের পরিমাণ ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৫. শেন ওয়াটসন:

অস্ট্রেলিয়ান অল-রাউন্ডার শেন রবার্ট ওয়াটসনের জন্ম ১৯৮১ সালের ১৭ জুন কুইন্সল্যান্ডের ইপসুইচ এলাকায়। ওডিআই অভিষেক হয় ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফর্ম করে জিতেনেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরষ্কার। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ঘোষিত হন তিনি। ফোর্বসের মতে, ২০১২ ও ২০১৩ সালে ওয়াটসন বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তিনি ৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশী অর্থ উপার্জন করেন। এছাড়াও, ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় তিনি। ২০১৪ মৌসুমে আইপিএলের দল রাজস্থান রয়েলসের অধিনায়ক শেন ওয়াটসনের বেতন ছিল দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেশ কিছু ব্যান্ডের পণ্যদূত ওয়াটসনের এন্ডোজমেন্টস তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলারের বার্ষিক বেতন চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নিট সম্পদের পরিমাণ ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৬. বীরেন্দ্র শেওয়াগ

বীরু, নাজফগড়ের নওয়াব ও আধুনিক ক্রিকেটের জেন মাস্টার নামে খ্যাত ভারতীয় দলের এই আক্রমণাত্মক ডান হাতি ব্যাটসম্যান এবং ডান হাতি অফ ব্রেক বলার। ১৯৭৮ সালের ২০ অক্টোবর দিল্লির নাজফগড়ে জন্ম নেওয়া শেওয়াগের ১৯৯৯ সালে একদিনের অন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে এবং ২০০১ সালে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলে যায়গা পান। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সদস্য হলেও এই বিশ্বকাপে স্থান মিলেনি এক সময়ের দলের অপরিহার্য এই সদস্যের। যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীর, হরভজন সিং ও জহির খানের মত তারও অবস্থান দর্শকের সারিতে।আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে গত মৌসুমে তাঁর বেতন ছিল পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার। বেশ কিছু স্থানীয় ভারতীয় ব্যান্ডের পণ্যদূত বীরেন্দ্র শেওয়াগের ব্রান্ড এন্ডোজমেন্টস চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বার্ষিক বেতনের পরিমাণ তিন দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নিট সম্পদের পরিমাণ ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৭. রোহিত শর্মা

একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দুইটি দ্বি-শতক রানের ইনিংস গড়েন রোহিত গুরুনাথ শর্মা। ৩০ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্ম নেন এই ডানহাতি মিডল আর্ডার ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ বছর বয়সে অভিষিক্ত হয়ে ফিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। আইপিএলের প্রথম তিন আসরে খেলেন ডেকান চার্জার্সের হয়ে। ২০১১ সালে চলে আসেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। ২০১৩ সালে নিয়মিত অধিনায় রিকি পন্টিং অফ ফর্মের জন্য সরে দাঁড়ালে তিনি এই দলের অধিনায়কত্ব পন। যা মুম্বাই ভিত্তিক দলটির জন্য সৌভিগ্য বয়ে আনে। শুধু আইপিএল চ্যাম্পিয়ানশিপ নয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জিতে নেয় সে বছরের জিতে নেয় চ্যাম্পিয়নস লিগ টোয়েন্টি২০। গত মৌসুমে তাঁর বেতন ছিল দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২৭ বছর বয়স্ক এই ক্রিকেটারের আয়ের উৎস ম্যাচ ফি, আইপিএল চুক্তি এবং এন্ডোজমেন্টস। বার্ষিক বেতন ৫০ লক্ষ ভারতীয় রূপি। নীট সম্পদের পরিমাণ ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৮.মাইকেল ক্লার্ক

২ এপ্রিল, ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেন  অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বর্তমান টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাইকেল জন ক্লার্ক। তার ডাক নাম ‘পাপ’, ‘ক্লেরকি’, ‘টপ ডগ’, ‘নেমো’ এবং ‘এমিনেম’। ডানহাতি নির্ভরযোগ্য এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উচ্চমানের ফিল্ডারও। মাঝে-মধ্যে বামহাতি অর্থোডক্স স্পিন বোলিং করতেও দেখা যায়। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষ হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন। জাতীয় দলে তাঁর অভিষেক ২০০৩ সালে। তিনি ২০১২ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটসম্যানরূপে এক পঞ্জিকা বর্ষে ৪টি দ্বি-শতক হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। সেই বছরই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ত্রি-শতক হাঁকান। তিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় ব্যান্ডের পণ্যদূত। তাঁর ব্রান্ড এন্ডোজমেন্টস দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাইকেল ক্লার্কের বার্ষিক বেতনের পরিমাণ তিন দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নিট সম্পদের পরিমাণ ৩৪ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৯. ক্রিস গেইল

এই সময়ের বিশ্ব ক্রিকেটে মারকুটে ব্যাটসম্যানের প্রতিশব্দ তিনি। ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ সালে জামাইকার কিংস্টনে জন্ম নেয়া ক্রিস্টোফার হেনরি “ক্রিস” গেইলের জাতীয় দলে অভিষেক ১৯৯৯ সালে। তাঁর ডাকনাম গেইলফোর্স, গেইলস্টর্ম, মাস্টার স্টর্ম। তিনি ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব, ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স, বরিশাল বার্নার্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের পক্ষ নিয়ে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলছেন। বিগ ব্যাশ লীগে গেইল সিডনি থান্ডার দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে জামাইকা দলে খেলছেন। শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লীগে ইউভা নেক্সটেরও সদস্য মনোনীত হন তিনি।

০৯. ক্রিস গেইল

এই সময়ের বিশ্ব ক্রিকেটে মারকুটে ব্যাটসম্যানের প্রতিশব্দ তিনি। ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ সালে জামাইকার কিংস্টনে জন্ম নেয়া ক্রিস্টোফার হেনরি “ক্রিস” গেইলের জাতীয় দলে অভিষেক ১৯৯৯ সালে। তাঁর ডাকনাম গেইলফোর্স, গেইলস্টর্ম, মাস্টার স্টর্ম। ঘরোয়া ক্রিকেটে জামাইকা দলে খেলছেন।এছাও তিনি ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব, ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্স (বিগ ব্যাশ),সিডনি থান্ডার (বিগ ব্যাশ), ইউভা নেক্সট (শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লীগ), বরিশাল বার্নার্স (বিপিএল) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (আইপিএল) দলের পক্ষ নিয়ে খেলেছেন। বর্তমানে তিনি আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলছেন। গত মৌসুমে তাঁর বেতন ছিল এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ-পর্বের খেলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ও প্রথম অ-ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বি-শতক হাঁকান। সেই বিধ্বংসী ইনিংসে ১৬ ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়েন। তাঁর বার্ষিক বেতনের পরিমাণ দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নিট সম্পদের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

১০. সুরেশ রায়না

২৭ নভেম্বর ১৯৮৬ সালে উত্তর প্রদেশের মুরাদনগর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য।বামহাতি মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলে থাকেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে অফ-স্পিন বোলিং করেন।তিনি ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তর প্রদেশ দলে খেলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে চেন্নাই সুপার কিংসের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। আইপিএলে সর্বাধিক খেলার অধিকারী রায়না চেন্নাই সুপার কিংসের সবগুলো খেলাতেই অংশ নিয়েছেন। আইপিএলের গত মৌসুমে তাঁর বেতন ছিল এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৮ বছর বয়সে ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে রায়না’র অভিষেক ঘটে। ২৮ বছর বয়স্ক এই ক্রিকেটারের আয়ের উৎস ম্যাচ ফি, আইপিএল চুক্তি এবং এন্ডোজমেন্টস। বার্ষিক বেতন তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নীট সম্পদের পরিমাণ ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সাকিব আল  হাসান

দেশের শীর্ষ তারকা ক্রিকেটার হওয়ার সুবাদে সাকিব আল হাসানকে দেখা যায় নামিদামি ব্যান্ডের পণ্যদুতিয়ালি করতে এবং বিদেশি ঘরোয়া লিগে অংশগ্রহণ করতে এসব মিলিয়ে দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার চেয়ে ধনী ধরা হয় তাঁকে। ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরায় জন্ম নেয়া সাকিব বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসাবে মাসিক বেতন, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ম্যাচ ফি অনুযায়ী বছরে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা বিসিবির মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। এছাড়া গত বেশ কয়েক মৌসুম ধরেই তিনি ঢাকা লিগের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়। যদিও অঙ্কটা বরাবরই অজানা থাকে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বছর তিনেক আগে খেলেছেন ইংলিশ কাউন্টিতে। ২০১৪ সালে কেকেআর-এ সাকিব আল হাসানের বেতন ছিল চার লক্ষ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অস্ট্রেলিয়ার ‘বিগ ব্যাশ’ লিগ খেলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অংশ নিতে দেখা গেছে ১৪টি ব্রান্ডের এন্ডোজমেন্ট। গুঞ্জন আছে, ৪০ লাখের নিচে দূতিয়ালি করেন না। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সাকিবের নীট সম্পদের পরিমাণ ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *