বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক?
মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ারের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের সম্পদমূল্য বেড়েছে রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের। করোনা প্রদুপ্রভাবের ভেতরেও তার নিট সম্পদ বেড়েছে সাত দশমিক ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই উত্থানের ফলে তিনি জেফ বেজোস, বার্নার্ড আর্নল্ট, বিল গেটসদের পেছনে ফেলে ফোবসের বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথম স্থানে অবস্থান করছেন। অর্থ আদান-প্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম পেপ্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক হাইপারলুপ নামক কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। বর্তমানে সেল্ফ-মেইড বিলিয়নার ইলন মাস্কের নিট সম্পদের পরিমাণ ২৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১০০ কোটি সমান ১ বিলিয়ন। আর ১ লক্ষ কোটিতে ১ ট্রিলিয়ন। বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার হিসেবে ১৯১৬ সালে স্বীকৃতি পান জন ডি রকফেলার। এরপর পেরিয়ে গেছে শতবছরেরও বেশি। বিলিয়নিয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে কয়েক হাজার নাম। কিন্তু বিলিয়নার থেকে ট্রিলিয়নিয়ার দেখা মিলেনি। তবে ইলন মাস্ক যেভাবে এগুচ্ছেন বিশ্ববাসী খুব দ্রুত দেখবে ট্রিলিয়নিয়ার।
ইলন মাস্ক কত টাকার মালিক?
মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও পুঁজিবাজারে কোম্পানির শেয়ারের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের সম্পদমূল্য বেড়েছে রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের। করোনা প্রদুপ্রভাবের ভেতরেও তার নিট সম্পদ বেড়েছে সাত দশমিক ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাহলে ইলন মাস্ক কত টাকার মালিক? বর্তমানে ২৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৩,৯৯,৯৬৮,৬১,৪০,০০০ টাকার মালিক।
এই উত্থানের ফলে তিনি জেফ বেজোস, বার্নার্ড আর্নল্ট, বিল গেটসদের পেছনে ফেলে ফোবসের বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথম স্থানে অবস্থান করছেন। বর্তমানে ইলনের সম্পদের পরিমাণ ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের তালিকায় থাকা ৩৪ ধনকুবেরের সম্পদের প্রায় সমান। এমনকি বিনিয়োগগুরু ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তাঁর ১৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বেশি সম্পদ রয়েছে। বাফেট বর্তমানে বিশ্বের দশম শীর্ষ ধনী। এ ছাড়া চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিল গেটসের চেয়ে ইলনের সম্পদের পরিমাণ বেশি ১৫ হাজার কোটি ডলার।
সাম্প্রতিক দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন ইলোন মাস্ক। মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার উত্থান তাকে শীর্ষ ধনীদের কাতারে নিয়ে এসেছিল। বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নেয়ার হিসেবে এর আগেও অনেক পূর্বাভাসে ইলোন মাস্কের নাম এসেছে। যদিও সেটি মূলত টেসলার শেয়ার পারফরম্যান্সের কারণে। মরগান স্ট্যানলি ব্যাংকের এক বিশ্লেষক পূর্বাভাস দিয়েছে, টেসলা নয়। ইলোন মাস্ককে লাখো কোটি ডলার সম্পদের মালিক করে দিতে চলেছে তার মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
অজানা ইলন মাস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার ছেলে
১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেটোরিয়াতে এলন মাস্কের জন্ম। তার মা একজন কানাডিয়ান ও বাবা একজন দক্ষিণ আফ্রিকান। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর হাইস্কুল শেষে মা আর ভাই-বোনকে নিয়ে কানাডায় চলে যান মাস্ক। সেখানে অন্টারিও’র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও পরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা আর অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেন। স্নাতকোত্তর শেষে পিএইচডি’র জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পান। কিন্তু অর্থ উপার্জনের নেশায় পিএচইডি অধরা থেকে যায়।
৫০০ ডলারের চাকরি
১৭ বছর বয়সে অভিবাসী হিসেবে কানাডায় পাড়ি জমানোর পরে সেখানে প্রথম চাকরিতে তাঁর কাজ ছিল কম্পিউটার গেমস বিক্রি করা। কাজটির বিনিময়ে তিনি মাসে পেতেন মাত্র ৫০০ মার্কিন ডলার।
প্রতিভাধর
১০ বছর বয়সে কমোডর ভিআইসি-২০ কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে কম্পিউটারের উপর তাঁর আগ্রহ জন্মে। তিনি একটি ব্যবহার নির্দেশিকা ব্যবহার করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখেন। বার বছর বয়সে তিনি বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে একটি ভিডিও গেম তৈরী করেন, যার নাম ছিল ব্লাস্টার। এই গেমটি ৫০০ ডলারে তিনি পিসি এন্ড অফিস টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করে দেন।
জিপ-টু
উদ্যোক্তা হিসেবে ভাইকে সাথে নিয়ে তিনি জিপ-টু নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৫ সালে এর পথচলা শুরু হলেও সফল হতে সময় লেগেছিল। সেসময় অ্যাপার্টমেন্টে থাকার খরচ না থাকায় অফিসেই ঘুমাতেন। ১৯৯৯ সালে কমপ্যাক কোম্পানির কাছে নগদ ৩০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জিপ-টু বিক্রি করেন তিনি। জিপ-টু তে থাকা তার ৭ শতাংশ শেয়ারের জন্য তিনি ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছিলেন।
পেপ্যাল
পেপ্যাল নামের টাকা লেনদেনের একটি ডিজিটাল সার্ভিস চালু করে তিনি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে যান। ১৯৯৯ সালে তিনি এক্স.কম নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা পরে পেপ্যালের সাথে একত্রিত হয়। ২০০২ সালে ই-বে’র কাছে পেপ্যাল ১.৫ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন। এই বিক্রি থেকে তার লাভ থাকে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্পেসএক্স
স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশন বা সংক্ষেপে স্পেসএক্স মার্কিন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক এবং মহাকাশ যাত্রা সেবা প্রদানকারী কোম্পানি। প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অঙ্গরাজ্য হথর্ন নগরীতে অবস্থিত। মহাকাশ যাত্রা ও ভ্রমণ সহজলভ্য করার এবং মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে ইলন মাস্ক ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্পেসএক্স। তিনি স্পেসএক্সের প্রায় ৪৮ শতাংশের মালিক। স্পেসএক্স মহাকাশযান এবং রকেট ইঞ্জিনের তৈরির পাশাপাশি ড্রাগন কার্গো স্পেসক্র্যাফট এবং স্টারলিংক স্যাটেলাইট (ইন্টারনেট সরবরাহ করে এমন স্যাটেলাইট) তৈরি করেছে। স্পেসএক্স ড্রাগন ২ স্পেসক্র্যাফট এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মানুষ ও পণ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। স্পেসএক্স বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট বাইটড্যান্সের পেছনে রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায় স্পেস এক্স। স্পেস-এক্স-এর সবচেয়ে আধুনিক ফ্যালকন রকেটের মাধ্যমে ২০১৮ সালের মে মাসে বঙ্গবন্ধু-১ টেলিকম স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হয়।
টেসলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম কোম্পানি হিসেবে এক ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে দেশটির বৈদ্যুতিক যান এবং ক্লিন এনার্জি ভিত্তিক পণ্য নির্মাতা সংস্থা টেসলা ইনকর্পোরেশন। টেসলা এখন ভক্সওয়াগন, টয়োটাসহ বিশ্বের নয়টি বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতার সম্মিলিত বাজারের মূল্যের সমান। এর আগে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড, বহুজাতিক সফটওয়্যার কর্পোরেশন মাইক্রোসফট কর্পোরেশন, বহুজাতিক প্রযুক্তি কনগ্লোমারেট হোল্ডিং কোম্পানি আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড (গুগল), বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি আমাজন.কম ইন্ক এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য ছাড়ায়। এ ছাড়া বিশ্বের আরেকটি এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ানো কোম্পানি হলো সৌদি আরবের জাতীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক কোম্পানী সৌদি আরামকো।
টেসলার বর্তমান পণ্যের মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাড়ির গ্রিড স্কেল, সৌর প্যানেল এবং সৌর ছাদ টাইলস, সেইসাথে এই সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সেবা। জুলাই ২০০৩ সালে টেসলা মোটরস নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থার নামটি বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী নিকোলা টেসলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তার নামানুসারে রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক গাড়ি বিক্রিতে টেসলার হিস্যা ১ শতাংশের কম।
হাইপারলুপ
২০১৩ তে ইলন মাস্ক অভিনব হাইপারলুপের ভাবনা নিয়ে এসে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। পৃথিবীর সর্বোচ্চ দ্রুত গতি সম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার পত্তন হতে পারে হাইপারলুপের মাধ্যমে। কম চাপ যুক্ত টিউবের ভিতর লিনার ইনডাকশন মোটর ও এয়ার কম্প্রেসরে দ্বারা নির্গত বায়ুর চাপে ছুটে চলবে হাইপারলুপ ক্যাপসুল। ৯৬২ কিমি/ঘণ্টায় দৌড়াবে এই ক্যাপসুল। অর্থাত ৫৭০ কিমি পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। তবে এর সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১২২০ কিমি প্রতি ঘন্টায়। এই হাইপারলুপ প্রোজেক্ট কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলোজি কোম্পানির।
দ্য বোরিং কোম্পানি
হাইপারলুপ-এর জন্য সুরঙ্গ খুঁড়তে তিনি ২০১৬ সালে ‘দ্য বোরিং কোম্পানি’ নামক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সম্প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চলা হাইপারলুপের প্রথম পরীক্ষা সফল হয়।
নিউরালিঙ্ক
২০১৬ সালে মাস্কের প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি সম্প্রতি একটি ব্রেইন-মেশিন ইন্টারফেস প্রকাশ করেছে, যা মানুষের মস্তিষ্কের সাথে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন যুক্ত করবে।
বেতন
কোম্পানির সিইও হিসেবে বছরে বেতন নেন মাত্র এক ডলার। নিজের অংশীদারিত্ব থাকা বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশসহ আরও কিছু সুবিধা পান মাস্ক, যার বেশিরভাগই আসে টেসলা থেকে। বছরে ১ ডলার বেতন নেওয়াটা আসলে সিলিকন ভ্যালির একটা ট্রেন্ড।
প্রেম, বিয়ে এবং বিচ্ছেদ
ইলন মাস্ক ২০০০ সালে কানাডিয়ান লেখিকা জাস্টিন উইলসনকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির প্রথম সন্তান নেভাদা আলেকজান্ডার মাস্ক, ১০ সপ্তাহ বয়সে আকস্মিক শিশু মৃত্যুর সিন্ড্রোমে (এসআইডিএস) মারা যায়। এর পরে তারা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)-এর মাধ্যমে পাঁচ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। ২০০৪ সালে জন্ম নেয় যমজ সন্তান গ্রিফিন ও জেভিয়ার। এর পরের বছর একসঙ্গে জন্ম নেয় তিন ছেলে ড্যামিয়ান, স্যাক্সন ও কাই। ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ হয় ইলন ও জাস্টিনের।
২০০৮ সালে, ইলন মাস্ক ব্রিটিশ অভিনেত্রী তালুলাহ রিলেকে ডেটিং শুরু করেন ২০১০ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন। দুই বছর পর তাঁদের সম্পর্কের অবসান ঘটে। তবে ২০১৩ সালে তাঁরা আবার বিয়ে করেন। এর তিন বছর পর আবার তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এর মধ্যে মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ইলন। ২০১৫ সালে অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অ্যাম্বার হার্ডের জীবনে আসেন ইলন মাস্ক।
২০১৭ সালে আলাদা হয় অ্যাম্বার আর ইলনের পথ। এরপর ২০১৮ সালে কানাডিয়ান সংগীতশিল্পী গ্রাইমসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইলন মাস্কের। ২০২০ সালে তাঁদের ঘরে আসে পুত্র এক্স অ্যাশ এ টুয়েলভ। গেল সেপ্টেম্বরের একেবারে শেষের দিকে প্রেমিকা গ্রাইমসের সঙ্গে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কের ‘আধা সমাপ্তির’ ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক।
দানশীলতায় নেই তেমন সুনাম
দানশীল হিসেবে তেমন সুনাম নেই এলন মাস্কের। চলতি বছর ১৫ কোটি ডলার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এলন মাস্ক, যা এ পর্যন্ত তাঁর সবচেয়ে বড় অনুদান। বিশ্বজুড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে। তাদের সাহায্যে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, ইলন মাস্কের সম্পদ এখন ২৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। অর্থাৎ তিনি তাঁর সম্পদের মাত্র ২ শতাংশ দান করলেই মিটবে চরম এই খাদ্যসংকট।
বিতর্কিত চরিত্র ইলন মাস্ক
টেসলার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা এবং বিতর্কের বিষয়বস্তু রয়েছে যার মধ্যে সিইও এলন মাস্কের বিবৃতি এবং আচরণ, হুইসেলব্লোয়ারের প্রতি প্রতিশোধের অভিযোগ, কথিত শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন, এবং তাদের পণ্যের সাথে অমীমাংসিত এবং বিপজ্জনক প্রযুক্তিগত সমস্যা ইত্যাদি।
বিতর্কের জন্ম দিতে ভালোবাসেন মাস্ক। টুইটারে নানা বিতর্কিত টুইট করেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের সহযোগীদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন নানা সময়। একবার কমেডিয়ান জো রোগান-এর সঙ্গে অংশ নেওয়া এক পডকাস্টে সরাসরি সম্প্রচারের সময় গাঁজা সেবন করেছিলেন।
Leave a Reply