পেশাদার যেভাবে হয়ে উঠবেন

বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচে চাকুরী নামক সোনার হরিণটার নাগাল পাওয়ার পরে প্রথম বেশ কিছুদিন ভালোই কাটে। চাকরীটা মনঃপূর্ত না হলে এরপরে ক্রমশ শুরু হয় একঘেয়েমি, বাড়তে থাকে ক্লান্তি। তাই, পেশা যেহেতু সারাজীবনের সঙ্গী তাই নিজের জন্য সঠিক পেশা নির্বাচন করা খুব প্রয়োজন। প্রায় দেখা যায় অনেকে অন্যদের প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে ভুল পেশা নির্বাচন করে হোঁচট খেতে থাকেন। একটা পর্যায়ে গিয়ে পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে, সেখান থেকে বেরিয়ে অন্য পথে হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে, বাকি জীবনটা তখন বোঝা বয়ে বেড়ানোর মতো ওই পেশা নিয়ে চলতে হয়। সমস্যা হল অনেকেরই অনেক বিষয়ে আগ্রহ বা দক্ষতা থাকার ফলে সহজে বুঝে উঠতে পারেন না কীভাবে নিজের উপযুক্ত পেশা নির্বাচন করবে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবে। এমন সমস্যা যাদের তাঁদের জন্য রইল একটা সহজ পদ্ধতি:
১. সর্ব প্রথম, নিজের পছন্দের বিষয়, অর্থাৎ, যে যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে এবং যা যা করতে আপনার ভালো লাগে, বা সেটার প্রতি প্রবল আগ্রহ আছে তার একটা তালিকা তৈরি করুন।
২. তালিকা খুব বড় হলে, ওই বিষয়গুলির মধ্যে যেগুলো সব থেকে ভালোবাসার সেগুলো বেছে নিন। তারপরেও বাছা-বাছি নিয়ে কনফিউশনে থাকলে, যে বিষয়গুলোর সঙ্গে সব থেকে বেশি সময় কাটাতে পারবেন বলে মনে করেন সেগুলিকে বেছে নিন।
৩. সর্ট লিস্টে থাকা আগ্রহের বিষয়গুলো কোন কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত তা বিশদভাবে ক্ষতিয়ে দেখুন। ভবিষ্যতে চাকুরীর বাজারে পেশাগুলোর চাহিদা কতটা থাকবে অনুমান করে, পাশাপাশি কি কি বাধা আসতে পারে এবং সেগুলো কীভাবে অতিক্রম করা যায় সে বিষয়ে ধারণা অর্জন করার দরকার। এছাড়া বর্তমান ও ভবিষ্যতে পেশাগুলোর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর মান বাজারে কী রকম থাকবে তা জেনে নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে সে সব পেশায় যুক্তদের কাছে থেকে তথ্য নিন।
৪. নিজের আর্থিক চাহিদা কতটা, সে বিষয়ে নিজেরই পরিষ্কার ধারণা থাকার দরকার। এবার কোন পেশায় কতটা অর্থ উপার্জন করা যায়, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করুন। যাচায় করুন কোন পেশা কতটা আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে।
৫. প্রত্যেকটা পেশার একটা নির্দিষ্ট ওয়ার্ক কালচার থাকে। আপনার পছন্দের পেশার ওয়ার্ক কালচার সম্বন্ধে খোঁজ খবর নিয়ে দেখুন, আপনি ওই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারবেন কি না।
৬. অনেক পেশায় শরীরের নির্দিষ্ট মাপ বা সক্ষমতা দরকার হয়, সে বিষয়গুলো আগেভাগে জেনে নেওয়া দরকার। না হলে সব প্রস্তুতি পণ্ডশ্রম হতে পারে।
৭. সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথায় কোথায় ওই বিষয়ে পড়াশোনার সাথে সাথে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের ভালো ব্যবস্থা আছে সেটাও জানাটা জরুরি।
আশা করা যায় উপরোক্ত ধাপগুলি অনুসরণ করলে খুব সহজে নিজের পছন্দের পেশা নির্বাচন করা যাবে। এবং সেখানে জব সাটিসফেকশানের সাথে সাথে থাকবে পেশাদারিত্বের উৎকর্ষতা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *