আবহাওয়াবিদ

পেশা যখন আবহাওয়াবিদ

আবহাওয়াবিদআবহাওয়াবিদ কে?

একটি দেশ বা অঞ্চলের আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তিত অবস্থা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখা এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করে আগাম তথ্য জানিয়ে দেয়াই আবহাওয়াবিদের কাজ। হাজার হাজার মানুষকে বিপদ সম্পর্কে আগেভাগে সতর্ক করতে পারা আবহাওয়াবিদের সব চেয়ে বড় কৃতিত্ব। সময়ের সাথে সাথে এই পেশাটির গুরুত্ব এবং পরিসর বাড়ছে। রয়েছে সাফল্যের ব্যাপক সম্ভাবনা।
আমাদের দেশে এ ক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্ম সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর কে না জানে আগামী পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন। সুতরাং এ পেশার গুরুত্বও অনেক। গতানুগতিক ধারার বাইরে যারা একটু ব্যতিক্রমধর্মী চ্যালেঞ্জিং পেশায় কেরিয়ার গড়তে চান তারা আবহাওয়াবিদ হতে পারেন।
এই পেশাটি একটু ব্যতিক্রমী মনে হলেও এখানে চ্যালেঞ্জ রয়েছে প্রতি পদে পদে। যারা আবহাওয়াবিদ হতে চান তাদের জন্য সুখবর হলো এই পেশায় এখনও অতটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়নি। ফলে সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। গতানুগতিক ধারার বাইরে যারা একটু ব্যতিক্রমধর্মী চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিজেকে জড়াতে চান তারা আবহাওয়াবিদ হতে পারেন।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের কৌশল ও বিজ্ঞান
প্রাচীন কাল থেকে মূলত চারপাশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হতো। বর্তমানে আবহবিদদের কাছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে, যেগুলো দিয়ে বায়ুর চাপ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ুপ্রবাহ মাপা হয়।
১৬৪৩ সালে ইতালির পদার্থবিজ্ঞানী এভানজেলিস্টা টরিসিলি, বায়ুর চাপ মাপার জন্য ‘ব্যারোমিটার’ আবিষ্কার করেন। খুব শীঘ্রই দেখা যায় যে, ব্যারোমিটার আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর চাপ ওঠানামা করে আর চাপ কমে যাওয়া ঝড়ের সংকেত দেয়। বায়ুমণ্ডলের আর্দ্রতা পরিমাপের যন্ত্র ‘হাইগ্রোমিটার’ ১৬৬৪ সালে আবিষ্কৃত হয়। আর ১৭১৪ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল ফারেনহাইট পারদ থার্মোমিটার আবিষ্কার করেন। এরপর থেকে তাপমাত্রা সঠিকভাবে পরিমাপ করা হয়।
১৭৬৫ সালের দিতে ফরাসি বিজ্ঞানী আনটোয়ান-লোরান ল্যাভৌসিয়ের প্রস্তাব দেন যে প্রতিদিনের বায়ুর চাপ, আর্দ্রতা এবং বাতাসে গতি ও দিক পরিমাপ করা যায়। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “এই সমস্ত তথ্য জানা থাকলে এক বা দুদিন আগে আবহাওয়া সম্বন্ধে প্রায় সঠিক খবর জানানো সম্ভব।” কিন্তু সমস্যাটা হল, সেই সময় এই সমস্ত তথ্য জানা এত সহজ ছিল না।
আবহাওয়াবিদ
শুরুটা যে ভাবে
১৮৫৪ সালে একটা ফরাসি যুদ্ধজাহাজ ও ৩৮টা বাণিজ্যিক জাহাজ ব্যালাক্লাভার ক্রাইমিয়ান বন্দরের কাছাকাছি এসে প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে পড়ে ডুবে যায়। ফরাসি কর্তৃপক্ষ, প্যারিসের মানমন্দিরের পরিচালক আরবেইন-জান-জোসেফ ল্যাভেরিয়েরকে এই বিষয়টা তদন্ত করার দায়িত্ব দেন।
আবহাওয়াসংক্রান্ত রেকর্ডগুলো পরীক্ষা করে তিনি দেখতে পান যে, এই দুর্যোগ ঘটার দুদিন আগেই আসলে ঝড়টা সংঘটিত হয়েছিল এবং ইউরোপের উত্তরপশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলগুলোর ওপর আঘাত এনেছিল। ঝড়ের দিক জানার কোন পদ্ধতি থাকলে ওই জাহাজগুলোকে আগেই সতর্ক করে দেওয়া যেত। এইজন্য ফ্রান্সে জাতীয় ঝড়-সতর্কবাণী বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আর এভাবেই আধুনিক আবহবিদ্যার জন্ম হয়।
সময়ের সাথে সাথে আবহাওয়ার পূর্বাভাষের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের আধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়েছে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে অনেক আবহাওয়া কেন্দ্র আছে, যেখান থেকে রেডিয়োসন্ড সম্বলিত বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হয়। রেডিয়োসন্ড হল এক ধরনের যন্ত্র, যা দিয়ে বায়ুমণ্ডলের অবস্থা পরিমাপ করা হয় ও তারপর ওই তথ্যগুলোকে রেডিওর মাধ্যমে আবার আবহাওয়া কেন্দ্রে জানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও রাডার ব্যবহার করা হয়। বেতার তরঙ্গগুলো মেঘে বৃষ্টিকণা ও বরফকণায় আঘাত পেয়ে ফিরে আসে আর আবহাওবিদরা তখন বুঝতে পারেন যে ঝড় কোন দিকে চালিত হচ্ছে।
১৯৬০ সালে যখন বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম আবহাওয়া উপগ্রহ টিরোস ১-কে টিভি ক্যামেরা সমেত আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন সঠিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে বিরাট অগ্রগতি হয়েছিল। এখন আবহাওয়ার কৃত্রিম উপগ্রহগুলো এক মেরু থেকে অন্য মেরু পর্যন্ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে ভূ-কেন্দ্রীয় কৃত্রিম উপগ্রহগুলো পৃথিবীর উপরিভাগে একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে ও পৃথিবীর যে অংশটুকু এদের দৃষ্টিসীমার মধ্যে আছে সেখানকার খবরাখবর জানাতে থাকে। দুধরনের উপগ্রহই ওপর থেকে দেখা আবহাওয়ার চিত্র সম্প্রচার করে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া
এই মুহূর্তের আবহাওয়া কেমন সেই সম্বন্ধে বলা এক কথা আর এক ঘণ্টা পরে, পরের দিন বা এক সপ্তা পরে আবহাওয়া কেমন হবে সেই সম্বন্ধে পূর্বাভাস দেওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর, ব্রিটিশ আবহবিদ লুইস রিচার্ডসন অনুমান করেছিলেন যে, যেহেতু বায়ুমণ্ডল পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো মেনে চলে, তাই আবহাওয়া সম্বন্ধে আগে থেকে বলার জন্য তিনি গণিতশাস্ত্রকে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সূত্রগুলো এত জটিল ও গণনা করতে এত সময় লেগে যেত যে, পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য গণনা শেষ করার আগেই আবহাওয়া নির্ধারণের রেখাগুলো উধাও হয়ে যেত।
কম্পিউটারের উন্নতির পরে বড় ও জটিল হিসেবগুলো তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হয়। সারা পৃথিবীর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেয়া সম্ভব হয়।
আবহাওয়া পূর্বাভাষ কতটা নির্ভরযোগ্য?
বর্তমানে ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিস ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস ৮৬ শতাংশ সঠিক হয় বলে দাবি করে। মাঝারি পরিসরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য ইউরোপীয় কেন্দ্র পাঁচ দিনের আবহাওয়া প্রায় ৮০ শতাংশ সঠিক করে বলে দিতে পারে, যা কিনা ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকের দুদিনের পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য।
আবহাওয়াবিদআবহাওয়াবিদের কাজ
একটি দেশ বা অঞ্চলের আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তিত অবস্থা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রেকর্ড করে রাখা এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেশবাসীকে আগাম তথ্য জানিয়ে দেয়াই তার কাজ। ঋতুবৈচিত্রের খামখেয়ালীপনায় আবহাওয়া বদলে গেছে অনেকটাই। বর্ষায় অনাবৃষ্টি কখনও অতিবৃষ্টি, গ্রীষ্মের তাপদাহ, শীতে প্রচণ্ড শীত এখন অনেকটাই নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। একজন আবহাওয়াবিদের মূল কাজটাই এ জায়গায়।
অর্থাৎ ঋতুবৈচিত্রের খামখেয়ালীপনায় বিষয়টি যে বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ সুষ্ঠুভাবে আবহাওয়ার ভাবগতি পর্যবেক্ষণ করার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। যেমন ধরুন – কৃষিপ্রধান এই দেশে শস্য ফলানোর জন্য আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি জানা অত্যন্ত জরুরী। এর সাথে জমিতে শস্য ফলানোর বিষয়টি জড়িত। এখানে আবহাওয়াবিদের কাজ হল বছরের কোন সময়টা বৃষ্টি হবে কিংবা একেবারেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই সেটা আগে থেকেই জানিয়ে দেয়া। আবার ধরুন সামুদ্রিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে আগেভাগেই সমুদ্র উপকূলবর্তী জনসাধারণ এবং সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সতর্ক করে দেয়াও আবহাওয়াবিদের কাজ।
অর্থাৎ একজন আবহাওয়াবিদকে পেশাগতভাবেই দায়িত্বশীল হতে হবে। তাকে আবহাওয়ার পূর্ভাবাস জানাতে হবে এবং সে পূর্ভাবাস অনুযায়ী সমুদ্রপথে যান চলাচল করবে। যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হলেও আবহাওয়ার দিকনির্দেশনা জরুরী। এখানেও একজন আবহাওয়াবিদকে তার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। শুধু বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয় না।
দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে, “কমপিউটারে যে সূত্রগুলো আছে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের অবস্থার সম্ভাবনা সম্বন্ধে জানায় মাত্র।” এছাড়াও, এমনকি কোন বড় এলাকার সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য সেখানকার কোন একটা অঞ্চলের আবহাওয়াকে হয়তো বিবেচনা করা হয় না। তাই এর জন্য কিছু কৌশলেরও দরকার হয়। আর এখানেই আবহাওয়া পূর্বাভাসবিদের ভূমিকা রয়েছে। তিনি যে উপাত্তগুলো পান সেগুলোকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে, তা নির্ণয় করার জন্য তিনি তার অভিজ্ঞতা ও বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগান। এই বিষয়টাই তাকে সঠিক পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উত্তর সাগর থেকে ঠাণ্ডা বাতাস যখন ইউরোপ ভূখণ্ডের দিকে সরে আসে, তখন প্রায়ই এক পাতলা মেঘের স্তর গঠিত হয়। এই মেঘের স্তর পরের দিন ইউরোপ উপমহাদেশে বৃষ্টি ঘটাবে নাকি সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে যাবে, তা তাপমাত্রার সামান্যতম পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে। আবহাওয়া পূর্বাভাসবিদের উপাত্ত ও সেই সঙ্গে আগে একইরকম অবস্থা সম্বন্ধে জ্ঞান থাকায় তিনি নির্ভরযোগ্য পরামর্শ দিতে পারেন। সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য কৌশল ও বিজ্ঞানের এই মিশ্রণ খুবই জরুরি।
আবহাওয়াবিদআবহাওয়াবিদ হতে চাইলে
আবহাওয়াবিদ্যা (বা আবহবিদ্যা) মানে এককথায় আবহাওয়া সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে আবহাওয়াবিদ্যা বলে। যে কোনো শিক্ষিত তরুণ যদি আবহাওয়াবিদ হিসেবে তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে তাকে প্রথমত গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে হবে।
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন করেও কারও পক্ষে আবহাওয়াবিদ হওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলো হলো- পদার্থ, ভূগোল ও পরিবেশ, অংক, পরিসংখ্যান। ওই বিষয়গুলোতে গ্রাজুয়েশন এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করার পর বিদেশে গিয়ে বিশেষ ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব।
আবহাওয়াবিদ হিসাবে দেশে ক্যারিয়ার গড়তে চায়লে, অপেক্ষা করতে হবে চাকরির বিজ্ঞাপনের জন্য। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় কোটা খালি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। অতএব এক্ষেত্রে সরকারি অন্য দশটা চাকরির মতই পরীক্ষায় বসতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আবহাওয়াবিদ হওয়ার সুযোগ আসবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্তদেরকে ৬ মাস, ১ বছর ইত্যাদি বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বা জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া কেন্দ্রগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয়। উল্লেখ্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত না হলে এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ বাহিরের কোন ব্যক্তি বা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে এ বিষয়ের উপর আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া বা নেয়ার সুযোগ নেই। আরো বিস্তারিত জানা যাবে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://bmd.gov.bd থেকে।
২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদের অধীনে ‘আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে একটি নতুন বিভাগ চালু করা হয়েছে। বিস্তারিত জানা যাবে http://www.du.edu.bd/academic/department_item/DEMET এই ঠিকানায়।
কেরিয়ার সম্ভাবনা
বাংলাদেশে আবহাওয়াবিদরা শুধুমাত্র আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তার অধীনেই কাজ করতে পারেন একথা যেমন সত্য তেমনি এটাও সত্য যে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও মেধাবীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া আবহাওয়াবিদরা সরকারি চাকুরে। এক্ষেত্রে বেতন ভাতা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীর সকল সুযোগ – সুবিধাই তারা পেয়ে থাকেন। সাথে থাকে দেশে বিদেশে উন্নতর প্রশিক্ষণের সুযোগ সুবিধা।
আবহাওয়াবিদবাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি সংস্থা, যা দেশে আবহাওয়া বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। আবহাওয়া উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস পদ্ধতির মান-উন্নয়নসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য অধিকতর নির্ভুল তথ্য প্রদান এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারসমূহের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং রাডার, উপগ্রহ কেন্দ্র ও কৃষি আবহাওয়া-সংক্রান্ত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক কৃষি-ব্যবস্থাপনার বিকাশে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে থাকে।
১৮৬৭ সালে সর্বপ্রথম দেশের আবহাওয়া কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরায় একটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে এ সংস্থাটি নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তান আবহাওয়া সার্ভিস করা হয় এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ হয়ে ওঠে।
 
তথ্যসূত্র:
  • আপনিও হতে পারেন আবহাওয়াবিদ – জগন্নাথ বিশ্বাস | সমকাল | ২৩ জানুয়ারি ২০১০ | http://archive.samakal.net/print_edition/details.php?news=66&view=archiev&y=2010&m=01&d=23&action=main&option=single&menu_type=&news_id=42463&pub_no=227&type=
  • আবহাওয়াবিদ | পূর্বাভাস দেয়াই যখন পেশা | ফরহাদ হোসেন বিপু | মার্চ ১৫, ২০১৭ | http://www.bidyarthi.com/পূর্বাভাস-দেয়াই-যখন-পেশা/
  • আবহাওয়া পূর্বাভাসের কৌশল ও বিজ্ঞান সচেতন থাক! (২০০১)| https://wol.jw.org/bn/wol/d/r137/lp-be/102001246#h=2
  • বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর | উইকিপিডিয়া | https://bn.wikipedia.org/wiki/বাংলাদেশ_আবহাওয়া_অধিদপ্তর
  • পেশা যখন আবহাওয়াবিদ – শামস বিশ্বাস | দৈনিক আমাদের সময় | ১৪ জুন ২০১৭| http://dainikamadershomoy.com/todays-paper/features/career-shomoy/84673/পেশা-যখন-আবহাওয়াবিদ

Posted

in

by

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *