চাকরিপ্রার্থীরা কী কী করবেন, কী কী করবেন না

সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত আর পরিশ্রমে ছেঁটে যেতে পারে বেকারের তকমাটা। তাই রইলো চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কয়েকটা টোটকা কি করবেন আর কি করবেন না।

চাকরিপ্রার্থীরা কী কী করবেন

  • সব সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন, এটা না-ও হতে পারে। তাই এ ধরণের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকুন।
  • নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখুন। কি কি কারণে বা ঘটতির জন্য আপনার চাকরি হয়নি তার খতিয়ে দেখুন এবং তা দূর করার চেষ্টা করুন যেমন: আপনার ইংরেজি তে কথা বলতে সমস্যা, সেক্ষেত্রে স্পিকিং কোর্স করতে পারেন। সাধারণ জ্ঞানে সমস্যা থাকলে সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ুন।
  • দক্ষতার জায়গাগুলি ফোকাস করুন। বাড়িয়ে ফেলুন নিজের দক্ষতা। যেমন আপনি একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স কিন্তু একাউন্টিং সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনার তেমন কোন ধারণা নাই। এক্ষেত্র নেট থেকে বিভিন্ন একাউন্টিং সফটওয়্যারের টিউটোরিয়াল দেখে দক্ষতা বাড়ান।
  • পড়াশুনা কেবলই শেষ করেছেন তারা যে সেক্টরে চাকরি কারা ইচ্ছা পোষণ করেন সেই সেক্টর সম্পর্কে যত সম্ভব তথ্য যানা যায় জানুন।
  • লক্ষ্য ঠিক রুখুন, বিভ্রান্ত হবেন না। সঠিকভাবে চিন্তাভাবনা করুন। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার রাখুন। ব্যাঙ্কে চাকুরী করা জেদ আছে কিন্তু এদিক সেদিকেও ট্রাই করছেন। এমন করলে তো হবে না। ব্যাঙ্কের চাকুরীর রিক্যুয়ারমেন্টে কিভাবে ভালো করবেন এই দিকে বেশি সময় দিন।
  • নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা এবং আগ্রহ, এই তিনটির যোগফলে যে চাকরি আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ, সেগুলিই বেছে নিন।
  • যোগ্যতা অনুযায়ী যে চাকরি পেতে পারেন, শুধুমাত্র সেগুলিতেই আবেদন করবেন না। সেই সাথে তার নীচের এবং ঠিক উপরের পদ বা চাকরির জন্যও আবেদন পাঠান।
  • নিজের যোগাযোগের নেটওয়ার্কটা বাড়ান। যে সেক্টরে কাজ করতে চান সেই সেক্টরে পরিচিত যারা কাজ করছে তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়ান। সিভি ই-মেইল করে রাখুন। যেন ভ্যাকান্সি পেলেই আপনাকে জানাতে পারে, রেফার করতে পারে।
  • সাজিয়ে রাখুন আপনার সোশাল নেটওয়ার্ক আইডি যেমন ফেসবুক-টুইটার। কারণ এখন অনেক নিয়োগকর্তা চাকরিপ্রার্থীর সম্পর্কে জানতে সোশাল নেটওয়ার্ক আইডি চেক করে থাকে। তাই এখানে এমন কোন পোস্ট-কমেন্ট রাখবেন না যাতে করে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।
  • ইন্টার্ভিউয়ের জন্য কোন কোম্পানিতে গেলে অবশ্যই সেই সংস্থা সম্পর্কে হোমওয়ার্ক করে যান।

চাকরিপ্রার্থীরা কী কী করবেন না

  • পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি এলো। কিন্তু কথাবার্তা অনেক এগোনোর পর জানা গেল, কোম্পানিটির কোনও অস্তিত্বই নেই। এমন ঘটনা ঘটছে আকছার। অন্য ক্ষতি যদি না -ও হয়,সময়ের অপচয় তো বটে!
  • নিজের ‘মামা-চাচা’ নেই, তাই ‘মামা-চাচা’ খুঁজে সময় নষ্ট কারা মানে হয় না। তারা আপনার হয়ে চাকরি করে দিবে না। আপনাকে ৯টা- ৬টা কাজ করে স্যালারি ড্র করতে হবে। আপনি যোগ্য না হলে উনারা খুব একটা বেশি দিন ব্যাক-আপ দিতে পারবে না। বাজারে ‘মামা-চাচা’র যে গল্প চালু আছে তা উদাহরণ নয়,ব্যতিক্রম।
  • সিভিতে যে ফোন নম্বরটা দেওয়া আছে সেটা বদলে ফেলবে না। এমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে একাধিক নম্বর ব্যবহার করুন।
  • সোশাল নেটওয়ার্ক যেমন ফেসবুক-টুইটারে যে ই-মেল ঠিকানাটা দেওয়া আছে সেটা সিভিতে ব্যবহার করবে না। কারণ এসব জায়গা থেকে প্রচুর ই-মেল আসে ফলে নিয়োগকর্তার ই-মেল মিস-লুক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টার্ভিউয়ের জন্য নিজেকে খুব ভাল করে তৈরি করুন। মনে রাখবেন, প্রতিটি সুযোগই আপনার কাছে ‘শেষ’ সুযোগ। সেই ভাবে তৈরি হয়ে চাকুরীর জন্য যান।
  • আর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আত্মবিশ্বাসটা বজায় রাখুন। এই অবস্থায় সেটাই আপনার পুঁজি। অবসাদে ভুগবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি। হতাশ হওয়া যাবে না। পথ চলা যখন শুরু করেছে লক্ষ্য পৌছাতেই হবেই।
  • মনে রাখুন, আপনি চাকুরীর জন্য লড়াই করছেন। যুদ্ধের ময়দানে মনমরা হয়ে থাকলে আগেই হেরে যাবনে। তাই, সবসময়ে হাসিমুখে থাকুন। খুশি থাকুন।

Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *