পোল্ট্রি শিল্পের গুরুত্ব
আমাদের পোল্ট্রি শিল্প দেশীয় পুঁজি এবং দেশীয় উদ্যোগে তিলে তিলে গড়ে উঠা এই শিল্পটি দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। পোল্ট্রি ব্যাপক ভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখি একটি সমৃদ্ধ শিল্প। বিশেষত আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এই শিল্প নতুন বিপ্লবের পথ দেখিয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং পুষ্টি খাতে পোল্ট্রি খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে দীর্ঘকাল থেকে। দেশের গ্রামীণ পরিবারের গৃহস্থালি কাজের আয় বর্ধনের একটি হাতিয়ার পোল্ট্রি শিল্প। কারণ ডিম এবং মাংস সরবরাহের মাধ্যমে দেশের প্রোটিন ঘাটতি পূরণে পোল্ট্রি খাতের পরিচিতি পুষ্টি বিজ্ঞানীদের কাছেও খুবি বেশি। এর মধ্যে এই শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ কর্মকাণ্ড কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প
পোল্ট্রি এমন একটি শিল্প যে শিল্পটি শুধুমাত্র মহানগর কেন্দ্রিক নয়, এই শিল্পটি জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এই শিল্পকে কেন্দ্র করে পরিচালনা, পরিচর্যা, বাজারজাতকরণ এবং খাদ্য উৎপাদন কার্যক্রমের সুবাদে আরো ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারে ব্যবসা এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি এই আরো ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে পোল্ট্রি শিল্প। প্রতি মাসে মুরগীর বাচ্চার চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ। বিকাশমান এ শিল্পটিতে নব্বইয়ের দশকে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৫০০ কোটি টাকা। যা বর্তমানে ১৫০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তাই না এতে ৬০ লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ধীরে ধীরে অগ্রসরমান। জনপ্রতি আয় অতীতের তুলনায় বেশ বেড়েছে। মাংস ও ডিমের চাহিদা এরই সঙ্গে বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে দুধের চাহিদা ৬ ভাগ ও ডিমের চাহিদা প্রায় ৫ ভাগ বেড়েছে। আশির দশকে বিদেশি উন্নত জাতের মুরগি ও এর ডিম গ্রহণে মানুষের মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক বাধা ছিল তা অনেকাংশে দূর হয়েছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফার্মের ডিম ও ব্রয়লার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে আরো গতি সঞ্চার প্রয়োজন। উল্লেখ্য, এটি সহজ ও এতে প্রাথমিক পুঁজির প্রয়োজন কম। বৃহৎ উদ্যোগের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগণ ছোট আকারেও এটি করতে পারে।
বর্তমানে লেয়ার ও ব্রয়লারের প্যারেন্ট স্টক প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৩০ ভাগ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। পোল্ট্রি শিল্পের সঠিক ও কাঙ্ক্ষিত বিকাশের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগালে খরচ কমে আসবে ও মানসম্মত মাংস ও ডিম উৎপাদন সহজ হবে। এ লক্ষ্যে পোল্ট্রি শিল্পে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগানোয় উদ্বুদ্ধ করণের জন্য প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে যথেষ্ট ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সরকারও সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ও সহজ খাত হতে পারে পোল্ট্রি শিল্প। যদি এ খাতে যথেষ্ট সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হয় তবে এ থেকে দেশীয় আমিষের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশীয় চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রপ্তানি হয়েছে পোল্ট্রি পণ্য। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে প্রথম বার্ড ফু দেখা দেয়ার ফলে দুই বছরে এই শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের তি হয় ৪১৫০ কোটি টাকা। পরবর্তী ২ বছর এই অবস্থার কিছুটা স্বাভাবিক গতি আসলেও ২০১১ সাল থেকে আবারো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে পোল্ট্রি শিল্প।
তথ্য উপাত্তে জানা যায়, বিকাশমান পোল্ট্রি শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ৯০ এর দশকে। তারও আগে ১৯৬৪ সালে ৩০ একর জমির উপরে গাজীপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে পোল্ট্রি শিল্পের গোড়াপত্তন হয়। তবে ১৯৯৫-৯৬ সালে দেশী ও সোনালী জাতের মুরগীর বাইরে উন্নত জাতের লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগীর চাষে খামারিরা ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। এরফলে দেশের জনগণ আয়-উপার্জনের সামঞ্জস্যতায় ডিম ও মুরগীর মাংস খেতে পারে। পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ও সফলতার পেছনে রয়েছে বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের উদ্যোক্তাদের নীরব বিপ্লব।
বাংলাদেশের জিডিপিতে পোল্ট্রি খাতের অবদান দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার তিন দশমিক ৯৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল যা ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি থেকে অনুধাবন করা যায়।
সরকারি সহযোগিতা
দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলাতে দাপ্তরিকভাবে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একটি পোল্ট্রি খামার রয়েছে যারা উৎপাদন ও চিকিত্সাসহ সব ধরনের সম্প্রসারণের সুবিধা ব্যক্তি পর্যায়ে পোল্ট্রি খামারি তথা চাষিদেরকে অনেকাংশে দেয়া হয় এবং পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারের প্রাণী সম্পদ নীতিমালা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতিমালায় প্রাণী সম্পদ প্রচলিত খাতসমূহে ঋণ বিতরণের নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ব্যবস্থা নিতে বলছে, প্রথমত পোল্ট্রি খামার স্থাপন ও খাদ্য টিকা নির্দিষ্ট এলাকায় কেন্দ্রীভূত না রেখে ভৌগলিক অবস্থান নির্বিশেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্বিতীয়ত পোল্ট্রি বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উত্সাহ প্রদানসহ ঋণের যোগান ইত্যাদি।
বাংলাদেশের বায়ু মাটি জল তাপসহ সার্বিক পরিবেশ পোল্ট্রি চাষে উপযোগী বিধায় এ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে উক্ত শিল্পকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সত্যি কিন্তু পাশাপাশি চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে যা প্রান্তিক চাষিদের বেলায় প্রযোজ্য । যেমন পোল্ট্রিতে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ব্যাপক বিনিয়োগ, একদিনের মুরগির বাচ্চার খাবার ও ওষুধের উচ্চমূল্য ঋণের বৈষম্য, বীমার অনুপস্থিতি, বার্ড ফ্লুর আক্রমণ, নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকেই মুরগির বাচ্চা ফিড ওষুধ কেনার বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি।
পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা
পরিসংখ্যান মতে একটি মুরগি গড়ে সর্বোচ্চ ৩০০টি ডিম দিতে পারে এবং বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয় প্রায় ৩০ টাকায় আর প্রতিটি ডিমের মূল্য পরে ৭.৩০ টাকা যা উৎপাদন খরচের প্রায় কাছাকাছি। বাংলাদেশের ডিমের জন্য কোন প্রকার সংরক্ষণাগার নেই। যার ফলে এই সুবিধা থেকে খামারি বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ পাশের দেশ সারা ভারতে সরকারিভাবে ৬০০টি ডিম সংরক্ষণাগার রয়েছে।
বিশেষত পোল্ট্রি ফিডের মূল্য ও ওষুধসামগ্রীর অভাবে কিছু কিছু অঞ্চলের পোল্ট্রি খামারিরা বিশেষত ঢাকার উপকণ্ঠে নিজ উদ্যোগে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যেমন গাজীপুরের ২২ খামারি নিজেদের খামারের প্রয়োজনীয় ফিড নিজেরাই উৎপাদন করছে। এতে প্রতি কেজি ফিডের খরচ পড়ছে ৩০ থেকে ৩৩ টাকায় মাত্র যা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যই করা হচ্ছে মানসম্মতভাবে। এই সকল ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগ দেশের পোল্ট্রি উৎপাদনের নিবিড় অঞ্চলগুলোতেও গ্রহণ করা যেতে পারে কিন্তু সময় সময় এই স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগটিতে সরকারি নীতিমালা নেই যা খামারিদের বিপাকে ফেলে দেয় যেমন—
২০১১ সালে বার্ড ফ্লুর সংক্রামণ দেখা দিলে তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী বীমা চালুর কথা ঘোষণা দিলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি যার ফলে এই শিল্পে দুর্দশা দেখা দিলে ক্ষুদ্র খামারি, বাচ্চা উৎপাদনকারী ও পোল্ট্রি ফিড বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই শিল্পে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হলেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নীতিমালা থাকলেও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে নীরব থাকে। এর পরও ব্যাংকাররা পোল্ট্রি শিল্পে ঋণ দিতে আগ্রহী নয় যদিও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এ ব্যাপারে বিভিন্ন শর্তে মাঝারি খামারিদের ঋণ দিয়ে থাকে।
পোল্ট্রি শিল্পের সম্ভাবনা
পোল্ট্রি খাতের উদ্যোক্তারা যেভাবে বেসরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছে তাতে অনায়াসেই এই শিল্প এগিয়ে যেতে পারবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদার পল্লী মুখী নীতিমালা বর্তমানে এই শিল্পের জন্য বড় শক্তি ও আশার আলো। তাই পূর্বের ন্যায় কৃষি ব্যাংক বা সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রাণী সম্পদ শাখা খুলে এই শিল্পের নিবিড় কার্যক্রম চালাতে পারে।
তবে পোল্ট্রি শিল্পের ফিড আমদানি বা স্থানীয়ভাবে তৈরির জন্য যে কাঁচামাল বা শিল্প সহায়তার প্রয়োজন সরকারকে তা করতে হবে এবং আভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য মুরগির বাচ্চা বা ডিম যদি আমদানি করতে হয় তবে নিজস্ব খামারিদের স্বার্থের দিকে লক্ষ রেখে মূল্যের সমতা আনতে হবে যাতে খামারি বা আমদানিকারক উভয়ের স্বার্থের যেন রক্ষা হয়। দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বৃহদাকার খামারগুলোতে মানসম্মত বাচ্চা উৎপাদন ও তার সরবরাহ ক্ষুদ্র খামারিদের অনেকাংশে উত্সাহিত করবে এবং সরকারের অগ্রাধিকার খাত হিসাবে পোল্ট্রিতে ভর্তুকি করা সময়ের দাবি।
২০২১ সালের মধ্যে বছরে ১২০০ কোটি ডিম ও ১০০ কোটি ব্রয়লার উৎপাদন সম্ভব
বার্ড ফ্লু’র কারণে পোল্ট্রি শিল্পে গত কয়েক বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পোল্ট্রি খামার। কর্মসংস্থান হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তারপরও বসে নেই খামারীরা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের তথ্য মতে, ডিম ও মুরগির মাংস রপ্তানি করে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে এখাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। ১ লাখ ১২ হাজার পোল্ট্রি খামারে দৈনিক ১ কোটি ৪০ লাখ ডিম ও ১ হাজার ২০০ টন মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। পোল্ট্রি শিল্পের সংগঠন জাতীয় পরিষদের মতে, খামারিদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বীমা প্রথা চালু এবং পোল্ট্রি নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হলে এ খাত থেকে ডিম ও মাংস রপ্তানি করে বছরে ১২ হাজার কোটি আয় করা সম্ভব।
পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব হলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে প্রতি বছর ১২০০ কোটি ডিম এবং ১০০ কোটিরও বেশি ব্রয়লার উৎপাদন করা সম্ভব। বিপিআই-এর গবেষণা তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ পোল্ট্রি শিল্পে বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়ারে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ের মধ্যে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ। তখন দেশের বৃহত্তর খাত হিসেবে পোল্ট্রি শিল্প আত্ম-প্রকাশ করবে। বলা হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই শিল্পে। পোল্ট্রি খামার জেলা, উপজেলা থেকে ছড়িয়ে ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়ে চলে যাবে।
পোল্ট্রি শিল্পে এখন বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ৩৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। চাকরির বাজারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে দেশের যুব ও যুব মহিলারা স্বল্প মেয়াদি প্রশিক্ষণ আর সীমিত পুঁজি নিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই শিল্পকে। বহু বাধা-বিপত্তি, সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকেও জিইয়ে রেখেছেন এই শিল্পের সম্ভাবনাকে। বার্ড ফু আতঙ্কে এই শিল্পটি বেশ কয়েকবার ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। পুঁজি সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে অসংখ্য উদ্যোক্তা। কর্মসংস্থান হারিয়েছে লাখো মানুষ।
২০২১ সালে এর পরিমাণ আরো বেড়ে দাঁড়াবে ৪৭ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। ৫ বছর আগে বাংলাদেশে পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লক্ষ। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের অভিমত, দেশের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন পরিকল্পনা নিয়ে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে অগ্রসর হলে- কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য আনবে পোল্ট্রি শিল্প।
Leave a Reply