মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে কমলা হ্যারিসের নাম।
যদিও এখন পর্যন্ত ভারতীয়-জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত এই ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তার আগেই জনমত সমীক্ষায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি হবেন মার্কিন মুল্লুকের ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
আধা ভারতীয়, আধা জ্যামাইকান। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্টও বটে। মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে কমলাদেবী হ্যারিস সংক্ষেপে কমলা হ্যারিস কখনই তার নিজের শিকড়কে ভোলেননি। সত্যি বলতে ভুলতে চাননি কখনো। আত্মকথায় লিখেছেন, ‘শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে- এই পরিচয়টুকুর থেকে বড় কোনো সম্মান পৃথিবীতে হতে পারে বলে আমি বিশ্বাসই করি না।’ আমেরিকা যখন সিভিল রাইটস আন্দোলনে উত্তাল, তখনই আস্তে আস্তে বড় হচ্ছেন কমলা। বাবা-মা সেই ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে হাঁটতেন মিছিলে, জড়ো হতেন বিভিন্ন জমায়েতে। কমলা জানাচ্ছেন, তার একেবারে ছোটবেলার ঝাপসা স্মৃতির মধ্যে আছে চারদিকে অসংখ্য পা হেঁটে চলেছে সারিবদ্ধভাবে। আর সেই মিছিল থেকে নানারকম স্লোগান উঠছে। মা শ্যামলা জানিয়েছিলেন, তার বড় মেয়েটি অর্থাৎ কমলার মুখে যখন সবে বুলি ফুটেছে, তখন সে মাঝে মাঝেই কান্নাকাটি করত আর কী চাই জিজ্ঞাসা করলে ঠোঁট ফুলিয়ে আধো আধো গলায় বলত, ‘ফিদম’।
বাবা ডোনাল্ড জে হ্যারিস জামাইকান বংশোদ্ভূত আর মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান। কমলা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এবং দক্ষিণ এশিয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। এবং দুবছর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০২০ সালে বর্ণবিদ্বেষের উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই তাকে বেছে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। যা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই স্বীকৃতির কৃতিত্ব কমলা দিয়েছেন তার মা শ্যামলা গোপালনকে। এন্ডোক্রিনোলজি নিয়ে গবেষণার জন্য শ্যামলা পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকা। সেখানে বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করেন তিনি। এর পর ভারতে ফিরে সম্বন্ধ করে পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করার কথা ছিল শ্যামলার। কিন্তু তার বদলে তিনি আমেরিকায় শুধু থেকে গেলেন, তা-ই নয়, জড়িয়ে পড়লেন সেখানকার নাগরিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে। বিয়ে করলেন ডোনাল্ড হ্যারিসকে। আদতে জামাইকা (তখনো ব্রিটিশ উপনিবেশ) থেকে ষাটের দশকের একদম শুরুতে আমেরিকায় গিয়ে থিতু হন ডোনাল্ড। ডোনাল্ডও আমেরিকায় পড়তে গিয়েছিলেন শ্যামলার মতো। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন অর্থনীতির ছাত্র। তিনিও স্ত্রীর সঙ্গে একই আন্দোলনের শরিক হন। ডোনাল্ড-শ্যামলার বড় মেয়ে কমলার জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে, ১৯৬৪-র ২০ অক্টোবর। কমলার যখন সাত বছর বয়স, তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান শ্যামলা। তবে দুই বোনেরই তাদের বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বাবার কাছে ছুটি কাটাতেও যেতেন তারা।
মায়ের পাশাপাশি কমলার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন তার নানা, পিভি গোপালন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী গোপালন পরে উচ্চপদস্থ আমলার পদে আসীন ছিলেন দীর্ঘদিন। গোপালনের মতোই দৃপ্ত ছিলেন তার বিজ্ঞানীকন্যা শ্যামলাও। স্তন ক্যানসার নিয়ে গবেষণার জন্য পৃথিবীর নানা দেশে ঘুরেছেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে যেতেন মেয়েদেরও।
মায়ের কাজের জন্য কমলার ছাত্রীজীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে কানাডার কুইবেক শহরে। কুইবেকে একটি হাসপাতালে গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন শ্যামলা। কুইবেকের ছাত্রীজীবনের পর হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন কমলা। মায়ের সঙ্গে কমলা ও মায়া থাকতেন ক্যালিফোর্নিয়ার অশ্বেতাঙ্গ প্রধান একটি এলাকায়। ডক্টরেট সম্পূর্ণ করেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হেস্টিংস কলেজ অব দ্য ল’ থেকে।
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পাশাপাশি হাওয়ার্ডে নিয়মিত বিতর্কসভায় অংশ নিয়ে বাগ্মী হয়ে ওঠেন কমলা হ্যারিস। ছোট থেকে তার স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হওয়ার। সে স্বপ্ন তিনি পূরণ করেছেন। দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন আইনজীবী হিসেবে। তিনি বরাবর সরব হয়েছেন মৃত্যুদন্ডের বিরোধিতা করে।
১৯৯০ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামেডা কাউন্টির ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দায়িত্ব পান। এর পর ২০১০ সালে কমলা ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। প্রথম মার্কিন-আফ্রিকান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় বংশোদ্ভূত হিসেবে তিনি এই দায়িত্বে সম্মানিত হন। সাত বছর সানফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এবং তার পর ক্যালিফর্নিয়ায় ছয় বছর অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার পর ২০১৬ সালে প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা সিনেটর হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত হন কমলা।
নিয়মিত শরীরচর্চা এবং তৃপ্তি করে খাওয়াদাওয়া পছন্দ করেন তিনি। রান্না করতেও খুব ভালোবাসেন। রান্নায় তার সঙ্গী হন, স্বামী ডগলাস এমহফও। পেশায় আইনজীবী ডগলাসকে পঞ্চাশ বছর বয়সে বিয়ে করেন কমলা। তার কথায়, ডগলাস খুবই ভালো রান্না করেন। তারা দুজনে এই রান্নাপর্ব খুব উপভোগ করেন। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সময়ও আসে, যখন রান্না করার সময় থাকে না। তখন মনের চাপ কাটাতে বিভিন্ন পদের রেসিপি পড়েন মার্কিন রাজনীতির মানচিত্রে নতুন তারা কমলা হ্যারিস।
নিজেকে একজন গর্বিত মার্কিন নাগরিক ভাবতে ভালোবাসেন। মায়ের দেখিয়ে যাওয়া পথই তার মূল জীবনদর্শন, এ কথা বহুবার বলেছেন তিনি। মেনে চলেন মায়ের অমোঘ বাণী, ‘তোমার কাজে তুমি প্রথম হতে পারো। কিন্তু দেখো যেন এই পথে তুমি-ই শেষ ব্যক্তি না হও।’
আপাতত মার্কিন তথা বিশ্বরাজনীতির নজর এই শতদলের বিকশিত হওয়ার দিকেই। যিনি রাজনৈতিক জীবনে বর্ণবৈষম্যের বহু কটাক্ষ সহ্য করেও নিজেকে করে তুলতে পেরেছেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
যে কারণে জিততে পারেন কমলা হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পায়নি। হিলারি ক্লিনটন খুবই প্রতিশ্রুতিশীল একজন প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে সে সময় মার্কিন দেশে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ যে পরিস্থিতি ছিল, সেটাও তার জয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কমলা হ্যারিসের পারিবারিক পরিচয়ে কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয়, শ্বেতাঙ্গ- সব ধরনের প্রতিনিধিত্ব আছে বলে অনেকে মনে করছেন, তিনি একজন শক্ত প্রার্থীই হবেন। জিততে হলে কমলাকে ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের নারী, কৃষ্ণকায়, লাতিন ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে হবে। সাম্প্রতিক দেখা গেছে, বাইডেন এই চার গ্রুপের সমর্থনই হারাচ্ছিলেন। কমলার নাম ঘোষণার পর সেই অবস্থা বদলানো শুরু হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে কমলার অভিজ্ঞতার কোনো কমতি নেই। ডেমোক্রেটিক পার্টি নানা মত ও পথে বিভক্ত। এর অধিকাংশ সমর্থক মধ্যপন্থি অথবা ডানঘেঁষা, অন্যরা বামঘেঁষা। নানা প্রশ্নে তাদের মধ্যে শুধু মতভেদ নয়, ঠোকাঠুকি রয়েছে। দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে আগ্রহী- এমন লোকের হয়তো অভাব ছিল না। কিন্তু বাইডেন কমলার নাম অনুমোদনের পর সেসব প্রার্থীর সবাই একে একে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কমলা একদিকে তার দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে বিপুল উৎসাহ সঞ্চারে সক্ষম হয়েছেন। মাত্র দুই দিনে ডেমোক্রেটিক পার্টি ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের সঙ্গে চাঁদা সংগ্রহের ব্যাপারে যতটুকু পিছিয়ে ছিল, তা দূর করতে সক্ষম হয়েছে। কমলার সম্ভাব্য জয়ের আরেক কারণ, গাজা প্রশ্নে তার গুণগত ভিন্ন অবস্থান। ইসরায়েল-তোষণ নীতির জন্য গাজা প্রশ্নে আরব, মুসলিম ও তরুণদের বিরোধিতার কারণে বাইডেন বেকায়দায় ছিলেন। কমলা সরাসরি ইসরায়েলের বিরোধিতা করেননি, তেমন বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রে কারও পক্ষে নির্বাচনী রাজনীতি করা অসম্ভব। সেই বিবেচনা মাথায় রেখে সাবধানে পা ফেলেছেন কমলা। তিনি ইসরায়েলের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণের বদলে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত গণহত্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। গত ডিসেম্বরে দুবাইতে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে তিনি ইসরায়েলি হামলায় অস্বাভাবিক বেসামরিক মানুষ, বিশেষত শিশুহত্যার নিন্দা করেন। এ বছর মার্চে তিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি তোলেন, তা সে সময় বাইডেন প্রশাসনের অনুসৃত নীতির বিপরীত। গাজা প্রশ্নে নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান প্রমাণের জন্য কমলা মার্কিন কংগ্রেসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ভাষণেও অনুপস্থিত ছিলেন।
প্রধানত যে কারণে কমলা হ্যারিস আগামী নভেম্বরে জয়লাভ করতে পারেন, তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের ট্রাম্পের প্রতি বিরাগ। দেশটির অধিকাংশ মানুষ তাকে চান না। বাইডেন দুর্বল প্রার্থী ছিলেন, তার তুলনায় ট্রাম্পকে অধিক শক্তিশালী মনে হয়েছিল। কিন্তু কমলার মতো একজন প্রার্থী থাকলে হাওয়া যে বদলে যেতে পারে, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস- কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট- নভেম্বরই বলে দেবে।
কমলা ঠেকাও তিন ইস্যু নিয়ে ট্রাম্প শিবির
কমলাকে ‘উগ্র’ বামপন্থি বলছেন ট্রাম্প: ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন সিনেটর কমলা হ্যারিস। সে সময় তাকে কিছু ভুল ও অসমীচীন কথাবার্তা বলতে দেখা গেছে। ওই সময় তিনি অন্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর মতো বামপন্থার দিকে ঝুঁকেছিলেন।
এখন তার সে অবস্থানগুলোকেই সামনে টেনে এনে আক্রমণ করছে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘মিট সানফ্রান্সিসকো র্যাডিকেল কমলা হ্যারিস।’ এতে ওই সময়ে কমলা হ্যারিস যেসব নীতিমালাকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তার অনেকগুলোই তুলে ধরা হয়েছে।
বাইডেনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা: কমলা হ্যারিস যেহেতু বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনেরই ভাইস প্রেসিডেন্ট, সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে দায় তার ওপরও বর্তায়- সেটি ভালো কাজ হোক কিংবা খারাপ।
রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যে অভিবাসনসংক্রান্ত ইস্যুটিকে তার (কমলা) গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা তাকে প্রশাসনের ‘বর্ডার জার’ বলে উল্লেখ করছেন, যা সঠিক নয়। রিপাবলিকানরা এ ক্ষেত্রে ২০২২ সালে কমলা হ্যারিসের একটি সাক্ষাৎকারে অভিবাসন নিয়ে তার বক্তব্য প্রচার করছে। তখন কমলা বলেছিলেন, ‘সীমান্ত নিরাপদ আছে।’
কৌঁসুলি থাকাকালে কমলার ভূমিকা: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসমাবেশে কমলা হ্যারিস আদালতের কৌঁসুলি এবং ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বিভাগের সঙ্গে তার কাজ করার যে অভিজ্ঞতা আছে, তা তার সুপারপাওয়ার। ২০১৯ সালে ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রচারের সময় কমলা তার এ ক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেননি। সে সময় পুলিশ বিভাগে সংস্কার আনার ইস্যুটি আলোচনার শীর্ষে ছিল।
ট্রাম্পের প্রচার শিবিরও ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা কমলাকে এই ইস্যুতে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
ট্রাম্পের প্রচার শিবিরও কমলাকে ঠেকাতে কৌঁসুলি হিসেবে কমলার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সব মিলিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহ কমলা হ্যারিস কীভাবে কথা বলছেন, কীভাবে অতীতে প্রচার চালিয়েছেন- এসব বিষয় ঘুরেফিরে সামনে আসবে। কমলা হ্যারিস এসব বিষয় কীভাবে সামলাচ্ছেন তার ওপরই আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে তার সাফল্য নির্ভর করবে।
Leave a Reply