টিকটক কি?
সঙ্গীত ভিডিও প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক। চীনে এই অ্যাপ ‘ডুইয়িন’ নামে পরিচিত। সেপ্টেম্বর ২০১৬ তে চালু করা হয়েছিল। টিক টকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং।
টিকটক বর্তমানে এশিয়ার নেতৃস্থানীয় ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় সঙ্গীত ভিডিও কম্যুনিটি হিসেবে এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অ্যাপটি ২০১৮ সালের জুন মাসে ১৫০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফকে (৫০০ মিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী) পৌঁছেছে, এবং ২০১৮ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ্লিকেশন ছিল, আনুমানিক ৪৫.৮ মিলিয়ন ডাউনলোডের হয়।
টিকটক ইউটিউবের পর্থক্য
আমার মতে বিষয় ভিডিও শেয়ারিংয়ের বিচারে তা হবেনা। কারণ ইউটিউব এবং টিকটক দুইটাই ভিডিও শেয়ারিং সাইট হলেও, টার্গেট অডিয়েন্স এক নয়।
• ইউটিউব এবং টিক টক এর ভিডিও এর রেশিও সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইউটিউবের মেক্সিমাম কন্টেন্ট হরিজন্টাল মুডে ধারণ করা হয়। ভিডিও শেয়ারিং এবং স্ট্রিমিং এর ভবিষ্যৎ এখানেই। এই ফর্মেটে বিভিন্ন রেশিওর ভিডিও দেখা যায়। কিন্তু টিক টকে ভার্টিকাল মুডে রেকর্ড করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।
• ইউটিউবে ভিডিওর রেজুলেশন পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু টিক টকে তা নেই। এছাড়া টিক টকের কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা যখন কন্টেন্ট বানায় তারা এসবে পাত্তা দেয়না।
• ইউটিউবের জন্য অনেক কন্টেন্ট নির্মাণ হলেও টিকটকের তা নেই।
• টিক টকের সার্চ ইঞ্জিন ইউটিউবের ধারে কাছেও নেই। টিকটক ভিডিও’র টাইটেল না থাকায় এগুলো সার্চ ফ্রেন্ডলি নয়।
• টিকটকে ১৫ সেকেন্ড এর বেশী ভিডিও শেয়ার করা যায়না। ইউটিউব এর ক্ষেত্রে আনলিমিটেড বলা যেতে পারে।
মিউজিক্যালি, ডাবম্যাশ সহ অনেক ভিডিও শেয়ারিং সাইট জনপ্রিয়তা পেলেও এগুলো কিন্তু টিকতে পারেনি। তাদের চেয়েও টিকটক বেশী জনপ্রিয় হলেও টিকটক ইউটিউবের কাছে হার মানবে উপরোক্ত প্রযুক্তিগত অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে!!!
Leave a Reply