নার্সিংয়ে ক্যারিয়ার | নার্সিংয়ে পড়াশোনা | পেশা পরামর্শ | ক্যারিয়ার টিপস

বর্তমানে যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করলে পড়াশোনা শেষে কাজের পর্যাপ্ত ক্ষেত্র নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, তার মধ্যে নার্সিং অন্যতম। বিস্তারিত জানাচ্ছেন: শামস্ বিশ্বাস।

নার্সিংয়ে পড়াশোনা

নার্সিং শব্দের আভিধানিক অর্থ তত্ত্বাবধান করা বা সেবা করা। এই নার্সিং শব্দ থেকেই এসেছে নার্স শব্দটি। যারা নার্সিং বিষয়ে দক্ষ, তাদেরকেই বলা হয়ে থাকে নার্স। এর বাংলা অর্থ সেবিকা। হাসপাতালে অসুস্থ মানুষের সেবায় যারা নিয়োজিত থাকেন, তারাই সাধারণত নার্স হিসেবে পরিচিত। দিন দিন মানুষ বাড়ছে, বাড়ছে হাসপাতাল, বাড়ছে রোগ। সাথে সাথে বাড়ছে নার্সের চাহিদা। এ ছাড়া বিদেশে উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থানের সুযোগ তো আছেই। ফলে পড়ার বিষয় হিসেবে নার্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে পড়ার মাধ্যমে যেমন মানবসেবার সুযোগ রয়েছে, তেমনি সুযোগ রয়েছে ভালো ক্যারিয়ারেরও। তাই স্বাস্থ্যসেবার ক্যারিয়ার করতে অনেকেই যুক্ত হচ্ছেন এ পেশায়।

 

নার্সিং

এমন একটি পেশা যা সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। এ পেশার মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিকভাবে কোন রোগী বা ব্যক্তির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার এবং জীবনযাত্রার গুরুত্বতা তুলে ধরা হয়। এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত, দক্ষ কিংবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নার্স বা সেবিকা নামে পরিচিত। প্রধানত: নারীরাই নার্সিং পেশার সাথে জড়িত থাকেন।

 

ইতিহাস

আধুনিককালে নার্সিং সেবা গড়ে উঠার পূর্বে খ্রিষ্টান যাজিকা বা নান এবং সামরিক বাহিনীতে প্রায়শই নার্সিংজাতীয় সেবাকার্য্য পরিচালিত হতো। ধর্মীয় এবং সামরিক বাহিনীর ব্যবহৃত সেবাকার্য্যের বিষয়গুলো বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিপালিত হয়। যুক্তরাজ্যে জ্যেষ্ঠা নারী সেবিকাগণ সিস্টার নামে পরিগণিত হয়ে থাকেন।

ক্রিমিয়ার যুদ্ধে নার্সিং ইতিহাসে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটেছিল। এতে ইংরেজ নার্স ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল পেশাদারী পর্যায়ে নার্সিংয়ের পরিধি এবং নীতিমালা প্রণয়ন ও বিশ্লেষণপূর্বক তাঁর প্রণীত নোটস অন নার্সিং গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

পেশাদারী পর্যায়ে এ পেশার মানোন্নয়নে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নার্স ব্যক্তিত্বরূপে ম্যারি সিকোল, এগনেস এলিজাবেথ জোন্স এবং লিন্ডা রিচার্ড ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছেন। ম্যারি সীকোল ক্রিমিয়ায় কাজ করেছেন; এগনেস এলিজাবেথ জোন্স ও লিন্ডা রিচার্ডস গুণগত মানসম্পন্ন নার্সিং বিদ্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে প্রতিষ্ঠা করেন। তন্মধ্যে – লিন্ডা রিচার্ডস আমেরিকার প্রথম পেশাদার ও প্রশিক্ষিত নার্সরূপে ১৮৭৩ সালে বোস্টনের নিউ ইংল্যান্ড হসপিটাল ফর উইম্যান এন্ড চিল্ড্রেন থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন।

বিশ্বের ১ম দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডে জাতীয় পর্যায়ে নার্সদেরকে নিবন্ধিত করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯০১ সালে নার্সেস রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট প্রণীত হয়। এলেন ডাফার্টি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম নিবন্ধিত নার্স। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম অঙ্গরাজ্যরূপে নর্থ ক্যারোলিনায় নার্সিং লাইসেন্স ল ১৯০৩ সালে গৃহীত হয়। ১৯৯০-এর দশকে নার্সদেরকে ঔষধ দেয়া, ডায়াগনোস্টিক, প্যাথলজি পরীক্ষাসহ রোগীদেরকে প্রয়োজনে অন্য পেশাদারী স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের কাছে স্থানান্তরের অনুমতি দেয়া হয়।

নার্সিংয়ের বিশেষায়িত বিভাগ

যুগে যুগে নার্সিং পেশায় এসেছে নানা পরিবর্তন। বর্তমানে এই পেশায় রয়েছে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা এবং কাজ করার সুযোগ। বাংলাদেশে নার্সিংয়ের বিশেষায়িত বিভাগগুলোর মধ্যে অন্যতম হল-

মিডওয়াইফারি: মিডওয়াইফ নার্স বলতে তাদের বুঝায়- যারা সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে নারীদের প্রাথমিক সেবা প্রদান করে থাকে। সন্তান গ্রহণের পূর্বে, সন্তান প্রসবের সময়ে এবং সন্তান গ্রহণের পর নারীদের পরিচর্যা, পরামর্শ এবং স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সমাধান করা মিডওয়াইফ নার্সদের দায়িত্ব।

কার্ডিয়াক নার্সিং: কার্ডিয়াক নার্সদের মূল কাজ হৃদরোগজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করা। কার্ডিয়াক নার্সিংয়ের জন্য প্রয়োজন উচ্চতর শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা যাতে তারা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ নির্ণয়, সেবা এবং জটিল মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

পেডিয়াট্রিক নার্সিং: সাধারণত শিশু এবং কিশোরদের স্বাস্থ্যজনিত এবং শারীরিক অক্ষমতাজনিত সমস্যায় পরিচর্যা প্রদান করা পেডিয়াট্রিক নার্সদের কাজ। এসব সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিভিন্ন গ্রন্থির সমস্যা।

পাবলিক হেলথ নার্সিং: পাবলিক হেলথ নার্সদের কাজ হল স্বাস্থ্য ও সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অন্য বিভাগের নার্সদের যেখানে একই সময়ে মাত্র একজন রোগীর সেবা প্রদান করতে হয়, পাবলিক হেলথ নার্সদের সেখানে একই সময়ে সমাজের পুরো জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করেই কাজ করতে হয়।

ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটর: ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটরদের মূল কাজ পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান করা। এছাড়া সন্তানসম্ভবা মায়ের সেবা এবং মা ও শিশুর পুষ্টিজনিত সেবা প্রদান করাও ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটরদের কাজের অন্তর্ভুক্ত।

এডাল্ট অ্যান্ড এল্ডারলি হেলথ নার্সিং: প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগে (chronic health problems) আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ, পরিচর্যা, পরামর্শ এবং পুনর্বাসন করা এডাল্ট অ্যান্ড এল্ডারলি হেলথ নার্সদের কাজ।

চাইল্ড হেলথ নার্সিং: শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ, শারীরিক বৃদ্ধি এবং শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ, নিরাময় এবং পরামর্শ প্রদানজনিত কাজ করাই চাইল্ড হেলথ নার্সদের প্রধান কাজ।

মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিক নার্সিং: মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিক নার্সরা মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সেবা ও পরিচর্যা করে থাকে।

কমিউনিটি হেলথ নার্সিং: এটি একটি কমিউনিটি নির্ভর স্বাস্থ্যসেবা, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়। কমিউনিটি হেলথ নার্সরা সাধারণত গ্রামীণ জনপদের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করেন।

 

কোথায় পড়বেন

বিএসসি ইন নার্সিং তথা নার্সিংয়ের ওপর গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক পর্যায়ের পড়ালেখা করার সুযোগ কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে ছিল না। এই বিষয়ে কেবল ডিপ্লোমা এবং প্রাইমারি কোর্সই চালু ছিল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিতসহ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নার্সিং বিষয়ে ডিগ্রি দেওয়া হয়। সরকারি পর্যায়ে দেশের সাতটি নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং, চারটি কলেজে পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং ও পাবলিক হেলথ নার্সিং ডিগ্রি দেওয়া হয়। ৪৩টি সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে দেওয়া হয় ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ডিগ্রি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমার সুযোগ আছে।

 

ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণরা নার্সিং কলেজে বিএসসি কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। উভয় পরীক্ষায় থাকতে হবে জীববিজ্ঞান। যে কোনো বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। সব ক্ষেত্রেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা মিলে নূ্যনতম ৬.০০ থাকতে হবে। বিএসসি কোর্সের জন্য এ দুই পরীক্ষায় আলাদাভাবে জিপিএ ২.৫ ও ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য কমপক্ষে জিপিএ ২.২৫ পেতে হয়।বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের মেয়াদ চার বছর এবং ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ তিন বছর। কোর্স শেষে ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্স শেষে দুই বছর মেয়াদি পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং ও পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ নার্সিং কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া অর্থোপেডিকস, সাইকিয়াট্রিক, পেডিয়াট্রিক, সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক নার্সিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এক বছর মেয়াদি কোর্স চালু আছে। ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ শেষে নার্সদের কাউন্সিলের একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিবন্ধিত হবেন। নিবন্ধন ছাড়া কোনো নার্স কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবেন না।

 

নার্সিং পেশার সম্ভাবনার দিক বিবেচনা করেই এখন অনেক প্রতিষ্ঠানই নার্সিংয়ে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়ার কথা জানাচ্ছে। তবে Bangladesh Nursing Council Ordinance, 1983 (Ordinance No. LXI of 1983) অনুযায়ী কাউন্সিল এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনো প্রতিষ্ঠান নার্সিং বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, ভর্তি করা, সনদপত্র প্রদান ইত্যাদি কাজ করতে পারবে না। কাজেই কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই জেনে নিতে হবে তার সঠিক অনুমোদন রয়েছে কি না।

কাজের সুযোগ

এ বিষয়ে পড়ার পর দেশ-বিদেশে সর্বত্রই ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সমাজসেবা অধিদপ্তর, হোটেল, মোটেল, এনজিও এমনকি পর্যটন কর্পোরেশনেও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে নার্সিংয়ে বিএসসি পাস করে CFNS বা Commission on Graduates of Foreign Nursing Schools-এর পরীক্ষায় পাস করে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে সহজেই কাজ করার সুযোগ আছে। তবে বিদেশে চাকরি পেতে হলে নার্সদের প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ১৩শ’ নার্স সৌদি আরব, লিবিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের তেরটি দেশে কর্মরত রয়েছেন। ইংরেজি জানা ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ নার্স গড়ে তুলতে পারলে এই খাতে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

 

দায়িত্ব

  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা (যেমন: রক্তচাপ মাপা) করা;
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে সঠিকভাবে ঔষধ খাওয়ানো;
  • রোগীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে ডাক্তারকে নিয়মিত জানানো;
  • অপারেশনের আগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ওটি (Operation Theater) প্রস্তুত করা;
  • রোগীকে অপারেশন টেবিলে নিয়ে যাওয়া;
  • অপারেশনের সময় চিকিৎসকে সহায়তা করা;
  • রোগীর সার্বিক পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়া।

 

দক্ষতা ও জ্ঞান

  • রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানা;
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ব্যবহৃত সাধারণ যন্ত্রপাতি (যেমনঃ রক্তচাপ মাপার যন্ত্র বা স্ফিগমোম্যানোমিটার) ব্যবহার করতে পারা;
  • ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ সঠিকভাবে বোঝা ও সে অনুযায়ী রোগীর পরিচর্যা করা;
  • রোগীর সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও ডাক্তারকে জানানো;
  • রোগীর স্বাস্থ্যের অগ্রগতি ও অবনতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করতে পারা;
  • অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা ও প্রয়োজনে ডাক্তারকে সহায়তা করা।

 

আয়রোজগার

ক্যারিয়ারের শুরুতে অ্যাসিস্ট্যান্ট নার্স বা ওটি সিস্টার হিসেবে সরকারি হাসপাতালে যোগ দিলে একজন নার্স সরকারি বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৳৮,০০০ – ৳১৬,৫৪০ মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন। বেসরকারি ক্লিনিকে সাধারণত মাসিক ৳১৪,০০০ থেকে বেতন শুরু হয়। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে কমবেশি হতে পারে আয়।

 

ক্যারিয়ারগ্রাফ

আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা এখনো কম। তাই নার্স হিসাবে নিবন্ধন পাবার পর তুলনামূলকভাবে কম সময়ে চাকরি পাওয়া সম্ভব। সম্ভাবনাময় এ পেশায় রয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও মর্যাদার জীবন।

নার্স থেকে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়ার স্টাফ নার্স ও সুপারিন্টেনডেন্ট বা নার্সিং ট্রেনিং কলেজের প্রশিক্ষক হওয়ার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা ও বিশেষায়িত কারিগরি দক্ষতা। এছাড়াও সরকারের সেবা পরিদপ্তরের উচ্চ পদে যেতে পারেন নার্সরা। সেবাধর্মী এ পেশায় আপনিও অর্জন করতে পারেন সামাজিক মর্যাদা ও ভালো আয়ের সুযোগ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *