ফিল্ড সুপারভাইজার

মাঠ পর্যায়ের কাজ সমন্বয়ের জন্য বিশ্বের অনান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফিল্ড সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানভেদে জেডি পৃথক হলেও মূল দায়িত্বটা সাধারণত মাঠ পর্যায়ে কাজ করা।

কাজের সুযোগ

ফিল্ড সুপারভাইজার হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।

দায়িত্ব

  • প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের পরিচালনা করা এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করা।
  • মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সাথে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের সমন্বয় করা এবং তাদের দাবিদাওয়া ও প্রয়োজনীয়ত সুযোগ সুবিধা সম্পের্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।
  • মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দায়িত্বপালন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং কাজের ক্ষেত্রে কোন ধরণের অনিয়ম, দূনীতি, দায়িত্বে অবহেলা ও বৈষম্য যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা।
  • তৃণমূল পর্যায়ের সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা।
  • মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কোন স্বাস্থ্যগত বা অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠানের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা এবং এ ব্যাপারে সমন্বয় সাধন করা।
  • মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য হেডঅফিসের কে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা।
  • পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ক্রেতার তথ্যের ব্যবস্থা করা।
  • সঠিক গ্রাহক সেবা প্রদান।
  • পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিজের টেরিটোরি বা জোনের আয় ও বিক্রয়ের হিসাব রাখা।
  • মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সংখ্যা ও কাজের অগ্রগতির পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তৈরি করা।
  • মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের উপর সাপ্তাহিত, মাসিক বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী সময়ের রিপোর্ট তৈরি করা।

যোগ্যতা

ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এ ক্ষেত্র শিক্ষিগত যোগ্যতা এবং বয়সসীমা সিথিল থাকে। তবে সাধারণত ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতে চায়লে যে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত হতে হয়। ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে নারী বা পুরুষ নিয়োগের ব্যাপারে আলাদা করে উল্লেখ থাকে।

দক্ষতা ও জ্ঞান

  • দলগত ভাবে কাজ করার যোগত্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • তদারকি করার ক্ষমতা।
  • অর্পিত দায়িত্বপালনের জন্য বিচক্ষণ হওয়া জরুরি।
  • কঠোর পরিশ্রমী ও ধৈর্যশীল হতে হবে।
  • বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষমতা।
  • যোগাযোগ দক্ষতা, সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট পারদর্শী হতে হবে।
  • অফিস এপ্লিকেশন যেমন ওযার্ড প্রসেসর, স্প্রেডশিট, স্লাইড প্রেজেন্টেশনসহ অন্যান্য কাস্টমাইজ সফটওয়্যার ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে।
  • গাণিতিক হিসাবে পারদর্শী হতে হবে।
  • কর্মী, গ্রাহক বা ক্রেতার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ।
  • তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা।
  • দুর্দান্ত গ্রাহক পরিষেবা দক্ষতা।
  • চুক্তির শর্তাদি এবং মূল্য সম্পর্কে শব্দ জ্ঞান।

আয়রোজগার

সাধারণত একজন ফিল্ড সুপারভাইজারের বেতন মাসিক ১০,০০০ – ২০,০০০ টাকা। এবং সাথে সাথে বিপনন প্রতিষ্ঠাগুলো তে টার্গেট ফিলাপের ক্ষেত্র ইনসেনডিভ – অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রফিট শেয়ার পাওয়ার সুযোগ থাকে। এ সব সুযোগ সুবিধা পুরোটাই নির্ভর করে নিযোগ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার উপরে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *