অনলাইন গেমিংকে পুঁজি করে বিলিয়নিয়ার উইলিয়াম ডিং

উইলিয়াম ডিং

উইলিয়াম ডিং কে?

উইলিয়াম ডিং ‘ডিং লেই’ নামেও পরিচিত। তিনি একজন চীনা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী এবং নেটইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। ডিং চীনের মূল ভূখণ্ডে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

উইলিয়াম ডিং 'ডিং লেই' নামেও পরিচিত। তিনি একজন চীনা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী এবং নেটইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। ডিং চীনের মূল ভূখণ্ডে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
উইলিয়াম ডিং ‘ডিং লেই’ নামেও পরিচিত। তিনি একজন চীনা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী এবং নেটইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। ডিং চীনের মূল ভূখণ্ডে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

অনলাইন গেমিং থেকে বিলিয়নিয়ার

উইলিয়াম ডিং মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। চীনে গুয়াংজহুতে বসবাসকারী উইলিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস শেষ করেন।

অনলাইন গেমিংপ্রেমীদের সংখ্যা সারা বিশ্বে কম নয়। ইন্টারনেট সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটিও বেড়েছে। চীনেও এর ব্যতিক্রম নয়।

আর অনলাইন গেমিংকে পুঁজি করে সাধারণের চোখের আড়ালে টাকার কুমির বনে যান উইলিয়াম ডিং।

এখন তার সম্পদের পরিমাণ ৬.৯ বিলিয়ন ডলার। মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। চীনে গুয়াংজহুতে বসবাসকারী উইলিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস শেষ করেন। তাকে চীনের ইন্টারনেট এন্টারপ্রাইজারদের শিরোমণি মানতে চান অনেকে।

১৯৯৭ সালে মাত্র বারোজন মিলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তখনই তিনি শুরু করেন নেটইয়েজ। এটি একসময় হয়ে ওঠে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় অনলাইন অ্যান্ড মোবাইল গেমিং কোম্পানি।

তিনিই প্রথম চীনে দুটি ভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রযুক্তি, বিনামূলে ই-মেইল প্রেরণ সুবিধা নিয়ে আসেন। নেটইয়েজ যুক্তরাষ্ট্র জয় করে ব্লিজার্ডজ নামে। চীনের আইপ্যাড দখলে নেয় তাদের হিরোস অব ওয়ারক্রাফট। তিনি প্রযুক্তিবিশ্বের ২৬তম ধনী ব্যক্তি। বিশ্বের ২০৮তম বিলিওনিয়ার।

চীনা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী এবং নেটইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও উইলিয়াম ডিং
চীনা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী এবং নেটইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও উইলিয়াম ডিং

বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতি কী?

বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতি হলেন একজন ব্যক্তি যার পরিসম্পদের নীট মূল্য একটি নির্দিষ্ট মুদ্রার এককে কমপক্ষে একশত কোটি (১,০০০,০০০,০০০)। সাধারণত মার্কিন ডলার, ইউরো বা পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মতো প্রধান মুদ্রাগুলি একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মার্কিন ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বস প্রতি বছর পরিচিত মার্কিন ডলারে দ্য ওয়ার্ল্ডস বিলিওনেয়ার্স শিরোনামে শতকোটিপতিদের একটি বিশ্বব্যাপী তালিকা তৈরি করে এবং এই তালিকার একটি আন্তর্জাল সংস্করণ প্রকৃত সময় হালনাগাদ করে। মার্কিন খনিজ তেল শিল্পখাতের ধনকুবের জন ডি. রকফেলার ১৯১৬ সালে মার্কিন ডলার এককে বিশ্বের প্রথম নিশ্চিতকৃত বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতি ছিলেন।

২০১৮ সালের হিসাবে অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী ২,২০০ জন (মার্কিন ডলারভিত্তিক) শতকোটিপতি ব্যক্তি ছিল, যাদের সম্মিলিত পরিসম্পদ ৯.১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ২০১৭ সালে এই পরিমাণ ছিল ৭.৬ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৭ সালের অক্সফাম প্রতিবেদন অনুসারে, শীর্ষ আট ধনী শতকোটিপতি “মানব জাতির অর্ধেক সংখ্যক ব্যক্তির” সম্মিলিত সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদের মালিক। ২০২১ সাল পর্যন্ত আট জন ব্যক্তি মার্কিন ডলার এককে অযুত-কোটিপতি (হেক্টোবিলিওনিয়ার) মর্যাদায় পৌঁছেছেন, যার অর্থ প্রত্যেকের পরিসম্পদের নীট মূল্য কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

অনলাইন গেম কী?

অনলাইন গেম হল একটি ভিডিও গেম যা হয় আংশিকভাবে বা প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেট বা উপলব্ধ অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খেলা হয়। পিসি, কনসোল এবং মোবাইল ডিভাইস সহ আধুনিক গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে অনলাইন গেমগুলি সর্বব্যাপী, এবং ফার্স্ট-পারসন শ্যুটার, স্ট্র্যাটেজি গেম এবং ব্যাপকভাবে মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন রোল-প্লেয়িং গেমস (এমএমওআরপিজি) সহ অনেক জেনার বিস্তৃত।

২০১৯ সালে, অনলাইন গেম সেগমেন্টে রাজস্ব ১৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যার ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চীন এবং ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১০ সাল থেকে, অনলাইন গেমগুলির মধ্যে একটি সাধারণ প্রবণতা তাদের সার্ভিস বা পরিষেবা হিসাবে গেম হিসাবে পরিচালনা করছে, নগদীকরণ স্কিম যেমন লুট বক্স এবং যুদ্ধ পাসগুলি অবাধে অফার করা গেমগুলির উপরে ক্রয়যোগ্য আইটেম হিসাবে ব্যবহার করে। কেনা খুচরো গেমগুলির বিপরীতে, অনলাইন গেমগুলির স্থায়ীভাবে খেলার যোগ্য না হওয়ার সমস্যা রয়েছে, কারণ তাদের কাজ করার জন্য বিশেষ সার্ভারের প্রয়োজন হয়।

বিশ্বে গেমের বাজার একটি উর্ধ্বমুখী খাত এবং প্রতিটা প্রজন্মে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় এই খাতের ব্যবসার ধরন প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে।

যখন প্রথম ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের প্রচলন হলো তখন কনসল গেমের পরিবর্তে অনলাইন গেমের প্রচলন শুরু হলো। কারণ অনলাইন গেমে একজন অন্যজনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারতো। এরপর এই খাতে ব্যবসার ধরন পরিবর্তন হয়ে গেল। যেমন: সিডি-রম কেনার পরিবর্তে গ্রাহকরা গেম কার্ড কেনা শুরু করলো।

এরপর ৪জি চালুর পর মোবাইল গেম গ্রাহকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠলো এবং আবারও ব্যবসার ধরন পরিবর্তন হয়ে গেল।

আর এখন ৫জি নেটওয়ার্ক চালুর জন্য প্রস্তুত এবং ক্লাউড গেমও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কনসল ও মোবাইল গেমের সমন্বয়েই মূলত ক্লাউড গেইম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ক্লাউড গেমে মান ও গ্রাহকদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে আবারও ব্যবসার ধরন পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। এবার গ্রাহকরা হার্ডওয়্যার কেনার পরিবর্তে ভালো মানের কনটেন্ট ও অভিজ্ঞতার জন্য অর্থ ব্যয় করবে।

নেটইজ হেডকোয়ার্টা
নেটইজ হেডকোয়ার্টা

আরো পড়ুন:


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *