২০১৪ সালের বিশ্বের সেরা ১০ বিমানবন্দর
০১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর: দক্ষিণ-পূর্বে এশিয়ার অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বাণিজ্যিক এলাকা থেকে উত্তর-পূর্বে ১৭.২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ‘সিঙ্গি এয়ারপোর্ট গ্রুপ’ রাষ্ট্রাত্ব বিমানবন্দরটি পরিচালনা করে। এই বিমানবন্দর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কার্গো, সিল্কএয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ, ভ্যালুএয়ার-এর প্রধান হাব। এখান থেকে শতাধিক এয়ারলাইন্স বিশ্বের ৬০টি দেশের ২৫০টি শহরের মধ্যে সাপ্তাহিক ৬,৪০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। চাঙ্গি বিমানবন্দর সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এখানে প্রায় ২৮,০০০ জন কাজ করে। বছরে ৫৩.১ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করে এবং এখন পর্যন্ত এখান থেকে ৩,৪৩,৮০০ বার বিমান-উঠানামা করেছে। এছাড়া এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম কার্গো বিমানবন্দর। এখানে অপেক্ষায়মান যাত্রীদের জন্য রয়েছে, সবুজ গাছপালা, আউটডোর পুল, প্রজাপতি বাগান, সিনেমা হল, স্পা, ঝরনা, এবং একটি চার তলা স্লাইড ঘর। চাঙ্গি বিমানবন্দর ১৯৮১ সালে উদ্বোধনের পর থেকে গুণগত মান, উৎকৃষ্টতা এবং অসাধারণ সেবার জন্য ৪৩০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে; যার মধ্যে ৩০টি বেস্ট এয়ারপোর্ট অ্যাওয়ার্ড।
০২. ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: সিউলের ৪৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ইনচনে এই বিমানবন্দর ২০০১ সালে নির্মিত। বার্ষিক ৪১.৪ মিলিয়নেরও বেশী যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। ২০০৫ সাল থেকে এই বিমানবন্দর ‘বেস্ট এয়ারপোর্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ নির্বাচিত হয়ে আসছে। ‘এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল’ বিশ্বব্যাপী ১৮০০ বিমানবন্দরের সেবা মান বিচার করে প্রতি বছর এ খেতাব প্রদান করে। যাত্রীসেবার মানের জরিপে বিমাবন্দরগুলোতে যাত্রীদের প্রবেশের সময় থেকে শুরু করে বিমানে ওঠার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সেবার মাপকাঠি অনুসারে তৈরি করা হয়। ইনচন বিমানবন্দরের এমন ¯^ীকৃতির কারণ হিসেবে ধরা হয়, সেলফ চেক-ইন ও ¯^য়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্ট যেগুলো যাত্রীদের ‘প্রোসেসিং টাইম’ উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস করেছে। এই বিমানবন্দরে উড্ডয়নে গড়ে ১৯ মিনিট ও অবতরণে ১১ মিনিট সময় লাগে যা বিশ্বব্যাপী এয়ারপোর্টগুলোর তুলনায় তিন গুণেরও বেশী দ্রুত। এই বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত ৪,১৪,৮২,৮২৮ বার যাত্রীবাহী বিমান এবং ২৪,৬৪,৩৮৫ বার কার্গোবিমান উঠা-নামা করেছে। রাষ্ট্রয়াত্ব এই বিমানবন্দর পরিচালনা করে ইনচন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারর্পোট কর্পোরেশন।
০৩. মিউনিখ বিমানবন্দর: ১৯৯২ সালে জার্মানির বায়ার্ন রাজ্যের রাজধানী মিউনিখের ২৮.৫ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ফ্রেইসিং-এ এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করে। দুটি রানওয়ে এবং দুটি টার্মিনালের এই বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর। ২০১৩ সালে ৩৮.৭ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে। এয়ার দলমিতি, কন্দর, লুফথানসার, লুফথানসার সিটিলাইন সহ বেশকিছু বিমানসংস্থা এই বিমানবন্দরকে তাঁদের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করে। এখন পর্যন্ত এখানে ৩,৮১,৯৫১ বার বিমান উঠা-নামা করেছে। মিউনিখ সিটি সেন্টার থেকে ট্রেনে বিমানবন্দরে যেতে ৪৫ মিনিট লাগে। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন অনেক খোলামেলা আর বড় করে নির্মিত হয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন ¯^চ্ছ কাঁচের দেওয়াল এবং ছাদ বিমানবন্দরটিকে দিয়ে সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা! এখানে যাত্রীদের জন্য রয়েছে সু¯^াদু খাবার আর আকর্ষণীয় শপিংয়ের ব্যবস্থা। যাত্রী সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য মিউনিখ বিমানবন্দর পেয়েছে বেশকিছু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার। মিউনিখ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই বিমানবন্দর পরিচালনা করে থাকে।
০৪. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: চেক ল্যাপ কক দ্বীপে অবস্থিত হওয়ায় বিমানবন্দরটি ‘চেক ল্যাপ কক এয়ারপোর্ট’ নামেও পরিচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক যোগাযোগ কেন্দ্র। ১৯৯৮ সালে এই বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি হংকং’ এটি পরিচালনা করে। ২০১২ সালে যোগ করা হয় তৃতীয় রানওয়ে। ক্যাথে প্যাসিফিক, ড্রাগন এয়ার, হংকং এয়ারলাইন্স, হংকং এক্সপ্রেস এয়ারওয়েজ, ইউপিএস এয়ারলাইন্স এবং এয়ার হংকং একে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। এই বিমানবন্দরটি বিশ্বের ১৫০টি শহরের সাথে হংকং এবং চীনকে সংযুক্ত করেছে। হংকংয়ে অর্থনীতিতে এই বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কর্মস্থল এই বিমানবন্দর। ৯০টি এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। ২০১১ সালে ৫৩.৩ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে চলাচল করেছে। যাত্রী চলাচলের দিক থেকে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম বিমানবন্দর। এছাড়া কার্গো পরিবহণের দিক থেকে এটি মেম্ফিস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে অতিক্রম করে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর হয়েছে।
০৫. আমস্টারডাম বিমানবন্দর শিফল: সামরিক বিমান ঘাঁটি হিসাবে ১৯১৬ সালে যাত্রা শুরু করে এখন এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর। প্রতিবছর ৪৯.৮ মিলিয়ন যাত্রী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে থাকেন। যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আমস্টারডাম বিমানবন্দর শিফল। আমস্টারডামের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯.১ কিলোমিটার দূরে হার্লেম্মের্মীর পৌরসভায় এটি অবস্থিত। বিশ্বের প্রথম বিমানবন্দর লাইব্রেরীও এই শিফল বিমানবন্দর! দেশ-বিদেশের অসংখ্য বইয়ের সাথে রয়েছে নেদারল্যান্ডকে নিয়ে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী, মাল্টিমিডিয়া, ম্যাসেজ সেন্টার, পোকার খেলার ব্যবস্থা আর ক্যাসিনো। কেএলএম সহ ৯টি বিমান সংস্থার হাব এই বিমানবন্দর। এখানকার ৬টি রানওয়ে তে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার বারেরও বেশিবার বিমান উঠানামা করেছে। শিফল বিমানবন্দরের মালিকানা এবং পরিচালনার ক্ষমতা রয়েছে শিফল প্রæপের হাতে। ইতিহাসের এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা সাক্ষিও এই বিমানবন্দর। এখানকার কঠিন নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি ডাকাতেরা লুট করে নিয়ে যায় ১১ কোটি মার্কিন ডলার বা ৮৪৭ কোটি টাকার মূল্যবান রতœ।
০৬. টোকিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: জাপানের এই অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর হানেদা বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি টোকিও স্টেশন থেকে ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) দ¶িণে অবস্থিত। ‘হানেদা’ টোকিওর প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে নির্মিত হলে পরবর্তীতে চাপ কমাতে টোকিওর অন্য আরেকটি বিমানবন্দর ‘নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ দিয়ে জাপানের প্রায় সকল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হয়। তবে সাম্প্রতিককালে এই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হানেদা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বছরে ৬২.৬ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করে। তবে এই বিমানবন্দর দিয়ে বছরে সর্বচ্চ ৯০ মিলিয়ন যাত্রীর যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে। যাত্রি পরিহনের এদিক থেকে এটি পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এয়ারলাইন্স জাপান এয়ারলাইন্স ও অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ সহ বেশ কিছু বিমান সংস্থা এই বিমানবন্দরকে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। ৪টি রানওয়ের এই বিমানবন্দরটি পরিচালনা করে টোকিও এভিয়েশন ব্যুরো, জাপান এয়ারপোর্ট টার্মিনাল কোম্পানি এবং টোকিও ইন্টারন্যাশনাল এয়ার টার্মিনাল কর্পোরেশন।
০৭. বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: চীনা বিমান চলাচলের এই প্রধান কেন্দ্রটি বেইজিংয়ের ৩২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে চেওইয়াং-এ অবস্থিত। ২ মার্চ ১৯৫৮ সালে এটির উদ্ভোদন করা হয়। দেশটির প্রায় সব আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এই বিমানবন্দর থেকে ওঠানামা করে। বিমানবন্দরটির মালিক চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড’ এবং এই কোম্পানিটি বিমানবন্দরটি পরিচালনা করে। এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এয়ারলান্স, শায়নান এয়ারলাইন্সের হাব এই বিমানবন্দর। গত দশকেই বেইজিং বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের অন্যতম। বছরে ৭৮.৭ মিলিয়ন যাত্রী চলাচল করে এই বিমানবন্দর দিয়ে। যাত্রী চলাচলের ভিত্তিতে বর্তমানে বেইজিং বিমানবন্দর বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ৩টি রানওয়ে এবং ৩টি টার্মিনালের এই বিমানবন্দর দিয়ে ৫,৬৭,৭৫৯ বার বিমান-উঠানামা হয়েছে, যা বিশ্বে দশম। মালামাল পরিবহণের ভিত্তিতে এই বিমানবন্দর বিশ্বে ১৪তম শীর্ষ বিমানবন্দর। বেইজিং শহরের সাথে এই বিমানবন্দর এয়ারপোর্ট এক্রপ্রেস ওয়ের মাধ্যমে যুক্ত।
০৮. জুরিখ বিমানবন্দর: সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্যিক নগরী জুরিখের কেন্দ্রস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার (৮ মাইল) উত্তরে ক্লোতেন, রুমল্যাং, ও ওব্যারগ্ল্যাটে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৯৬০-এর দশকে নির্মিত এই বিমানবন্দর দেশটির বৃহত্তম বিমানবন্দর। ৩টি রানওয়ে এবং ৩টি টার্মিনালের এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ার লাইন্স সহ বেস কিছু বিমান সংস্থার কেন্দ্রীয় হাব। ‘স্কাইগাইড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই বিমানবন্দরের বিমান-চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আর মালিকপক্ষ ‘ফ্লুগাফিন জুরিখ এজি’। জুরিখ বিমানবন্দর থেকে জুরিখ শহরের প্রধান রেলস্টেশনে আগমনের জন্য অটোমেটেড ট্রেন ‘স্কাইট্রাক্স’ রয়েছে। এছাড়া ট্যাক্সিক্যাব ও মিনিবাস সার্ভিস আছে। তবে পাবলিক বাস বা ট্রামে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই। বিমান বন্দরে পানাহার, প্রসাধন, বৈদেশিক মূদ্রা বিনিময়, হোটেল রিজার্ভেশন ইত্যাদি যাত্রী সুবিধাদি বিদ্যমান। এটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও একই টার্মিনাল থেকে দেশীয় বিমানবন্দরগামী সুইস এয়ারের ফ্লাইট চলাচল করে। জুরিখ বিমানবন্দর ব্যবহার করে বছরে ২৪.৮ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করে।
০৯. ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: ২০১৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিমানবন্দরের মধ্যে স্থান পাওয়া একমাত্র উত্তর আমেরিকার বিমানবন্দর হল কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রিচমন্ডের সি আইল্যান্ডের এই বিমানবন্দর। ভ্যাঙ্কুভার শহরতলি থেকে ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। উন্নত যাত্রীসেবার জন্য ইতিমধ্যে এই বিমানবন্দর জিতে নিয়েছে অনেকগুলো সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এবং খেতাব। এখান থেকে প্রতিদিন বিরতীহীন ভাবে উড্ডয়ন করে এশিয়া, ইউরোপ, ওসেনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার অভ্যন্তরীন রুটের বিভিন্ন ফ্লাইট। যাত্রী পরিবহনের জন্য রয়েছে ৩টি রানওয়ে এবং ৩টি হেলিপ্যাড। এখানে এখন পর্যন্ত ৩,০০,৪৫৪ বার বিমান উঠা-নামা করেছে। ২০১৩ সালে প্রায় ১৮ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছেন। ভ্যাঙ্কুভারে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্থানীয় শিল্পের বৃহৎ সংগ্রহ। ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দরের মালিক ট্রান্সপোর্ট কানাডা এবং এটি পরিচালনা করে থাকে ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দর কর্তৃপ¶। এখান থেকে এয়ার কানাডা তাঁদের বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল পরিচালনা করে থাকে।
১০. লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর: ১৯২৯ সালে নির্মিত যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দর। বর্তমানে, হিথ্রো বিশ্বের তৃতীয় বৃহদ বিমানবন্দর এবং যাত্রী পরিবহণের দিক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সর্বাধিক ব্যস্ততম বিমানবন্দর। ‘হিথ্রো এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস’ এই বিমানবন্দরের কর্তৃপ¶ এবং পরিচালনা করে ‘হিথ্রো এয়ারপোর্ট লিমিটেড’। বিএমআই, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারওয়েজ হিথ্রো বিমানবন্দরকে প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে হিথ্রো বিমানবন্দর ১২ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে অবস্থিত। এই বিমানবন্দরে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত দুইটি সমান্তরাল রানওয়ে ও চারটি টার্মিনাল আছে। আরেকটি টার্মিনালের নির্মান কাজ চলছে যার প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০১৪ সালে শেষ হয়েছে। প্রায় ৯০টি এয়ারলাইন্স লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে চলাচল করে। এসব এয়ারলাইন্স বিশ্বের প্রায় ১৭০টি শহরের সাথে যুক্তরাজ্যকে সংযুক্ত করেছে। যাত্রী সেবায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরষ্কার বিজয়ি হিথ্রো বিমানবন্দর দিয়ে ২০১৩ সালে ৭৪.৪ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করেছে। এখন পর্যন্ত ৪,৭১,৯৩৬ বার বিমান-উঠানামা করেছে এখন থেকে।
২০১৪ সালের বিশ্বের সেরা ১০ বিমানবন্দর
by
Tags:
Leave a Reply