বিশ্ববিখ্যাত ৯টা প্রেম কাহিনী

বিশ্ববিখ্যাত ৯টা প্রেম কাহিনী

  1. ক্লিওপেট্রা-অ্যান্টনি: বিশ্ব প্রেমের ইতিহাসের অমর অধ্যায় মার্ক অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রা। অনিন্দ্য সুন্দরী মিসরীয় রাণী ক্লিওপেট্রা আর রোমান সেনাপতি ও রাজনৈতিক মার্ক অ্যান্টনি প্রথম দর্শনেই পরস্পরের প্রেমে পড়ে যান। এই দুই ক্ষমতাধর মানুষের প্রেমের বন্ধনে মিসর পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। কিন্তু রোমান শাসকদের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায় এই প্রেম। কারণ এ প্রেমই মিসরকে শক্তিশালী করে তুলছিল। রাজকীয় ঘাত-প্রতিঘাত, জয়পরাজয় উপেক্ষা করে বিয়ে করেন অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রা। রাজ্য ও জীবনের জন্য ক্লিওপেট্রার জীবনে আরও কয়েকজন পুরুষ আসলেও অ্যান্টনির সঙ্গে প্রেম ছিল তার সত্যিকারের প্রেম। করেন। ধারণা করা হয়, ৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সংঘটিত রোমান প্রজাতন্ত্রের চূড়ান্ত যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত ব্যাটল অব অ্যাক্টিয়ামের নৌযুদ্ধে রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় অ্যান্টনির মনোবল ভাঙার জন্য, তাঁকে মিথ্যে সংবাদ শুনানো হয় যে, রোমানরা  ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করেছে। ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর বেদনা সইতে না পেরে অ্যান্টনি নিজ তলোয়ার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে অ্যান্টনির মৃত্যুসংবাদ শুনে রাণী ক্লিওপেট্রাও নিজ ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন। এ দুই বিখ্যাত ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে নাটক লিখেছেন শেক্সপিয়র। নাটকটি এখনো পৃথিবীর সবখানেই সমাদৃত।
  2. ল্যানসেলট অ্যান্ড গুইনিভেরে: গ্রেট ব্রিটেনের রাজা আর্থারের স্ত্রী, রাণী গুইনিভেরের প্রেমে পড়েছিলেন সেই রাজ্যের বীর একজন নাইট, স্যার ল্যানসেলটের। রানী গুইনিভেরে ছিলেন অসম্ভব রূপবতী ও প্রেমময় এক নারী। প্রথমদিকে রানিকে ল্যানসেলটকে এড়িয়ে  চলেছিলেন, কিন্তু রাজা আর্থারের অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে, একসময় রাণী গুইনিভেরেও তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। এক রাতে, রাজা আর্থারের ভাতিজা স্যার আগ্রাভিয়ান এবং স্যার মোড্রেড ১২ জন নাইটকে রানী গুইনিভেরের সভাকক্ষে প্রেরণ করে। তারা এই যুগল-বন্দিকে আক্রমণ করেন। এ সময় ল্যানসেলট ত্বরিত পলায়নে সক্ষম হন কিন্তু গুইনিভেরের ভাগ্য এতটা সুপ্রসন্ন ছিল না। পরকীয়ার অপরাধে রাণী গুইনিভেরেকে আগুনে পুড়িয়ে মারার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। স্যার ল্যানসেলট তাঁর প্রেমিকা লেডী গুইনিভেরেকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়, কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের জন্য পুরো রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃত্যুর জন্য তাঁরা নিজেদের দায়ী করে, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। ল্যানসেলট তার জীবনের শেষ দিনগুলো নিভৃতে নিঃসঙ্গভাবে কাটিয়েছিলেন। অন্যদিকে, গুইনিভেরে একজন যাজিকা হিসাবে বাঁকি জীবন কাটিয়ে দেন।
  3. নেপোলিয়ন এবং জোসেফাইন: সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট সারা বিশ্বে সর্বকালের অন্যতম সেরা সেনাপতি হিসেবে সুপরিচিত। নেপোলিয়ন কোড প্রতিষ্ঠাও তাঁর অন্যতম সেরা কীর্তি।২৬ বছর বয়সী মহাবীর নেপোলিয়ন দুই সন্তানের জননী ৩২ বছর বয়ষ্ক বিধবা রমণী জোসেফাইন দ্য ব্যুহ্যারানাইসের প্রেমে পড়েন। জোসেফাইনের সঙ্গে নেপোলিয়নের দেখা হয়েছিল একটি পার্টিতে। নেপোলিয়ন তখন তুখোড় সেনাপতি। একজন রাজনৈতিক নেতা নেপোলিয়নের সম্মানে একটি পার্টি আয়োজন করলেন। শহরের সব গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত পার্টিতে। এর মধ্যেই এক অচেনা রমণীর ওপর চোখ পড়ল বীর সম্রাট নেপোলিনের। অপূর্ব সুন্দরী এই নারীকে দেখেই দারুণ ভালো লেগে যায় নেপোলিয়নের।যারপরিণতি বিয়েতে গড়ায়।তাঁরা দুজনেই তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ, এবং ত্যাগ বজায় রেখেছিলেন এবং সমঝোতার মাধ্যমে তারা বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ফলে তাদের ভালবাসা কখনো ম্লান হয়ে যায়নি। নেপোলিয়ন খুব চাইতেন জোসেপাইনের গর্ভে যেন তাঁর সন্তান হয়, কিন্তু মাতৃত্ব ধারণে অক্ষম ছিলেন জোসেপাইন। তাই জোসেফাইন নেপোলিয়ানের উত্তরাধিকার অর্জনের উচ্চাকাক্সক্ষা পূরণে ব্যর্থ হন। তাই পরস্পরের প্রতি গভীর ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও একত্রে জীবনযাপন করতে পারেননি।
  4. লুইস অ্যান্ড বেলার্ড: “এ স্টোরি অফ এ মঙ্ক এবং নান,” যাদের চিঠিগুলোই সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। “লাভ লেটারস” বলে আমরা যে টার্ম টা ব্যবহার করি, তা এই যুগলের বদৌলতেই পাই। ১১০০ শতকে প্যারিসের বিখ্যাত নটরডেম স্কুলে পড়তে যায় পিটার বেলার্ড। সেখানে তাঁর শিক্ষক বিখ্যাত দার্শনিক ফ্লোবার্ড তাঁতে তাঁর ভাতিজি লুইসের গৃহশিক্ষক হিসাবে পড়াতে প্রস্ততাব দেয়। পিটার শিক্ষকের এই প্রস্ততাবেকে রাজী হয়ে যান। কিছুদিনের মধ্যেই গৃহশিক্ষক পিটার বেলার্ডের জ্ঞান, মেধা এবং বুদ্ধিমত্তার আকৃষ্ট হয়ে লুইস তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। প্রেশের সফল এবং পবিত্রপরিণতির জন্য তাঁরা গোপনে বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হয় এবং লুইস গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ফ্লোবার্ড। তাঁর ভয়ে বেলার্ড, লুইসকে নিরাপদ জায়গায় রেখে আসে। কিন্তু এক রাতে ফ্লোবার্ডের অনুচররা ঘুমন্ত বেলার্ডের অঙ্গহানি করে। বেলার্ডের কষ্টে বাকী জীবন লুইস নান হিসেবে কাটিয়ে দেয়, এবং বেলার্ড হয়ে যায় একজন মঙ্ক (ধর্মীয় গুরু)! ইতিহাস হয়ে থাকে তাঁদের আত্মত্যাগ, আজও বিখ্যাত হয়ে আছে তাঁদের প্রেম পত্রগুলো।
  5. রামোস অ্যান্ড থিইবি: বলা হয়ে থাকে, এই জুটি তাঁদের প্রেম দ্বারা প্রভুর থেকে কথা নিয়ে রেখেছে যে, স্বর্গেও তাঁরা এক সাথে থাকবে! সুপুরুষ রামোস ছিল ব্যবিলনের সবচেয়ে সুন্দরী কুমারী থিইবীর বাল্যকালের বন্ধু। তাঁরা ছিল প্রতিবেশী হওয়ায় একই সাথে বেড়ে উঠতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়ে। কিন্তু তাঁদের পরিবার এই সম্পর্ক কখনোই মেনে নেয় না। তাই তাঁরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। সূর্যাস্তের সময় পার্শ্ববর্তী একটা ম্যালবেরী গাছের নিচে দুজনের দেখা করার কথা থাকে। থিইবী গোপনীয়তা রক্ষার্তে মুখে একটা কাপড় পরে রেমোসের জন্য গাছের নিচে অপেক্ষা করতে থাকে। হঠাৎ এক ক্ষুধার্ত সিংহ থিইবীর সামনে হাজির হলে ভয় পেয়ে দৌড়ে অন্যজায়গায় আশ্রয় নেয়ার সময় তাঁর মুখের কাপড়টি খুলে পড়ে যায়। পরে রামোস এসে দেখে যে, সিংহের মুখে সেই কাপড়। সে ধরে নেয় যে, সিংহ তাঁর থিইবীকে ভক্ষণ করেছে। তাই সেও তাঁর ছুরি দিয়ে নিজের বুক কেটে ফেলে। অনেকক্ষণ পর থিইবী এসে মৃত রামোসকে দেখতে পেয়ে সেই একই ছুরি দিয়েই নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়।
  6. পক্যাহোন্টস ও জন স্মীথ: ১৭ শতকে আমেরিকার জেমস টাউনে ইংল্যান্ডের উপনিবেশ স্থাপন করতে যান জন স্মিথ। তিনি সফল হলেও তার ৫০০ ত্রুরর মধ্যে ৪৩৯ জন মারা যায়। তাকে স্থানীয় অধিবাসীরা বন্দি করে। এরপর যখন আগুনে ছুড়ে মারা হচ্ছিল তখন সর্দারের মেয়ে পক্যাহোন্টস এসে নিজের জীবন বাজি রেখে তার জীবন বাঁচায়।পক্যাহোন্টস প্রথম দর্শনেই আমেরিকার জন স্মিথের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। এই প্রেমের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে যখন এক যুদ্ধে আহত হয়ে জন স্মীথ যখন আমেরিকা ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে যায়। সে সময় পক্যাহোন্টসকে মিথ্যে বলা হয় যে, স্মীথ মারা গেছে!  এবং তাঁর পিতার সৈন্যদলকে কাবু করার জন্য একই সাথে পক্যাহোন্টসকেও গ্রেফতার করা হয়। অনেক বছর বন্দী থাকার পর, অনেক চড়াই উৎরিয়ে পক্যাহোন্টস খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে, এবং নাম পাল্টে রাখে ‘রেবেকা’। এরপরে সে জন রলফ নামে এক তামাক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে এবং প্রায় আট বছর পর  লন্ডনে এসে জানতে পারে স্মিথ বেঁচে আছে। কাকতালীয় ভাবে শেষ বারের মত তাঁদের  দেখাও হয়ে যায়।
  7. রানী ভিক্টোরিয়া এবং প্রিন্স অ্যালবার্ট: রানি ভিক্টোরিয়া তাঁর স্বামী প্রিন্স আলবার্টের মৃত্যুর পর প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত তাঁর জন্য শোক করেছেন। ১৮৩৭ সালে মাত্র আঠারো বছর বয়সে ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন ভিক্টোরিয়া।১৮৪০ সালে রানি ভিক্টোরিয়া তাঁর ফার্স্ট কাজিন প্রিন্স আলবার্ট কে বিয়ে করেন। প্রিন্স আলবার্ট ছিলেন জার্মান সংস্কৃতিমনা এক উদার, প্রাণোচ্ছল মানুষ। অনেকের অনেক কটু কথায় কান না দিয়ে তাঁরা সুখী একটা পরিবার গঠন করেছিলেন। তাঁরা একে অপরকে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। তাঁদের ছিল ৯ জন সন্তান। ১৮৬১ সালে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রিন্স আলবার্ট। স্বামীর মৃত্যুর  স্বামী শোকে মুহ্যমান রানী পরের তিনটি বছর একবারের জন্যও লোকসমক্ষে আসেননি। তার এই বিরহ শোক জনতার সমালোচনার মুখে পড়ে। জীবননাশের হামলাও হয় ভিক্টোরিয়ার ওপর। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিসরেলি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ১৮৬৬ সালে রানী পুনরায় কাজ শুরু করেন এবং পার্লামেন্টে যোগ দেন। ১৯০১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া শোকের কালো পোশাক পরিধান করতেন। তার শাসনামলেই ব্রিটেন সুপার পাওয়ার হিসাবে দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়।
  8. মারি এবং পিয়ের ক্যুরি: পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় নারীদের রিসার্চে অনুমতি দেয়নি বলে ১৮৯১ সালে রিসার্চ করতে মারি গিয়েছিলেন ফ্রান্সের সর্বরনে। মেধাবী মেরিকে লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরী সবখানেই আবিষ্কার করেন আরেক মেধাবী, ল্যাবরেটরী ডিরেক্টর ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী পিয়ের ক্যুরিকে। কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর ১৮৯৫ সালে তারা বিয়ে করেন। ১৮৯৮ সালে এই বৈজ্ঞানিক যুগল প্রথম পিচব্লেন্ড থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ পলোনিয়াম এবং পরে রেডিয়াম আবিষ্কার করেন, যা ইউরেনিয়াম থেকে ১০ লাখ গুণ বেশি শক্তিশালী।পদার্থ বিদ্যায় এবং রেডিও-আক্টইভিটিতে অবদানের জন্য ক্যুরি দম্পতি ১৯০৩ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯০৪ সালে পিয়ের ক্যুরি মারা যাবার পর মারি নিজের স্বামীর দেশেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন এবং পিয়ের ক্যুরির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার চেষ্টা করেন। অবশেষে ১৯১১ সালে মারি কুরি পৃথিবীর একমাত্র নারী যিনি দ্বিতীয়বারের মতো এবং ভিন্ন বিষয়ে নোবেল অর্জন করেন। এবার তাঁর বিষয় ছিল কেমিস্ট্রি! ১৯৩৪ সালে লিওকিমিইয়ায় মারা যাবার আগ পর্যন্ত স্বামী পিয়ের ক্যুরির বিভিন্ন রিসার্চ তিনি চালিয়ে যান।
  9. এডওয়ার্ড-সিম্পসন: প্রেমের কারণে সিংহাসন ত্যাগের কথা কল্পকাহিনী মনে হলেও গেল শতকেই ঘটেছে এ বিস্ময়কর ঘটনা। তাও আবার যে সেই রাজা নয় খোদ ইংল্যান্ডের রাজা। ১৯৩৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর প্রিন্স এডওয়ার্ড অষ্টম এডওয়ার্ড উপাধি ধারণ করে সিংহাসনে বসেন। লন্ডনের এক পার্টিতেই তাঁর সাথে দেখা হয় মার্কিন নারী ওয়ালিস সিম্পসনের সাথে। প্রথম দেখাতেই গভীরভাবে তাঁর প্রেমে পড়েন প্রিন্স এডওয়ার্ড। তখন টালমাটাল সময়। জার্মানিতে নাৎসিদের উত্থান ঘটছে। অথচ রাজদরবারের সদস্যদের এড়িয়ে চলেন রাজা। ফলে ব্রিটেনবাসী সিম্পসনকে জার্মান গুপ্তচর মনে করত। পরপর দুইবার তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় সিম্পসনকে বিবাহ করা ছিল ব্রিটেনের আইনে রাজার জন্য নিষেধ। এডওয়ার্ডের সামনে ছিল ৩টি পথ। সিম্পসনকে ত্যাগ করা, সরকারের কর্মচারীদের একযোগে পদত্যাগের সম্ভাবনা ও সিংহাসন ত্যাগ করা। ভালবাসার কাছে পরাস্ত হয়ে এডওয়ার্ড মাত্র ৩২৫ দিন রাজত্ব করার পর রাজ্য ও রাজত্ব ত্যাগ করেন। এরপরে চলে আসেন ফ্রান্সে। এখানেই বিয়ে হয় এই জুটির। প্রিন্স এডওয়ার্ড মারা যান ১৯৭২ সালে। ওয়ালিস ১৯৮৬ সাল অবধি বেঁচে ছিলেন।

Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *