চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ফুটবল তারকায় মাতোয়ারা পুরো বিশ্ব। তারকাদের জাদুতে প্রতিদিনই আলোড়িত হচ্ছে পৃথিবীর সব ফুটবলপ্রেমী। তাদের কাছে এই তারকারা আকাশের তারার মতো। অথচ তাদেরও আছে ব্যক্তিগত জীবন। আছে বান্ধবী, স্ত্রী। তাদের তারকাখ্যাতিও কম নয়। তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে এ আয়োজন।
আন্তোনেলা রোকুজ্জো : ফুটবলবিশ্বের এক অনন্য বিস্ময় বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। গত বছর জুলাইয়ে তিনি গাঁটছড়া বেঁধেছেন ছোটবেলার বান্ধবী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর সঙ্গে। পাঁচ বছর বয়সে তাদের পরিচয়। মাধ্যম ছিলেন বাল্যবন্ধু লুকাস স্কাগলিয়া। বন্ধুর চাচাতো বোনের সঙ্গে ‘খেলার সাথী’র সম্পর্কটাই একসময় প্রণয়ে মোড় নেয়। রোকুজ্জোর সঙ্গে পরিচয়ের পর মেসি ১৩ বছর বয়সে স্পেনে চলে যান। কারণ তিনি বার্সেলোনায় খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু শর্ত ছিল যে, এ জন্য স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাবটিকে মেসির হরমোনজনিত চিকিৎসার খরচ জোগাতে হবে। একটু লাজুক স্বভাব হওয়া সত্ত্বেও ছোটবেলা থেকে শুধু প্রিয় বান্ধবীকে একনজর দেখার জন্য রোকুজ্জোর বাড়িতে প্রতিদিনই যেতেন মেসি। এর আগে মেসি অনেকবারই বলেছেন, তার প্রেমিকা ও সাবেক ফুটবল ক্লাবকে পেছনে ফেলে তার স্পেনে চলে আসতে কতটা কষ্ট হয়েছিল। বার্সেলোনায় পাড়ি জমালেও কখনো রোকুজ্জোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি মেসির। যদিও প্রণয়ের ব্যাপারটা গোপন ছিল অনেক দিন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এক ছাদের নিচেই ছিলেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই প্রথম গোমর ফাঁস করেন। এরপর থিয়াগো থেকে মাতেওর জন্ম। সবকিছুই হয়েছে মহাধুমধামে। ২০১২ সালের ২ জুন ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসির বল জার্সির নিচে নিয়ে থিয়াগোর আগমনী বার্তা দেওয়া সেই উদযাপন এখনো চোখে ভাসার কথা ফুটবলপ্রেমীদের। সেই বছরই এ জুটির ঘর আলো করে আসে প্রথম সন্তান থিয়াগো। ২০১৫ সালে জন্ম নেয় দ্বিতীয় সন্তান মাতেও। আন্তোনেলা রোকুজ্জোর মতো জন্মশহর রোজারিওর প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অটুট। গত বছর সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাল্যসাথী’কে ঘরে তোলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ব্রুনা মার্কুয়েজিন : বর্তমানে ফুটবলবিশ্বের অন্যতম দামি খেলোয়াড় নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস থেকে স্পেনের বার্সেলোনা আর সেখান থেকে ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে পাড়ি জমানো নেইমারের সঙ্গিনী বদলের ইতিহাস আরও চমকপ্রদ। কথিত আছে, এখন পর্যন্ত কমবেশি ১৮ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে নেইমারের প্রেমীকা ব্রাজিলীয় মডেল অভিনেত্রী ব্রুনা মার্কুয়েজিন। ব্রাজিলে টেলিভিশনে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। ২০১২ সালে এক কার্নিভালে ব্রুনার সঙ্গে দেখা হয় নেইমারের, তবে তখনো তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে কয়েক দফা বিচ্ছেদ ও মিলনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে তাদের সম্পর্ক। নেইমার-ব্রুনা জুটিকে ব্রাজিলে সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল কাপেল হিসেবে ধরা হয়। মাঠে ও মাঠের বাইরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে মানসিক শক্তি জোগাতে ব্রুনার জুড়িমেলা ভার। বিশ্বকাপে প্রেমিকের পাশে থাকতে ব্রাজিলের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘গড সেভ দ্য কিং’-এ অভিনয় থেকেও সরে এসেছেন তিনি। নেইমার বিশ্বকাপ জিতলেই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলবেন। ব্রুনার জন্ম ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয়। শৈশব থেকেই তিনি অভিনয়ে পারদর্শী। অভিনয় ও মডেলিংই তার পেশা।
১৯ বছর বয়সেই বাবা হন নেইমার। তার ছেলের নাম ডেভিড লুকা।
জর্জিনা রদ্রিগেজ : রাশিয়া বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। জাতীয় দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনেকেই বলেন, ভালো করার জন্য অনুপ্রেরণা লাগে। সেটি যে ভালোভাবেই পাচ্ছেন সিআর সেভেন তাতে কোনো সংশয় নেই। বল নিয়ে যখন মাঠ কাঁপাচ্ছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার, তখন গ্যালারিতে গলা ফাটিয়ে সমর্থন জোগাচ্ছেন তার প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজ। গুঞ্জন রয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারেন এই প্রেমিক যুগল।
জর্জিনা রদ্রিগেজের জন্ম স্পেনে। ২০১৬ সাল থেকেই পর্তুগালের ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তার সম্পর্ক। নাচ নিয়ে পড়াশোনা করেন জর্জিনা, তবে পরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইংরেজি বিষয়ে লেখাপড়া করে মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার আগে স্পেনের মাদ্রিদে গুচির একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি। রোনালদোর চার সন্তান। সাত বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়র, তার মায়ের নামটি কখনই বলেননি রোনালদো। ইভা ও মাতেও নামে দুই সারোগেট সন্তানও আছে তার। ২০১৭ সালে জর্জিনার গর্বে জন্ম নিয়েছে রোলানদোর মেয়ে আলা মার্তিনা। মাঠের গোল করতে পারদর্শী সিআর সেভেনের জীবনে বান্ধবীর আনাগোনা কম হয়নি। এ পর্যন্ত ২৩ জন নারীর সঙ্গে মন আদান-প্রদান করেছেন। বান্ধবী পটানোর শুরুটা হয়েছে ২০০৩ সাল থেকে। রোনালদোর ১১ বছরের ক্যারিয়ারের প্রথম প্রেম ছিল সতীর্থের বোনের সঙ্গে। স্পোর্টিং লিসবনে খেলার সময় ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ মারিও জার্ডেলের বোন জর্ডানা জার্ডেলের সঙ্গে প্রথম প্রেমে মজেছিলেন রোনালদো। এরপর ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে রোনালদোর প্রেমের জালে পড়েন পর্তুগিজ মডেল ইসাবেল ফিগুয়েরা। পরের বছরই ডায়ানা শাভেজের প্রেমে পড়েন ভালোবাসার নায়ক। ওই বছরেই আরও দুজন রমণী রোমেরো ও সোরাইয়া শাভেজের সঙ্গে প্রেমলীলায় মেতেছিলেন ফুটবল কিং রোনালদো। পরের বছরই রোনালদো প্রেম করেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা বসু ও রাশিয়ান টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা সঙ্গে। জনপ্রিয় মার্কিন মডেল প্যারিস হিল্টন ও কিম কারদেশিয়ানের সঙ্গেও চুটিয়ে প্রেম করেছেন রোনালদো। এ ছাড়া রোনালদোর প্রেমের তালিকায় ছিলেন লুসিয়ানা, আতকিনসন, কারিনা বাচ্চি, নিকি ঘাজিয়ান, ফিলিপ্পি, নারেইডা গ্যালার্ডো, মিয়া জুদাকেন, গ্যাব্রিয়েলা, অ্যালিক গুডউইন, লুয়ানা বেলেত্তি, রাফায়েল্লা ফিকো, ইমোজেন থমাস, জেসমিন, লুসিয়া ভিয়ালন, ইরিনা শায়াক ও জর্জিনা রদ্রিগেজ। এদের মধ্যে ইরিনা শায়াকের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় থেকেছেন রোনালদো। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ দীর্ঘ সময় ইরিনার সঙ্গে ছিলেন তিনি।
শাকিরা : কলম্বীয় সংগীতশিল্পী শাকিরার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলম্বিয়ার বার্রানকিলায়। তার প্রথম প্রেমিক ছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো ডে লা রুয়ার ছেলে অ্যান্টোনিও। দীর্ঘ ১১ বছর একসঙ্গে বাস করার পর শাকিরা ও অ্যান্টোনিওর সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের পরই শাকিরার বিরুদ্ধে আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেছিলেন অ্যান্টোনিও। আদালতে অ্যান্টোনিও উল্লেখ করেন, শাকিরা নামটি একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া শাকিরার তুমুল জনপ্রিয় ‘হিপস ডোন্ট লাই’ ও ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গান দুটি তৈরির ভাবনাও প্রথম তার মাথায় এসেছিল। এসব কারণেই তিনি মনে করেন, শাকিরার আয়ের একটি অংশ তার প্রাপ্য। অ্যান্টোনিওর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর লা লিগার দল ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা এবং স্পেন জাতীয় দলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকেকে নতুন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন শাকিরা। জেরার্ড পিকের সঙ্গে শাকিরার পরিচয়টাও গান ও ফুটবলের মাধ্যমেই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে স্পেনের হয়ে অনুশীলনে শাকিরার সঙ্গে পিকের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। পিকে ছিলেন দলীয় অনুশীলনে আর শাকিরা গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অফিশিয়াল সংগীত ‘ওয়াকা ওয়াকা’র রেকর্ডিংয়ে। তখন থেকেই তাদের শুরু। আর ঠিক তার এক বছর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেমের ঘোষণা দেন এ জুটি। তাদের দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর। জেরার্ড পিকে শাকিরার চেয়ে ১০ বছরের ছোট। তার পরও কোনো বাধা মানেনি তাদের ভালোবাসা। এখন তাদের সংসারে রয়েছে দুজন ছেলেসন্তান।
ম্যাগি সালাহ : ফুটবল বিশ্বে নতুন বিস্ময়ের নাম মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। মিসর ও লিভারপুলের এই তারকা ফুটবলার তার ক্লাবকে নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে, আর দেশকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। এমনিতে অন্তর্মুখী বলেই পরিচিত সালাহ – পারবারিক জীবনের কথা খুব একটা সামনে আনতে চান না। ২০১৩ সালে তিনি বিয়ে করেন স্বদেশি ম্যাগিকে। স্কুলে পড়ার সময় তাদের আলাপ হয়। বর্তমানে পেশায় জৈব রসায়নবিদ ম্যাগি সালাহ। নিজের গ্রামের সব অধিবাসীর সেই বিয়ে উৎসবে নিমন্ত্রণ করেছিলেন সালাহ। মিসরের নামিদামি শিল্পীরা গান গান তার বিয়েতে। এই দম্পতির একমাত্র কন্যা জন্ম নেয় ২০১৪ সালে, মুসলিমদের পবিত্রতম নগরী ও তীর্থস্থান মক্কার নামানুসারে মেয়ের নাম মক্কা রাখেন তারা। কন্যার ছবি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সালাহ।
আমিন গুলসে : গেল বছর সাবেক মিস তুর্কির আঙ্গুলে আংটি পরিয়েছেন আর্সেনালের জার্মান স্ট্রাইকার মেসুত ওজিল। বিয়ের কাজটা না সারলেও একসঙ্গে চুটিয়ে ঘুরছেন তারা। ২০১৫ সালে আমিন গুলেসের প্রেমে পড়েন ওজিল। তার এক বছর আগেই তিনি হয়েছিলেন তুরস্কের সেরা সুন্দরী। ঐ বছরই বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছিলেন জার্মান ফরোয়ার্ডের প্রেমিকা। এরপর থেকেই নিজেদের প্রেমের ব্যাপারটি সবাইকে এড়িয়ে গেছেন তারা। যদিও গেল বছর জুলাইয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে একটি মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ হয়- প্রেমের পর ওজিল ও আমিন গুলেস আলাদা হয়েছেন। মিথ্যা রিপোর্টগুলি শেষ করার জন্য, এবার নিজেদের একটি ছবি একসঙ্গে পোস্ট করেছিল ওজিল-গুলেস।
ওজিল ও আমিন গুলসের সঙ্গে অদ্ভুত এক মিল রয়েছে। দু’জনের শেকড় একই- তুরস্কের বংশোদ্ভূত। কিন্তু দু’জনের জন্মই অন্য দেশে। মেসুত ওজিলের জন্ম জার্মানিতে এবং দেশটির জাতীয় দলের হয়ে খেলেন তিনি। আর আমিন গুলসের জন্ম ও বসবাস সুইডেনে তুরস্কের টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করে তিনি ইতোমধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছেন। অংশ নিয়ে ছিলেন ২০১৪ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায়।
পিলার রুবিও : ক্লাব কিংবা আন্তর্জাতিক ফুটবলে কুরুক্ষেত্রে তৈরিতে এগিয়ে স্পেন ও রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক সার্জিও রামোস। ফুটবলে ভয়ঙ্কর ট্যাকেলের জন্য বিখ্যাত সার্জিও রামোস। ট্যাকেল কিংবা মধ্যমাঠে প্রভাব বিস্তারের জন্য জুড়ি নেই ভয়ঙ্কর এই ফুটবলারের। তবে প্রেমের ক্ষেত্রে ঠিক উল্ট স্পানিস এই সেন্টার-ব্যাক। পিলার রুবিওর সাথে তাঁদের প্রেমটা বেশ পুরনো। কিন্তু জমজমাট। সেই ২০১২ থেকে শুরু। তবে এখনও এতটুকু ভাঁটা পড়েনি তাঁদের প্রেমে। বরং তা তরতর করে বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক পিলার মা হয়েছেন তৃতীয়বারের মত। রামোসের থেকে তিনি প্রায় আট বছরের বড়। পিলারের বয়স ৪০। আর রামোজের বয়স ৩২। টিভি প্রেজেন্টার এবং অভিনেত্রী পিলার রুবিও কম বিখ্যাত নন। অনলাইনে এবং অফলাইন তাঁর ফ্যান ফলোয়ারের অভাব নেই। তিন সন্তান নিয়ে রাশিয়ায় স্পেনের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন রুবিয়া।
পামেলা অ্যান্ডারসন : হলিউডের ‘বেওয়াচ’খ্যাত অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসনের নতুন করে পরিচয় দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। যৌনতা ও স্বল্পবসনার কারণে তিনি হলিউডে প্রায়ই বিতর্কের ঝড় তুলেন। আবার নিখুঁত অভিনয়শৈলীর গুণে তিনি সর্বদা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। অভিনয় করেছেন অ্যাকশান, কমেডিসহ বিভিন্ন ধরনের মুভিতে। ১৯৯৫ সালে বয়সে ৪ বছরের বড় রকস্টার টমি লিকে বিয়ে করেছিলেন পামেলা অ্যান্ডারসন। দুই পুত্রসন্তান ব্র্যান্ডন এবং ডিলানকে নিয়ে সুখেই কেটেছে তাদের ৩ বছরের সংসার। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এই তারকা দম্পতির। টমির পরে কিড রক এবং রিক সালোমানকে বিয়ে করেছিলেন পামেলা। তবে তাদের সঙ্গেও খুব বেশিদিন ঘর করেননি এই আবেদনময়ী তারকা। পঞ্চাশেও তাঁর আবেদন বা লাস্যে ভাঁটা পড়েনি একটুও। চাঙ্গা তাঁর ‘লাভ লাইফ’ও। এবারের বিশ্বকাপে তাঁর নতুন প্রেমিক মার্সেই তারকা আদিল রামি প্রথমবার খেলতে চলেছেন। ফরাসি এই ডিফেন্ডারের বয়স মাত্র ৩২। আর প্যামের বয়স ৫০। তবুও তাঁর প্রতি অকর্ষণ এতটুকু কমেনি মানুষের। আর কে না জানে, বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা ছাড়া কিছুই নয়। তাই এই ১৮ বছরের ব্যবধানের প্রেমে অশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই নেই।
Leave a Reply