38th BCS Preparation; ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি

৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরুর আগে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া দরকার। সবার আগে পরীক্ষার পদ্ধতি ও পড়াশোনার এলাকা ঠিক করে নিতে হবে। সবাই জানেন, মূলত তিন ধাপে এই পরীক্ষা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, তার পর লিখিত এবং সব শেষে হয় মৌখিক পরীক্ষা। হিসাব করে প্রস্তুতি নিলে সহজেই সেরাদের সেরা হওয়া যায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, সময় পরিকল্পনা, সিলেবাস পরিকল্পনা করে পড়াশোনা করাই সাফল্য পাওয়ার একমাত্র উপায়। ৩৮তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন। যারা ইতোমধ্যেই বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি যার যার মতো শুরু করেছেন। তাদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ।

 

পদসংখ্যা-২০২৪

২০ জুন ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষায় বিভিন্ন ক্যাডারে এবার দুই হাজার ২৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪টি ক্যাডারের শূন্যপদের বিপরীতে ১০ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

 

কোন ক্যাডারে কতজন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩৮তম বিসিএসের উল্লেখযোগ্য শূন্য পদগুলো হচ্ছেÑ প্রশাসন ক্যাডারের সহকারী কমিশনার ৩০০টি, পুলিশ ক্যাডারের সহকারী পুলিশ সুপার ১০০টি, স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী সার্জন ২২০টি, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পাঁচটি, কৃষি ক্যাডারের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৯টি, পররাষ্ট্র ক্যাডারের সহকারী সচিব ১৭টি, আনসার ক্যাডারের ৩১টি, মৎস্য ক্যাডারের ২০টি, সহকারী বন সংরক্ষক ২২টি, শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক ৯৭৩টি, ভেটেরিনারি সার্জন ২৫টি, সহকারী প্রকৌশলী ৩১টি, কর ক্যাডারের সহকারী কর কমিশনার ৯টি, তথ্য ক্যাডারের ৩৫টিসহ মোট ২০৪২টি।

 

কিছু নতুনত্ব

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সূত্রে জানা গেছে, আবেদনকারীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য উল্লেখ করা অনলাইন আবেদনের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরে অবশ্য ১১ জুলাই পিএসসি থেকে জানানো হয়, এনআইডি ছাড়াও আবেদন করতে পারবে। তবে ভাইভার সময় এনআইডি চাওয়া হবে। নতুন নিয়মে লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি খাতা দুজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। তাদের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা পাঠানো হবে। ২০০ নম্বরের বাংলাদেশ প্রসঙ্গ লিখিত পরীক্ষা থেকে ৫০ নম্বর কমিয়ে আনা হয়েছে। আলাদা করে যুক্ত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এতে বরাদ্দ থাকবে ৫০ নম্বর। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনেও প্রশ্নপত্র থাকবে। এতে করে ইংরেজি ভার্সন ও ইংরেজি মাধ্যম থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন ইংরেজি ভাষায়ই। সাত বিভাগের পাশাপাশি এবার নতুন বিভাগ ময়মনসিংহেও পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

বেছে নিন আপনার পছন্দের ক্যাডার

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল পছন্দের ক্যাডার বেছে নেয়া। বিসিএস আবেদনের সময় অনেকেই যে ভুলটা করেন তা হচ্ছে, ক্যাডার চয়েসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। অনেকেই ক্যাডার সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখেন না। তাই দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় নামার আগে নিজের মনমতো ক্যাডার পছন্দ করুন। সব ক্যাডার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে তার পর আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ক্রমানুসারে লিস্ট তৈরি করে নিতে পারেন, যেন এর মধ্যে যে কোনো একটি ক্যাডার পেলেই চাকরি শুরু করতে পারেন মনের আনন্দে। পছন্দের ক্যাডার পেলে কাজের প্রতি ভালোবাসাটা বেড়ে যাবে আপনার।

 

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবণ্টন

বিসিএসের প্রথম ধাপ প্রিলিমিনারিতে ৩৫তম বিসিএস থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা। সময় দুই ঘণ্টা। হিসাব করে দেখলে বোঝা যায়, প্রত্যেকটি প্রশ্নের জন্য গড়ে ৩৬ সেকেন্ড করে সময় পাওয়া যায়। বাংলায় ৩৫ নম্বর, ইংরেজিতে ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়ে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২০, ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০, সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১৫, গাণিতিক যুক্তিতে ১৫, মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনে থাকবে ১০ নম্বর। খেয়াল রাখা দরকার, ভুল উত্তরের জন্য প্রতি প্রশ্নে ০.০৫ নম্বর করে কাটা যাবে। সে কারণেই একেবারে নিশ্চিত না হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়াই ভালো।

38th BCS Preparation; ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো করতে মাথায় রাখুন

সাধারণ মানের ছাত্রদের কম করে ৩ বছর নিয়মিত পড়াশোনা করা প্রয়োজন। কেননা সঠিক পরিমাণে পড়াশোনা না করলে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব একটা ভালো হবে না। ফলে, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।
কোনো একটি বিশেষ বিষয়কে গুরুত্ব না দিলেই ভালো। কেননা এই পরীক্ষার জন্য সব বিষয়কে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। না হলে কোনো একটি অংশ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কেবল একবার পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হলে দমে যাওয়া উচিত নয়। এই পরীক্ষার জন্য অনেকদিন সময় পাওয়া যায়। তাই একবার পরীক্ষা দিয়ে থেমে না গিয়ে, বারকয়েক পরীক্ষা দেওয়াই যেতে পারে। পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য পাওয়ার জন্য প্রবল মনোযোগ দরকার। বিসিএস পরীক্ষার পূর্ববর্তী সময়ে পড়াশোনা কেবল এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই হওয়া উচিত। অন্য কোনো পরীক্ষায় এ সময় মনোযোগ না দেওয়াই ভালো। পরীক্ষার সিলেবাসটি পুরোটা পড়া উচিত। সাজেশনভিত্তিক পড়া নয়। আগে গোটা সিলেবাসটি ভালো করে জেনে নিতে হবে। তার পর মূল অংশগুলো ভালো করে পড়তে হবে। প্রথমেই বাদ দিয়ে পড়ার অভ্যাস একেবারেই কাজের কথা নয়। আলাদা করে কোচিং খুবই প্রয়োজনীয়। ব্যক্তিগত স্তরে হোক বা প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে, আলাদা করে পড়াশোনা করলে উপকার হতেই পারে। কেননা নির্দিষ্ট পথে পড়াশোনা না করলে, এত বড় সিলেবাস সব সময় সামলানো যায় না।
প্রথমত, বিসিএসের ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিক পড়াশোনা বিপুল মাত্রায় প্রয়োজন। কেননা বিপুল সিলেবাসে নিয়মমাফিক পড়াশোনা না করলে অল্প সময়ে একে সামলানো মুশকিল। পরীক্ষা সম্পর্কে পরীার্থীর স্বচ্ছ ধারণা থাকা একান্ত দরকারি। ঠিক কত বয়স থেকে কত বয়স পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়া যায়, তাও মাথায় রাখা দরকার। অনেক সময়েই দেখা যায়, সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়ে উঠতে পারেন না, ফলে ব্যর্থতায় হতাশা বাড়ে। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালে মত করতে, নিয়মমাফিক পড়ুন, হিসাব করে পড়ুন।

 

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরুর আগে গুটিকতক টিপস রইল-

কেমন করে সাফল্য

বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করা মূলত নির্ভর করে ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলা- এ চারটি বিষয়ের ওপর। এ চারটি বিষয় জোর দিয়ে পড়ুন। যে প্রশ্নগুলো কঠিন মনে হবে, সেগুলো একাধিকবার পড়ুন। যদিও নতুন নিয়ম, তবু পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বিগত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো সমাধান করে ফেলুন। এতে করে আপনার প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে ধারণা জন্মাবে।
চার-পাঁচ মাস পড়েই পরীক্ষায় বাজিমাত করে দেবেন ভাবলে ভুল ভাবছেন? গোটা সিলেবাসটা পুরোপুরি গুছিয়ে নিতে সময় লাগবে ন্যূনতম ১৫ মাস। তাই অপেক্ষা করুন, ধৈর্য হারাবেন না।

এখানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর নজর দিতে হবে। বাংলা ব্যাকরণ অংশে ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ, সমার্থক-বিপরীতার্থক শব্দ, সন্ধি, প্রত্যয়, সমাস, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ ও বাক্য সংকোচন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা সাহিত্যের প্রধান লেখকদের সব বইয়ের নাম ও বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এ থেকে প্রশ্ন আসে।

সাহিত্য অংশে প্রাচীন যুগ থেকে চর্যাপদ, মধ্যযুগ থেকে মঙ্গলকাব্য, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এসব বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে। আধুনিক যুগ থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, মধুসূদন দত্ত, জীবনানন্দ দাশ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আল মাহমুদ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন, জব সলিউশন, নবম-দশম শ্রেণির বোর্ডের ব্যাকরণ বই, হায়াৎ মামুদের ভাষা-শিক্ষা, ড. হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলি, মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা বিষয় বাংলা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা। এ ছাড়া যে কোনো পাবলিকেশনের বাংলা প্রস্তুতি গাইড।

গ্রামার অংশে ভালো করতে হলে এতে ভালো দখল থাকতে হবে। লিটারেচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়কাল, খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকদের উক্তি, কবিতার লাইন, জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা পড়তে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের গ্রামার বই সহায়ক হতে পারে। ভোকাবুলারির জন্য পড়তে পারেন ম্যাক ক্যারথি ও-ডেলের ইংলিশ ভোকাবুলারি ইন ইউজ, নর্ম্যান লুইসের ওয়ার্ড পাওয়ার মেইড ইজি। অক্সফোর্ড অ্যাডভান্সড লার্নারস ডিকশনারি ও লংম্যান ডিকশনারি অব কনটেম্পোরারি ইংলিশ বইটি বেশ কাজের। সঙ্গে পড়তে পারেন রেইমন্ড মারফির ইংলিশ গ্রামার ইন ইউজ, জন ইস্ট উডের অক্সফোর্ড প্র্যাকটিস গ্রামার, প্যাসেজ টু দ্য ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ, ইংলিশ ফর দ্য কম্পিটিটিভ এক্সামস, প্রাক্টিক্যাল ইংলিশ ইউজেস।

বিগত সালের বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন থেকে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণ জ্ঞানের সিলেবাস অনেক বড়। যেসব টপিক থেকে প্রায় বছরই প্রশ্ন আসে, সেগুলো রাখতে হবে পড়ার তালিকায়। রোজকার খবর রাখুন। সংবাদপত্র ভীষণ মন দিয়ে পড়ুন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য পত্রিকা পড়া জরুরি। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই সহায়ক হবে। পত্রিকার উপসম্পাদকীয় ও কলামগুলো পড়লে অনেক তথ্য জানা যায়, সমসাময়িক ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। সাধারণ জ্ঞানের বইয়ের ওপর ভরসা না রেখে নিজেই সাম্প্রতিক ঘটনার ডেটাবেস তৈরি করুন। এ ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। নিয়মিত চোখ রাখুন ইন্টারনেটে।

গণিতে যারা ভালো তাদের জন্য প্রিলিমিনারি পাস করা কঠিন কিছু নয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণত এমন সব অঙ্কই থাকে, যা শর্টকাটে সমাধান করা যায়। ভালো করার মূলমন্ত্র বারবার অনুশীলন। পুরনো সিলেবাসের বইয়ের অঙ্ক সমাধান করলেও কাজে দেবে। অন্তত বিগত ১২ বছরের বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। এতে প্রশ্ন সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা হবে। বিভিন্ন গাইড বইয়ের মডেল টেস্টগুলো দিতে হবে। গাণিতিক যুক্তির জন্য অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির গণিত বইগুলো চর্চা করা দরকার। নিয়মিত গণিত চর্চার বিকল্প নেই।

সব বিষয় গভীরভাবে পড়ুন। কেবল সাজেশনের ওপর ভরসা করবেন না। কেননা শেষ কয়েক বছরের ইতিহাস বলছে, কেবল সাজেশনভিত্তিক পড়াশোনা সমস্যায় ফেলে দিতে পারে পরীক্ষার্থীদের। অনেক ওয়েবসাইট আছে, যাতে আইকিউ টেস্ট থাকে। সিলেবাসের বিভিন্ন টপিক গুগলে ইংরেজিতে লিখে সার্চ করে বিভিন্ন সাইটে ঢুকে নিয়মিত সলভ করুন। আগের সব বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক সলভ করে ফেলুন।

বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশ্ন করা হয়। মাথা ঠান্ডা রেখে, ভালোভাবে প্রশ্ন পড়ে, পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে উত্তর করতে হবে। কমনসেন্স, বিচারবুদ্ধি কাজে লাগালেই ভালো করা যাবে। প্রশ্নপত্র তৈরি করে অনুশীলন করা ভীষণভাবে দরকার। তাই পরীক্ষার আগে কোচিং নিতে হবে। তবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কোচিং নেওয়ার বদলে ব্যক্তিগত স্তরে কোচিং নেওয়া বেশি উপকারী।

একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, নতুন সংযোজিত বিষয়, যেমন- ভূগোল, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, মানসিক দক্ষতা সম্পর্কে কিন্তু আগেও প্রশ্ন আসত। বর্তমানে শুধু বিষয়বস্তুগুলো আলাদা করে নম্বর বণ্টন করা হয়েছে। তাই প্রস্তুতি একইভাবে নিলেই চলবে। পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য নবম-দশম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞান বইটি বেশ কাজে দেবে।
সাধারণ বিজ্ঞানে ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞান থেকে প্রশ্ন থাকে। গুরুত্ব বুঝে বইয়ের প্রায়োগিক বিষয়গুলো দাগিয়ে পড়লে কাজে দেবে। বোর্ডের সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়তে হবে। এই বইগুলো ভালোমতো পড়লে প্রিলিমিনারির জন্য বাড়তি তেমন কিছু না পড়লেও চলে। তবে বাজারে অনেক বই পাওয়া যায়। বাড়তি প্রস্তুতির জন্য এসব বই দেখতে পারেন।

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো করার ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিক পড়াশোনা বিপুল মাত্রায় প্রয়োজন। কেননা বিপুল সিলেবাসে নিয়মমাফিক পড়াশোনা না করলে অল্প সময়ে একে সামলানো মুশকিল। পরীক্ষা সম্পর্কে পরীক্ষার্থীর স্বচ্ছ ধারণা থাকা একান্ত দরকারি।

 

 

এই লেখাটি “সামনে ৩৮তম বিসিএস! তৈরি তো?” এই শিরোনামে দৈনিক আমাদের সময়ের ক্যারিয়ার সময় পাতায় ২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *