তারকাদের পেশা জীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তি জীবন – এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে ভক্তদের অনাগ্রহের আছে। আর সে-টা যদি হয় সেরাদের কোন তালিকা তাহলে তো কথাই নেই। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস উপার্জনের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ২০ অভিনেতার তালিকা প্রকাশ করছে। [১] এই তালিকায় আয়ের দিক থেকে ‘শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র মধ্যে রয়েছে হলিউডের ৭ জন এবং বলিউডের ৩ জন অভিনেতা। আজ রইল – ফোর্বস -এর তালিকার ভিত্তিতে ২০১৭ সালে বিশ্বের সর্বচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র কথা –
শীর্ষ ১০ অভিনেতা : ২০১৭ সালে সর্বচ্চ উপার্জনের ভিত্তিতে
০১. মার্ক ওয়ালবার্গ
ফোর্বস-এর ‘শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায় ২০১৭ সালে হলিউডের সবচেয়ে বেশি রোজগেরে অভিনেতা মার্ক ওয়ালবার্গ-এর আয় ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা, প্রযোজক এবং র্যাপার মার্ক রবার্ট মাইকেল ওয়ালবার্গ-এর জন্ম ১৯৭১ সালে ৫ জুন। অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে মার্কি মার্ক নামে পরিচিত ছিলেন। “মার্কি মার্ক অ্যান্ড দ্য ফাংকি বাঞ্চ” নামক ব্যান্ড দলের সাথে র্যাপ শিল্পী হিসেবে ১৯৯১ সালে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি দ্য ডিপার্টেড ছবিতে সার্জেন্ট শন ডিগনাম চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এ বছর মার্ক ওয়ালবার্গ-এর আয়ে যোগ হয়েছে ট্রান্সফর্মার্স: দ্য লাস্ট নাইট, ড্যাডি’স হোম ২, অল দ্যা মানি ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড এবং দ্য সিক্স বিলিয়ন ডলার ম্যান-এর পারিশ্রমিক। গেল বছর তার চলচ্চিত্র বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর সাথে রয়েছে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট ভিত্তিক টিভি রিয়ালিটি শো এবং বিশ্বের সব চেয়ে বড় টেলিকম্যুনিকেশন কোম্পানি এটিএন্ডটি’র চুক্তি।[২] [৩]
০২. ডোয়েনে জনসন
গত বছর ফোর্বস-এর ‘শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায় শীর্ষ স্থানে ছিলেন ‘ দ্য রক’খ্যাত ডোয়েনে জনসন। এবার তিনি দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছেন। এ বছর তার আয় ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা, প্রযোজক, আমেরিকান ফুটবল’ খেলোয়াড় এবং রেসলার ডোয়াইন ডগলাস জনসন-এর জন্ম ১৯৭২ সালের ২ মে। শুরুতে ‘রকি মায়াভিয়া’ রিং নেম দিয়া পেশাদার রেসলিং শুরু করলেও তিনি পরবর্তীতে ১৯৯৬ থেকে ‘দ্য রক’ নামে ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশন (ডব্লু ডব্লু এফ,বর্তমানে ডব্লিউডব্লিউই) এ অসাধারন জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ডোয়েনে জনসন কে সর্বকালের অন্যতম একজন সেরা পেশাদার রেসলার হিসেবে ধরা হয়। শুধু রিংয়ে নয় তিনি তাঁর দাপট দেখিয়েছেন সিনেমায় এবং টেলিভিশনেও। ডোয়াইন জনসন প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ‘দ্য স্করপিয়ন কিং’ সিনেমায়। ডোয়াইন জনসনের আয়ের বেশির ভাগই এসেছে ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমা থেকে। এছাড়া তার সান আন্দ্রিয়াস, এইচবিও চ্যানেলে ‘বেলার্স’ এবং বেওয়াচ সিনেমার মাধ্যমে ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে জুমানজি: ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল।[৪] [৫]
০৩. ভিন ডিজেল
শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ‘দ্য ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস তারকা ভিন ডিজেল। তার আয় ৫৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্য ফাস্ট এন্ড দ্য ফিউরিয়াস’ মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজির অষ্টম পার্ট ২০১৭ সালে ২য় সর্বচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র। সারা বিশ্ব থেকে আয় করেছে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমেরিকান অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ভিন ডিজেল-এর জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৮ জুলাই। তিনি তার অভিনয় শুরু করেন স্টিভ স্পিলবার্গ-এর সেভিং প্রাইভেট রায়ান-এর মাধ্যমে। তিনি “রিডিক” ভূমিকায় “দা চরনিকল অব রিডিক ট্রিলজি” এবং “ডমিনিক টরেটো” ভূমিকায় “দা ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস” সিরিজ-এর জন্য বিখ্যাত। উভয় সিরিজে তিনি প্রযোজক ছিলেন। ভিন ডিজেল এক্সএক্সএক্স এবং সিডনি লুমেট এর ফাইন্ড মি গাল্টি-এর জন্য তারকা খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি দা আয়রন জায়ান্ট এবং গার্ডিয়ান অব দা গ্যালাক্সি তে কণ্ঠ দিয়েছেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে তিনি স্ট্রেইস ছবিতে পরিচালক, লেখক, প্রযোজক এবং অভিনেতা হিসাবে ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া ভিন ডিজেল “ওয়ান রেইস ফিল্ম”, “রেইস্ট্রাক রেকর্ড” এবং “টাইগার স্টুডিও”-এর প্রতিষ্ঠাতা। [৬] [৭]
০৪. অ্যাডাম স্যান্ডলার
৫০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করে ‘শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে অ্যাডাম স্যান্ডলার। সাবেক ভিডিডি কিং শীর্ষ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের তালিকায় ফিরেছেন জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা নেটফ্লিক্স-এর সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে। তার প্রতিষ্ঠান হ্যাপি ম্যাডিসন নেটফ্লিক্সের জন্য চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে আর এগুলোর প্রিমিয়ার হবে শুধু এই স্ট্রিমিং মাধ্যমটিতে। মার্কিন অভিনেতা, কমেডিয়ান, চিত্রনাট্যকার, উদ্যোক্তা, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং সুরকার অ্যাডাম রিচার্ড স্যান্ডলারের জন্ম ১৯৬৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। অ্যাডাম স্যান্ডলারের মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। মূলত কৌতুকাভিনেতা স্যান্ডলারের অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো মার্কিন বক্সঅফিসে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবসা করেছে। তাকে এক মার্কিন ডলার দেয়ার বিনিময়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেরত পেয়েছে মাত্র তিন দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে তিনি ছিলের সর্বচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত হলিউড অভিনেতা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত হ্যাপি ম্যাডিসন প্রডাকশন অনেকগুলো ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ও জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল নির্মাতা। একজন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান হিসেবে অ্যাডাম স্যান্ডলার ক্যারিয়ার শুরু করেন। [৮] [৯]
০৫. জ্যাকি চ্যান
ফোর্বস-এর ‘শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন চানিজ ‘বিগ ব্যাদার’খ্যাত জ্যাকি চ্যান। তার উপার্জন ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবছর তার চলচ্চিত্রের তালিকায় আছে- রিসেট, দ্যা ফরেজিনার এবং কুংফু ইয়োগা। অভিনেতা এবং মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যান ১৯৫৪ সালের ৭ এপ্রিল হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। চীনে নির্মিত পুলিশ স্টোরি, আর্মার অব গড’এর মত জনপ্রিয় ছবিতে যেমন তিনি অভিনয় করেছেন তেমনই হলিউডেও তিনি সফল! সাংহাই নুন, রাশ আওয়ার, দ্য কারাতে কিড, অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ, দ্য ফরবিডেন কিংডম ইত্যাদি ছবি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়। জ্যাকি চ্যানের মূল নাম চ্যান কং-স্যান। তিনি মোট ৭টি ভাষা জানেন। জ্যাকি চ্যান একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গায়ক। তিনি এ পর্যন্ত ৫টি ভাষায় মোট ২০টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। ব্রুস লির একটি সিনেমায় স্ট্যান্টম্যান হিসেবে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন তিনি। -এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার ছেলে উত্তরাধীকারসূত্রে কোনো সম্পত্তিই পাবে না। [১০] [১১]
০৬. রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
২০১২ সাল থেকে রয়েছেন সর্বচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায়। এর বছর তার উপার্জন ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অভিনীত প্রতিটি চলচ্চিত্র বক্স-অফিসে বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা আয় করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চারটি চলচ্চিত্র হলো দ্য অ্যাভেঞ্জার্স, অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন, আয়রন ম্যান ৩ এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার —এদের প্রত্যেকটি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করেছে। এছাড়াও মুখ্য চরিত্র হিসেবে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র গাই রিচি পরিচালিত কাল্পনিক গোয়েন্দা ধারাবাহিক শার্লক হোমস এবং এর সিকুয়্যাল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রবার্ট ডাউনি জুনিয়র-এর জন্ম ১৯৬৫ সালের ৪ এপ্রিল। ১৯৭০ সালে বাবার পরিচালিত পাউন্ড চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার অভিষেক। ১৯৯২ সালে চ্যাপলিন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর পেশাদার অভিনয় জীবনের শুরু হয়। ২০১৮ সালে মুক্তি পাবে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অভিনীত অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার। [১২] [১৩]
০৭. টম ক্রুজ
তাঁর সিনেমা না দেখলেও তাঁর নাম শুনেনি এমন লোক বিশ্বজুড়ে পাওয়া দুষ্কর। এই মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক সায়েন্টোলজি ধর্মে বিশ্বাস করার জন্যও সর্বাধিক পরিচিত। জন্ম ১৯৬২ সালের ৩ জুলাই। পুরো নাম ৪র্থ থমাস ক্রুইজ ম্যাপোথার। স্কুলজীবনেই জড়িয়ে পড়েন মঞ্চনাটকের সঙ্গে। ১৯৮১ সালে সহকারী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৮৬ সালের ‘টপ গান’ চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় তাকে পুরোপুরি তারকা খ্যাতি এনে দেয়। ঐ বছরি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কালার অব মানি’তে অসাধারণ অভিনয়শৈলীর জন্য তিনি যৌথভাবে একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। প্রযোজক হিসেবেও তার জনপ্রিয়তাও যে কম নয়, মিশন ইম্পসিবল ছবিটি তারই উদাহরণ। হলিউডের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবির তালিকায় রয়েছে এই সিরিজের প্রতিটি ছবি। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও সফল তিনি। এ বছর তার উপার্জন ছিল ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮ আংকের আয় এসেছে দ্য মামি, আমেরিকান মেড এবং মিশন ইম্পসিবল-৬ থেকে। তিনি রয়েছেন উপার্জনের ভিত্তিতে ‘শীর্ষ ১০ অভিনেতা’র তালিকায় সপ্তম স্থানে। [১৪] [১৫]
০৮. শাহরুখ খান
বলিউডের কিং খান শাহরুখ খান-এর এর বছরের আয় ছিল ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাম্প্রতিক তার মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল রইস এবং যাব হ্যারি মেট সেজল। বলিউডের অন্যতম সফল এ অভিনেতার জন্ম ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর। ১৯৮৮ সালে দূরদর্শন টেলিভিশনের ফৌজি ধারাবাহিকে একজন সৈনিকের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। শাহরুখ খান অভিনীত ১৩টি চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী ১৯.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে। তিনি ১৩বার হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রাচীন ও বিখ্যাত চলচ্চিত্র পুরস্কার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত করে। শাহরুখ খান শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজনা, বিভিন্ন পণ্যের দূতিয়ালি, স্টেজ শো ছাড়াও বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-এর দল কলকাতা নাইট রাইডারসের মালিক। [১৬] [১৭]
০৯. সালমান খান
৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় নিয়ে ফোর্বস-এর তালিকার নবম স্থানে রয়েছেন সালমান খান। সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র টিউবলাইট তেমন একটা ব্যবসা সফল না হলেও, ব্যাপক প্রত্যাশা রয়েছে ‘টাইগার জিন্দা হায়’ নিয়ে। ৮৫টি বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই বলিউড তারকার জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর। পুরো নাম আব্দুর রশিদ সেলিম সালমান খান হলেও ‘টাইগার অফ বলিউড’, ‘ব্লকবাস্টার খান’, ‘বক্স অফিস কিং’ এবং সেই সাথে তার ভক্তদের কাছে ‘সল্লু’ এবং ‘ভাইজান’ নামেও পরিচিত। ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার। তাঁর অভিনীত প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ম্যায়নে পিয়ার কিয়া ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায়; এজন্যে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ নবাগতার পুরস্কার লাভ করেন। সালমান খানের ‘বিয়িং হিউম্যান’ মূলত একটি দাতব্য সংস্থা, যেখান থেকে পোশাক তৈরি করা হয়। বেশিরভাগ সময় তিনি এই ব্র্যান্ডের টিশার্ট পরে থাকেন। এখান থেকে নির্মিত পোশাকের একটি বিশেষ অংশ দুঃস্থ শিশুদের স্বাস্থ্য এবং লেখাপড়া বিষয়ক দাতব্য কাজে ব্যবহৃত হয়। [১৮] [১৯]
১০. অক্ষয় কুমার
যে সময় শাহরুখ-সালমান খানের ছবি দুর্দান্ত ফ্লপ হলো- সে সময় পর পর ৩টা ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়ে বলিউড বক্স অফিসের রাজা অক্ষয় কুমার। এ বছর তার মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল – নাম শাবানা, জলি এল এল বি টু এবং টয়লেট এক প্রেম কথা। আয় করছেন ৩৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তাকে নিয়ে গেছে ২০১৭ সালে বিশ্বের সর্বচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শীর্ষ অভিনেতাদের তালিকায়। এ বছরটা তার যেন বৃহস্পতি তুঙ্গে সাম্প্রতিক, গত বছরের হিট সিনেমা ‘রুস্তম’ এ অভিনয় করে তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন। বলিউড শোবিজে তার নাম অক্ষয় কুমার হলেও আসল নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া। জন্ম ১৯৬৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ১৭০টিরও অধিক ছবিতে অভিনয়কারী অক্ষয় কুমারের অভিষেক ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র আজ দিয়ে। চিত্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৯১ সালে সুগন্ধ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তায়কোয়ান্দোতে ব্লাক বেল্ট পাওয়া অক্ষয় কুমার অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরুর আগে ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে ৬ মাস শেফ এর কাজ করেছেন। [২০] [২১]
সূত্র:
Leave a Reply