কাতারের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমান উপহার: ট্রাম্পের পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক
ভূমিকা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা আলোচনার ঝড় তুলেছে। কাতারের রাজপরিবার প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮ জাম্বো জেট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। এই বিমানটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক বিমানবহর ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর অংশ হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিন্তু এই উপহার গ্রহণের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও জনমনে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্প এই প্রস্তাবকে ‘উদার সৌজন্য’ বলে গ্রহণের পক্ষে থাকলেও, বিরোধী ডেমোক্রেট পার্টি, কিছু রিপাবলিকান নেতা এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘অনৈতিক’, ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে সমালোচনা করছেন। আজকের বহুরৈখিকে বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি, আইনি ও নৈতিক দিক এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হলো।
উড়ন্ত প্রাসাদ
কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া এই বোয়িং ৭৪৭-৮ ইন্টারকন্টিনেন্টাল, যা ‘কুইন অব দ্য স্কাইজ’ নামে পরিচিত, একটি অত্যাধুনিক জাম্বো জেট। এর বাজারমূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৮৮০ কোটি টাকা)। বিমানটির দৈর্ঘ্য ৭৬.৩ মিটার, ডানার প্রস্থ ৬৮.৪ মিটার এবং উচ্চতা ১৯.৪ মিটার। এটি ১৩,৬৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। বিমানটি সর্বোচ্চ ৪৬৭ জন যাত্রী বহন করতে পারে, তবে কাতারের এই বিমানটি ৮৯ জন যাত্রীর জন্য বিলাসবহুলভাবে কনফিগার করা হয়েছে। এটি ২০১২ সালে কাতারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল থানির জন্য কাস্টমাইজ করা হয়েছিল এবং এর অভ্যন্তরীণ নকশা প্যারিস-ভিত্তিক ক্যাবিনেট পিন্টোর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়।
কাতারের দেওয়া এই বোয়িং ৭৪৭-৮ বিমানটিকে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ বলা হয়। এই বিমানটির অভ্যন্তরে রয়েছে মাস্টার বেডরুম, অতিথি কক্ষ, দুটি পূর্ণাঙ্গ বাথরুম (শাওয়ারসহ), নয়টি ছোট টয়লেট, পাঁচটি রান্নাঘর, ব্যক্তিগত অফিস, ডাইনিং এলাকা, বোর্ডরুম, বিনোদন কক্ষ এবং লাইব্রেরি। এর অভ্যন্তরীণ সজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে সিকামোর ও ওয়াকাপু কাঠ, সিল্ক ফ্যাব্রিক এবং অন্যান্য বিলাসবহুল উপকরণ। বিমানটি চারটি জেনারেল ইলেকট্রিক জিইএনএক্স-২বি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, যা এটিকে উচ্চ গতি এবং জ্বালানি দক্ষতা প্রদান করে। এটি প্রায় ১৩ বছর বয়সী হলেও, এর আধুনিক ফ্লাইট ডেক এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এটিকে বর্তমান এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত।
এই বিমানটি মূলত কাতার আমিরি ফ্লাইটের অংশ ছিল, যা রাজপরিবার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হতো। ২০২০ সাল থেকে এটি বিক্রির জন্য বাজারে ছিল কিন্তু কোনো ক্রেতা পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সালে এটি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন পি৪-এইচবিজে-র অধীনে রাখা হয়। বর্তমানে এটি টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে রয়েছে, যেখানে এটির আপগ্রেড এবং ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই জেটটি প্রেসিডেন্টের ভ্রমণের জন্য অস্থায়ীভাবে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা বোয়িং ৭৪৭-২০০বি মডেলের দুটি বিমান ১৯৯০ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা এখন পুরনো এবং রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয়বহুল। ট্রাম্প এর আগে নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহে বোয়িংয়ের বিলম্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কাতারের উপহারটি তিনি গ্রহণে আগ্রহী। জানা গেছে, ২০২৯ সালে এই বিমানটি ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হবে, যা কার্যত ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পত্তির অংশ হতে পারে।
এয়ার ফোর্স ওয়ান
এয়ার ফোর্স ওয়ান (Air Force One) হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কল সাইন, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকে বহন করে এমন কোনো বিমানের জন্য প্রযোজ্য হয়। ১৯৯০ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির ফ্লাইটগুলো দুটো বিশেষভাবে নির্মিত বোয়িং ৭৪৭-২০০বি সিরিজের বিমান দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। এই দুইটি বিমানে ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি সিরিয়াল নম্বর হচ্ছে ২৮০০০ ও ২৯০০০। এই বিমানগুলোকে শুধুমাত্র তখনই এয়ার ফোর্স ওয়ান বলা হয় যখন দেশটির রাষ্ট্রপতি স্বয়ং এটাতে উপবিষ্ট থাকেন। এছাড়া যদি কখনো রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো বিমানেও সফর করেন তখন সেটিকেও এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে ধরে নেয়া হয়।
এয়ার ফোর্স ওয়ান মার্কিন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার একটি প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। একই সাথে এই বিমানটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত এবং সবচেয়ে বেশি ছবিধারণকৃত বিমান।
১৯১০ সালের ১১ অক্টোবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে থিওডোর রুজভেল্ট বিমানে আরোহণ করেন। যদিও সেটি ছিলো মিসৌরির কাছে অবস্থিত কিনলক এয়ার ফিল্ড থেকে একটি রাইট ফ্লায়ারের মাধ্যমে। তিনি তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে কার্যরত ছিলেন না। তার উত্তরসূরী উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্ট তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে কার্যরত ছিলেন। এই রেকর্ড তৈরিকারী অনুষ্ঠানটি দেশটিতে বিপুল সাড়া ফেলে এবং এখান থেকেই মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের বিমান সফরের শুরু।
ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট হচ্ছেন প্রথম মর্কিন রাষ্ট্রপতি যিনি তার কার্যকালে বিমানে আরোহণ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রুজভেল্ট একটি প্যান-আমেরিকান বোয়িং ৩১৪-এ করে ১৯৪৩ সালের কাসাব্লাঙ্কা কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে মরোক্কো সফর করেন। এ সফরে তিনি প্রায় ৫,৫০০ মাইল রাস্তা পাড়ি দেন। জার্মান সাবমেরিনগুলোর হুমকির কারণে আটলান্টিক যুদ্ধের সময়কালে এটিই ছিলো পরিবহনের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম।
ট্রাম্পের পক্ষের মত
ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা এই উপহার গ্রহণের পক্ষে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, এই উপহার ফিরিয়ে দেওয়া ‘মূর্খতা’ হবে, কারণ এটি মার্কিন সরকারের জন্য বিনামূল্যে একটি সম্পদ। তিনি এটিকে কাতারের ‘উদার সৌজন্য’ এবং ‘বন্ধুত্বের প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানিয়েছেন, বিদেশি উপহার গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মানা হবে এবং পূর্ণ স্বচ্ছতা রক্ষা করা হবে।
ট্রাম্পের সমর্থকরা আরও বলছেন, বর্তমান এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানগুলো প্রায় ৩৫ বছরের পুরনো এবং আধুনিক নিরাপত্তা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নতুন বিমান সরবরাহে দেরি হওয়ায় এই উপহার একটি বাস্তব সমাধান হতে পারে। রিপাবলিকান সিনেটর টমি টিউবারভিল বলেছেন, “কাতার যদি আমাদের একটি বিমান দেয়, তবে তা গ্রহণ করা উচিত। আমাদের বর্তমান বিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণে প্রচুর খরচ হয়।” এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই বিমান জাতীয় সম্পদ হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং মেয়াদ শেষে প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে দান করা হবে, যা জনগণের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন হবে।
বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা
এই উপহার গ্রহণের সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। ডেমোক্রেট পার্টি এবং কিছু রিপাবলিকান নেতা এটিকে মার্কিন সংবিধানের ‘ইমোলমেন্টস ক্লজ’ লঙ্ঘন বলে মনে করছেন। এই ধারা অনুযায়ী, কোনো মার্কিন কর্মকর্তা কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বিদেশি সরকার বা রাজপরিবারের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার গ্রহণ করতে পারেন না। সমালোচকরা বলছেন, এই বিমান গ্রহণ ‘প্রকাশ্য দুর্নীতি’ এবং ‘ঘুষ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে। রক্ষণশীল বক্তা বেন সাপিরো তার পডকাস্টে বলেছেন, “কাতার শুধু খুশি হয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমান দিচ্ছে না। এর পেছনে তাদের নিজস্ব স্বার্থ আছে।”
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও এই উপহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গ্যারেট গ্রাফ বলেছেন, কাতারের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই বিমানে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং গুপ্তচরবৃত্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এটিকে ‘বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া, কাতারের আন্তর্জাতিক ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প নিজেই কাতারকে ‘সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নকারী’ হিসেবে অভিযোগ করেছিলেন। কাতারের হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক এবং গাজায় তাদের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। সমালোচকরা মনে করেন, এই উপহারের মাধ্যমে কাতার ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন
মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিদেশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে মূল্যবান উপহার গ্রহণ করতে পারেন না। ইতিহাসে, ১৮৩৯ সালে প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভ্যান বুরেন মরক্কো ও ওমানের সুলতানদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেগুলো ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করেননি। সিংহ চিড়িয়াখানায় এবং অন্যান্য উপহার যাদুঘরে পাঠানো হয়েছিল। এই নজিরের আলোকে, ট্রাম্পের এই বিমান গ্রহণ নিয়ে আইনি প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এটি গ্রহণ করা হলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে।
নৈতিকভাবে, এই উপহার গ্রহণ ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রাজনৈতিক কৌশলবিদ ডগ হেই বলেছেন, “চাটুকারিতার মাধ্যমে ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব, এবং এটি কাতারের জন্য লাভজনক হতে পারে।” ট্রাম্প পরিবারের মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ, বিশেষ করে কাতার ও দুবাইয়ে রিয়েল এস্টেট ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প, এই উপহারের পেছনে সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের ইঙ্গিত দেয়।
সম্ভাব্য প্রভাব
এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে এটি তার কূটনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে দেখা হলেও, বিরোধী দল এবং নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা এটিকে দুর্নীতির উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই তার প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আন্তর্জাতিকভাবে, এই উপহার কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও জটিল করতে পারে। কাতারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এই উপহারের মাধ্যমে কাতার সম্ভবত ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে নীতিগত সুবিধা চায়। উদাহরণস্বরূপ, কাতার সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে চাপ দিচ্ছে।
উপসংহার
কাতারের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমান উপহার নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প এটিকে জাতীয় সম্পদ ও কূটনৈতিক সৌজন্য হিসেবে দেখলেও, সমালোচকরা এটিকে স্বার্থের সংঘাত এবং জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই ঘটনা মার্কিন সংবিধান, নৈতিকতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। এই উপহার গ্রহণের পরিণতি কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, এটি ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
Leave a Reply