Top ওমিক্রন
ওমিক্রন (বড় হাতের অক্ষর Ο, ছোট হাতের অক্ষর ο, মাইক্রন অর্থ ‘ছোট’ যা ওমেগার বিপরীত) গ্রিক বর্ণমালার ১৫ তম অক্ষর। গ্রিক সংখ্যাগুলির সিস্টেমে এটির মান ৭০। অক্ষরটি ফিনিশিয়ান অক্ষর আইয়াইন থেকে প্রাপ্ত। ওমিক্রন অক্ষর থেকে অন্যান্য যে অক্ষরগুলো এসেছে তার মধ্যে আছে রোমান O এবং সিরিলিক O ।
ওমিক্রন বড় হাতের অক্ষর মূলত প্রতীক হিসেবে গণিতে ব্যবহার করা হয় বড় O লিখনপদ্ধতিতে। কিন্তু ওমিক্রনকে লাটিন থেকে লাটিন অক্ষর O আলাদা করা যায় কঠিন এবং একে সহজেই অঙ্ক ০ (সংখ্যা) সাথে গুলিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে।
ওমিক্রন একটি নক্ষত্রের গ্রুপের পঞ্চদশ নক্ষত্রকে মনোনীত করতে ব্যবহৃত হয়, এটির বিশাল স্থান নির্ধারণ এবং অবস্থান উভয় ফাংশনেই। এমন তারার মধ্যে ওমিক্রন অ্যান্ড্রোমিডে, ওমিক্রন সেটি এবং ওমিক্রন পার্সেই অন্তর্ভুক্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকাতে সদ্য আবিষ্কার হওয়া সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাসের)-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি ‘ওমিক্রন’ (Omicron Virus) । করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটির (Omicron Virus) সংকেত পাওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মাইক্রোবায়োলজির নমেনক্লেচারে যে এমন নাম দিতে হতে পারে, তা ভাবা যায়নি।
‘ওমিক্রন’ আতঙ্ক
সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকাতে আবিষ্কার হওয়া সার্স-কোভ-২ (করোনাভাইরাসের)-এর ভ্যারিয়েন্ট বা প্রজাতি ‘ওমিক্রন’ (Omicron Virus) কতটা ক্ষতিকারক? কীভাবেই বা বুঝবেন ওমিক্রন সংক্রমণ ঘটেছে আপনার শরীরে। এর প্রধান উপসর্গই বা কী? এইসব প্রশ্ন ক্রমশ বাড়াচ্ছে উৎকণ্ঠা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন: শামস্ বিশ্বাস
বিশেষজ্ঞদের মতে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের থেকেও ভয়ঙ্কর ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। আরও বেশি সংক্রামক এবং আরও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে করোনার এই নয়া প্রজাতি। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছে ভাইরাসের এই নতুন রূপ। তার পর হংকং এবং ইজরায়েলে আফ্রিকা ফেরত পর্যটকদের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি মিলেছে। এই রূপ উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে ইতিমধ্যেই সব দেশকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু এখনও ভাইরাসের নতুন রূপের ভয়াবহতা সম্পর্কে পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। কিন্তু জিনের বিন্যাসের একাধিক বার বদল ঘটানোয় মনে করা হচ্ছে করোনার এই রূপ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, ওমিক্রন সম্পর্কে কী জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আগে যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, এ রকম ব্যক্তিরা ফের খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পারে ওমিক্রনে।
- জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে কোনও ভাইরাস যত সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক। করোনাভাইরাসের ডেল্টা এবং অন্য রূপের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে রিয়েল টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ পলিমারেজ চেইন রিএকশন (আরটি-পিসিআর) পরীক্ষা এই রূপকে ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
- কোভিডের বিভিন্ন টিকার উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কতটা, তা জানার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
- করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আরও জটিল রোগ ঘটাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। করোনার অন্য রূপে আক্রান্ত হলে যে সব উপসর্গ দেখা যায়, তার থেকে আলাদা কোনও উপসর্গ ওমিক্রন ডেকে আনছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
- প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য জানাচ্ছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেড়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি। কেবলমাত্র ওমিক্রনের জন্য এই বৃদ্ধি কি না, তা বলার পর্যাপ্ত তথ্য এখনও নেই বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
ওমিক্রন প্রজাতি কি করোনার অন্যান্য প্রজাতিগুলির চেয়ে বেশি মারাত্মক?
বর্তমানে, নতুন প্রজাতির একাধিক মিউটেশন রয়েছে, স্পাইক প্রোটিনেই তিরিশের বেশি মিউটেশন। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, তা শুধুমাত্র সংক্রমণের ক্ষেত্রে নয়, টিকার কার্যকারিতার ক্ষেত্রেও। বর্তমানে উপলব্ধ কোভিড টিকাগুলি নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে ততটা কার্যকর প্রমাণিত নাও হতে পারে যতটা হওয়া উচিত।
তবে, টিকা কার্যকর হবে কি না তা শুধুমাত্র সময়ই বলবে। নতুন প্রজাতি সম্পর্কে আরও তথ্য জানার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছে যে নতুন এই প্রজাতি আগের প্রজাতিগুলির তুলনায় ৫০০ শতাংশ বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের সকলেরই এখনও পর্যন্ত হালকা উপসর্গ দেখা গিয়েছে। অনেকেরই কোনও উপসর্গ নেই।
ডেল্টা প্রজাতির সঙ্গে ওমিক্রনের পার্থক্য
এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, “কোভিড-১৯ অতিমারীতে ক্ষতিকারক পরিবর্তনের ইঙ্গিত উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে। তাই বি.১.১.৫২৯-কে (B.1.1.529 ) উদ্বেগের একটি প্রজাতি (Variant Of Concern) হিসাবে মনোনীত করেছে। যার নাম ওমিক্রন। যদি ওমিক্রন দ্বারা কোভিডের আরেকটি বড় ঢেউ ঘটে, তাহলে পরিণতি গুরুতর হতে পারে।”
ডেল্টা প্রজাতির কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছিল। তবে, নতুন এই প্রজাতিটির স্পাইক প্রোটিনে আরও মিউটেশন রয়েছে, স্পাইক প্রোটিনেই ৩০টি মিউটেশন ঘটেছে।
করোনাভাইরাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই স্পাইক প্রোটিন। এর সাহায্যেই মানবকোষে প্রবেশ করে ভাইরাস। যা এটিকে কিছুটা বেশি সংক্রমণযোগ্য করে তোলে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনা সামনে না আসলেও ওমিক্রন ডেল্টা প্রজাতির চেয়ে আরও গুরুতর কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
ওমিক্রনে আক্রান্ত বুঝবেন কী করে? কী কী উপসর্গ রয়েছে?
দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের লক্ষণগুলি কী কী তা প্রকাশ্যে এনেছেন।
তাদের মতে ওমিক্রনের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রনের লক্ষণ হালকা এবং কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওমিক্রনের লক্ষণ
দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (সামা) প্রধান ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি বলেছেন যে গত ১০ দিনে ৩০ জন রোগীকে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত হতে দেখেছেন। ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত রোগীর চরম ক্লান্তি, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো সমস্যা রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে এর লক্ষণগুলো বেশ আলাদা।
সামা প্রধান দাবি করেন, তিনি এখন পর্যন্ত যত রোগী দেখেছেন তাদের সবার টিকা নেওয়া হয়নি। তাদের ওমিক্রনের হালকা লক্ষণ ছিল। তাঁর মতে, ইউরোপের বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনার এই নতুন প্রজাতি দ্বারা সংক্রামিত। এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত বেশিরভাগ রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ডেল্টা আক্রান্তদের মতো ওমিক্রন আক্রান্তদের কেসে এখনও পর্যন্ত স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেনি। এমনকী করোনা আক্রান্তের কেসে এতদিন সবথেকে চিন্তার বিষয় ছিল রক্তে অক্সিজেন লেভেল হঠাৎ নেমে যাওয়া, এই নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে তাও হয়নি।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কি কাজ করবে?
যখন কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হওয়ার পরে, গোটা বিশ্বই এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছিল। এই সব ভ্যাকসিন আদৌ সংক্রমণ রুখতে পারবে কি না, সেই বিষয়েও তখন ভিত্তিহীন আশা ছিল মানুষের। ইন্ট্রা-মাস্কুলার ভ্যাকসিন পদ্ধতিগত ইমিউন রেসপন্স উদ্দীপ্ত করে। শ্বাসনালীতে ভাইরাসের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে, কিন্তু প্রাথমিক স্তরের সংক্রমণ রুখতে পারে না। ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই ভ্যাকসিন দারুণ ভাবে সহায়তা করে।
শুধু তা-ই নয়, মারাত্মক অসুস্থতা এবং মৃত্যু পর্যন্ত রুখে দিতে পারবে এই ভ্যাকসিন। আসলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের এক ধরনের অ্যান্টিবডি প্রয়োজন হয়। ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার পরে শ্বাসনালীর মিউকাস মেমব্রেনে স্থায়ী ভাবে বাস করতে শুরু করে দেয়, তখন সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সেই অ্যান্টিবডিই ওই ভাইরাসকে সাফাই করে বার করে দেয়।
কোভিডের এই মিউকোজাল ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে এবং ট্রায়ালও চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রমাণিত তথ্য সে ভাবে পাওয়া যায়নি। এগুলো কতটা কার্যকরী, সেটা এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকেই জানা যেতে পারে।
কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। বর্তমানে অনুমোদন প্রাপ্ত যে সব ভ্যাকসিন বাজারে মিলছে, সেগুলি পরীক্ষায় পাশ করেছে।
এখন যেসব ভ্যাকসিন চালু রয়েছে সেগুলো তৈরি করা হয়েছিল করোনার মূল ধরনটির চিকিৎসার জন্য। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও এগুলো কাজ করবে, তবে তার কার্যকারিতা হবে কম।
একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, আগে যাদের কোভিড হয়েছে এবং কিছুটা ইমিউনিটি রয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সম্ভবত তাদের দেহের অ্যান্টিবডিকে ঠেকিয়ে দিতে পারে।
ফাইজারের ভ্যাকসিনের ওপর গবেষণাগারের প্রাথমিক তথ্য এবং রোগীদের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে কার্যকারিতা কম।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, এটি ইউকে/কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও একইভাবে কার্যকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এটি কম সুরক্ষা দেয়।
কিছু প্রাথমিক ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, মডার্না ভ্যাকসিন দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে এর ইমিউন রেসপন্স দুর্বল এবং স্বল্পস্থায়ী।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য কি বুস্টার টিকা লাগবে?
ভবিষ্যতের করোনা ভ্যারিয়েন্টগুলোর জন্য টিকা তৈরি করতে ব্রিটিশ সরকার কিওরভ্যাক নামে একটি ওষুধ কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে। পাঁচ কোটি ডোজ টিকার আগাম অর্ডারও দেয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে ভ্যারিয়েন্টগুলোতে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটবে তার ওপর নির্ভর করবে বয়োবৃদ্ধ এবং প্রকট শারীরিক সমস্যার শিকার ব্যক্তিদের চলতি বছরের শেষ নাগাদ এধরনের বুস্টার টিকার প্রয়োজন হবে কিনা।
সবার নজর এখন করোনাভাইরাসের মিউটেশনের দিকে – কোভিড-১৯য়ের নতুন নতুন ধরন যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনি বেশি সংখ্যায় লোক এখন এগুলোতে সংক্রমিত হচ্ছে, এবং ভ্যাকসিনকে ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও এসব ভ্যারিয়েন্টের বেশি।
ছড়িয়ে পড়ছে অমিক্রন
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সব আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সেদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণের আগের একদিনের মধ্যে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় ভ্রমণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ছ’টি রাজ্যে অমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। পাশের দেশ ভারতেও কমপক্ষে ৩০ জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২৪টি দেশে অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার সাথে সাথে ইউরোপের দেশগুলোতেও সংক্রমণ বেড়ে গেছে।
কঠোরভাবে কোভিডবিধি মেনে চলিন, সুস্থ থাকি
প্রসঙ্গত, ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বাংলাদেশও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিঞ্চিৎ ভয়ও জাগিয়েছে এক্ষেত্রে। কেননা, তারা জানিয়েছে, এই প্রজাতির ক্ষেত্রে উপসর্গ না-ও দেখা দিতে পারে। অতএব, এতটুকু শৈথিল্যকে প্রশ্রয় না দিয়ে কঠোরভাবে কোভিডবিধি মেনে চলার কথাই বলা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
Leave a Reply