বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ১০ দেশ

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ১০ দেশ
সুখ আপেক্ষিক বিষয়। তারপরেও জানার আগ্রহ থাকে কে সব চেয়ে সুখী। কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে সুখী। সম্প্রতি সাস্টেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) তাদের বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৫৮টি দেশের মানুষের জীবনমান ও সুখবোধের পরিমাণ বিবেচনা করে সুখী দেশের তালিকা করেছে। এ তালিকা অনুসারে ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের মানুষ সবচেয়ে সুখী ছিল। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এই পর্যবেক্ষণে জীবৎকালে স্বাস্থ্যের অবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা, পছন্দের স্বাধীনতা ও মাথাপিছু উৎপাদন বিবেচনা করা হয়। এই সূচকগুলো বছরের বিভিন্ন সময় দেশগুলোতে যে জীবনমান নির্ধারণ করে তাও বিবেচনা করা হয়।

০১. সুইজারল্যান্ড
ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত হলেও এই দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। এর মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাঁ এবং বাৎসরিক স্থূল দেশজ উৎপাদের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার পরিমাপে ৩০৯.৮ মার্কিন ডলারের সমতুল্য। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম। ২০০৬ সালে জনসংখ্যা ছিল প্রায় পৌনে এক কোটি। এদেশে মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ৬৭,৮২৩ সুইস ফ্রাঁ (২০০৭ সাল)। বার্ন শহরটি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনিভা। জুরিখের দিকের লোকেরা জার্মান এবং জেনেভার দিকের লোকেরা ফরাসি ভাষায় কথা বলে। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপে ভূষিত করেছে। বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ। সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকোলেটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। অবশ্য সুইস ব্যাংকসমূহ কালো টাকা নিরাপদের সংরক্ষণের জন্য কুখ্যাত। দেশটির কোন নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির।

০২. আইসল্যান্ড
ইউরোপ মহাদেশের প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপ রাষ্ট্রটি বিশ্বের প্রাচীনতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম রেইকিয়াভিক। বিগত ৬০ মিলিয়ন বছর ধরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের অবশেষ থেকে দ্বীপটি উৎপত্তি লাভ করে। এখনও দ্বীপটিতে অনেকগুলি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় আছে। ভূমিকম্প বেশ সাধারণ ব্যাপার। আইসল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত মানববসতিগুলির একটি। এটিকে তাই সুমেরু অঞ্চলীয় রাষ্ট্র হিসেবেও গণ্য করা হয় না। প্রায় ১ হাজার বছর আগে খ্রিস্টীয় ৯ম শতকে ভাইকিং অভিযানকারীরা আইসল্যান্ডে বসতি স্থাপন করে। আইসল্যান্ডবাসী তাদের ভাইকিং ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করে। আইসল্যান্ডের সাথে নিকটতম ইউরোপীয় প্রতিবেশী দেশ স্কটল্যান্ডের দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। আইসল্যান্ডের গাথাগুলিকে মধ্যযুগের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সাহিত্যিক নিদর্শনের অংশ হিসেবে মনে করা হয়। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রে বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যায় এবং মৎস্যশিকার এখানকার লোকদের আদি ও প্রধান পেশা। বর্তমানে আইসল্যান্ডের রপ্তানির অর্ধেকই মাছ ধরা ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ খাত থেকে আসে।

০৩. ডেনমার্ক
ভাইকিংয়েরা ১,১০০ বছর আগে ডেনীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজত্বগুলির একটি। ডেনমার্কের বর্তমান জাতীয় পতাকা Dannebrog ১২১৯ সাল থেকে প্রচলিত। কোপেনহেগেন ডেনমার্কের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ডেনমার্ক স্ক্যান্ডিনেভিয়ার একটি অংশ। বিগত শতাব্দীগুলিতে ডেনমার্কের রাজারা সমগ্র নরওয়ে ও সুইডেন কিংবা এদের কিয়দংশ শাসন করেছেন। তারা দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডও শাসন করেছেন। বর্তমানে ডেনমার্ক জুটলান্ড উপদ্বীপের অধিকাংশ এলাকার উপর অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র। এছাড়াও রাষ্ট্রটি ডেনীয় দ্বীপপুঞ্জের বহু শত দ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করে। ডেনমার্কের ৬০০ বছরের রাজধানী কোপেনহেগেনের বৃহত্তর অংশ জেলান্ডের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। ডেনমার্ক ধনী ও অত্যন্ত আধুনিক একটি দেশ। এখানকার নাগরিকেরা ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু জীবনযাত্রার মানগুলির একটি উপভোগ করেন। ডেনীয়রা তাদের সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারে চাতুর্য ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। ফ্যাশন, শিল্পকারখানার ডিজাইন, চলচ্চিত্র ও সাহিত্য ডেনীয়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

০৪. নরওয়ে
ইউরোপ মহাদেশের একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম অসলো। নরওয়ের অফিসিয়াল নাম হচ্ছে কিংডম অব নরওয়ে। এখানে সাংবিধানিকভাবে রাজতন্ত্র প্রচলিত। নরওয়ের আয়তন হচ্ছে ৩৮৫,২৫২ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৪.৯ মিলিয়ন। ইউরোপের দ্বিতীয় জনবহুল রাষ্ট্র হচ্ছে নরওয়ে। মধ্যরাতেও এখানে সূর্যের দেখা মেলে। বিশ্বজুড়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির পরিচিতি ‘নিশীথ সূর্যের দেশ’ হিসেবে। নরওয়েতে উত্তর গোলার্ধের গরমে কয়েক মাস সূর্য অস্ত না গিয়ে সবসময়ই আকাশ আলোকিত রাখে, বিপরীতে শীতকালে কয়েক মাস সূর্য উঠেই না। আর তখন প্রায়ই উত্তরের আলো বা ‘অরোরা বোরিয়ালিস’ দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে নরওয়ে শান্তির দেশ হিসেবেও চিহ্নিত। প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যু বার্ষিকীর দিনে (১০ ডিসেম্বর) অসলোর বিশ্ববিখ্যাত সিটি হল থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়। শান্তির প্রতীকস্বরূপ অসলোর জাহাজবন্দরে একটি শিখা চিরপ্রজ্বলিত আছে। অসংখ্য অভিযাত্রী আর আবিষ্কারকের দেশ হিসেবেও নরওয়ে বিশ্ব-বিখ্যাত।

০৫. কানাডা
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। ১৮৬৭ সালে, মৈত্রিতার মধ্য দিয়ে চারটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ নিয়ে দেশ হিসেবে কানাডা গঠন করা হয়। এর ফলে আরো প্রদেশ এবং অঞ্চল সংযোজনের পথ সুগম, এবং ইংল্যান্ড থেকে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ১৯৮২ সালে জারীকৃত কানাডা অ্যাক্ট অনুসারে, দশটি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত কানাডা সংসদীয় গণতন্ত্র এবং আইনগত রাজতন্ত্র উভয়ই মেনে চলে। রাষ্ট্রের প্রধান রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। কানাডা দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা দুটোই সরকারী ভাষা) এবং বহুকৃষ্টির দেশ। ‘কানাডা’ নামটি সম্ভবত এসেছে সেন্ট লরেন্স ইরোকোয়াইয়ান শব্দ “কানাটা” থেকে, যার অর্থ “জেলেদের ক্ষুদ্র গ্রাম”, “গ্রাম”, অথবা “বসতি”। কানাডা একটি ফেডারেশন যাতে সংসদীয় গণতন্ত্রভিত্তিক সরকারব্যবস্থা এবং একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত। কানাডার সরকার দুই ভাগে বিভক্ত। কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক বা আঞ্চলিক সরকার। প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির তুলনায় প্রদেশগুলিতে স্বায়ত্তশাসনের পরিমাণ বেশি।

০৬. ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত দেশগুলির একটি। এর এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত। এখানে ঘন সবুজ অরণ্য ও প্রচুর হ্রদ রয়েছে। প্রাচীরঘেরা প্রাসাদের পাশাপাশি আছে অত্যাধুনিক দালানকোঠা। দেশটির বনভূমি এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ; এগুলিকে প্রায়ই ফিনল্যান্ডের “সবুজ সোনা” নামে ডাকা হয়। হেলসিঙ্কি ফিনল্যান্ডের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ফিনল্যান্ড একটি নিম্নভূমি অঞ্চল। কয়েক হাজার বছর আগেও এটি বরফে ঢাকা ছিল। বরফের চাপে এখানকার ভূমি স্থানে স্থানে দেবে গিয়ে হাজার হাজার হ্রদের সৃষ্টি করেছে। দেশটির সরকারী নাম ফিনল্যান্ড প্রজাতন্ত্র। তবে ফিনীয়রা নিজেদের দেশকে সুওমি বলে ডাকে। সুওমি শব্দের অর্থ হ্রদ ও জলাভূমির দেশ। ফিনল্যান্ডের মেরু অঞ্চলে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় সবসময় দিন থাকে। “মধ্যরাতের সূর্যের” এই দিনগুলিতে ফিনল্যান্ডের নয়নাভিরাম উপকূলীয় এলাকাগুলিতে হাজার হাজার লোক নৌকা নিয়ে বেড়াতে আসে। ফিনল্যান্ডের মধ্যভাগের বনভূমিতে অনেক পর্যটক রোমাঞ্চকর অভিযানের টানে ছুটে আসে।

০৭. নেদারল্যান্ড্স
ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম অ্যামস্টারডাম। এর সরকারি নাম নেদারল্যান্ড্স রাজ্য। এই দেশ “হল্যান্ড” (Holland হলান্ট্‌) নামেও পরিচিত। ১৮১৫ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত। ১৮৪৮ সাল থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে। ২০১০ সালে ইকোনমিষ্ট পত্রিকা নেদারল্যান্ডসকে দশম শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। নেদারল্যান্ডসের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এবং একটি বিকেন্দ্রীকৃত ঐক্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোতে পরিচালিত হয়। ওলন্দাজ রাজনীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুসমূহের উপর ব্যাপক ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। নেদারল্যান্ডস বারটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। এদেরকে প্রভিয়েন্স বলা হয়। প্রত্যেকটি প্রভিয়েন্স একজন গভর্নর দ্বারা শাসিত, যাকে কমিশনার অব দ্য কুইন বা কমিস্যারিস ভ্যান দ্য কোনিগিন বলা হয়। শুধু মাত্র লিমবার্গ প্রভিয়েন্সের প্রধানকে গভর্নর বলা হয়। প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিউনিসিপালিটিসে বিভক্ত। ২০১০ সালের হিসেবে ৪৩০টি প্রভিয়েন্স আছে।

০৮. সুইডেন
ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র। সুয়েডীয় সুইডেনের রাষ্ট্রভাষা। দেশটির আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার (১৭৩,৮৬০ বর্গ মাইল)। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ । মাত্র ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে সুইডেন ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ন অঞ্চল। সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরসমূহে বসবাস করে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হল স্টকহোম । উনবিংশ শতক থেকেই সুইডেন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রেখেছে এবং কোন প্রকার যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থেকেছে। সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। তবে বহুদিন ধরেই রাজার ক্ষমতা কেবল আনুষ্ঠানিক কাজ-কর্মেই সীমাবদ্ধ। ইকনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তাদের গণতন্ত্র সূচকে সুইডেনকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে সবার উপরে রেখেছে। সুইডেনের আইনসভার নাম রিক্সদাগ, যার সদস্য সংখ্যা ৩৪৯। আইনসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন। প্রতি চার বছর অন্তর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবারে আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

০৯. নিউজিল্যান্ড
ওশেনিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম ওয়েলিংটন। নিউজিল্যান্ড অসংখ্য ক্ষুদ্র দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল স্টুয়ার্ট দ্বীপ এবং চাথাম দ্বীপ। নিউজিল্যান্ডের আদিম অধিবাসীদের ভাষা হল মাওরি। নিউজিল্যান্ড ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন একটি দেশ। এদেশের পরিবেশ এবং প্রাণীকুল বৈচিত্র্যময়। নিউজিল্যান্ডের অধিকাংশ মানুষ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত এবং স্থানীয় মাওরি হল সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী। নিউজিল্যান্ড একটি উন্নত দেশ, এটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত মানব উন্নয়ন সূচকের উপরের দিকে অবস্থান করে। এছাড়া দেশটির জীবন-যাত্রার মান, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিক্ষার হার, শান্তি ও অগ্রগতি, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রসরমান একটি দেশ। পৃথিবীর সর্বাধিক বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের শহরগুলো অন্যতম। নিউজিল্যান্ডের আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান হল ইংল্যান্ডের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর অধীন সংসদই হল রাষ্ট্র ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীই নিউজিল্যান্ডের সরকার প্রধান।

১০. অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ, কিন্তু ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। রাজধানী ক্যানবেরা। সিডনী বৃহত্তম শহর। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর। এটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ধরে প্রায় ২০১০ কিমি জুড়ে বিস্তৃত। এটি আসলে প্রায় ২৫০০ প্রাচীর ও অনেকগুলি ছোট ছোট দ্বীপের সমষ্টি। অস্ট্রেলিয়া ৬টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত – নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, ভিক্টোরিয়া, ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও আছে দুইটি টেরিটরি – অস্ট্রেলীয় রাজধানী টেরিটরি এবং উত্তর টেরিটরি। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বসতিস্থাপক ছিল এখানকার আদিবাসী জাতিগুলি। ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্বের কাছে দ্বীপটি অজানা ছিল। ১৭৮৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট জ্যাকসনে প্রথম স্থায়ী উপনিবেশ সৃষ্টি করা হয়; এটি ছিল ব্রিটিশ কয়েদীদের উপনিবেশ। এটিই পরবর্তীতে বড় হয়ে সিডনী শহরে পরিণত হয়। ১৯শ শতক জুড়ে অস্ট্রেলিয়া এক গুচ্ছ ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে কাজ করত। ১৯০১ সালে এগুলি একত্র হয়ে স্বাধীন অস্ট্রেলিয়া গঠন করে।

 

বিশ্বের অসুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ ১০ দেশ

১. টোগো
২. বুরুন্ডি
৩. সিরিয়া
৪. বেনিন
৫. রুয়ান্ডা
৬. আফগানিস্তান
৭. বুর্কিনা ফাসো
৮. আইভরি কোস্ট
৯. গিনি
১০. চাদ


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *