ইন্ট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখীদের ইন্টারভিউ
মনোবিজ্ঞান অনুসারে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যাই ইন্ট্রোভার্ট। নিয়োগকর্তারা সাধারণত উৎফুল্ল চাকুরীপ্রার্থী খোঁজেন। কিন্তু যারা অন্তর্মুখী তারা কী করবেন?
অনেক মানুষ মনে করে ইন্ট্রোভার্ট হওয়া একপ্রকার অক্ষমতা, কিন্তু এটি ভুল ধারণা। এক্সট্রোভার্ট হওয়ার বিপরীত পাশটাই হলো ইন্ট্রোভার্ট। ইন্ট্রোভার্ট মানুষগুলো হয় অদ্বিতীয় এবং অধিকাংশই সৎ। অনেকে মনে করে, ইন্ট্রোভার্টরা কারো তত্ত্বাবধানে খুব অল্পই কাজ করতে সক্ষম হন। তাদের মতে, ইন্ট্রোভার্ট মানুষদের জন্য সকল চাকুরীর পরিবেশ অনুকূল হয়ে উঠে না। তাদের নিজেদের আপন জগত বাঁধা প্রাপ্ত হলে কাজ সহজ ভাবে সম্পন্ন করাটা সহজ হয় না। ‘ইন্ট্রোভার্ট’ বা ‘অন্তর্মুখী’ শব্দটির একটি বিশেষ তাৎপর্য আছে। এই শব্দটি আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে থাকি। ইন্ট্রোভার্টের সাথে আরেকটি শব্দ ব্যবহার করা হয়, আর তা হলো ‘লাজুক’। মূলত ইন্ট্রোভার্ট হলেই যে লাজুক হতে হবে তার কোনো মানে নেই। অন্তর্মুখীরা ইন্টারভিউতে কঠিন সময় পার করেন। অন্তর্মুখী ব্যক্তিদের অনেকেরই চাকরী খুঁজতে গিয়ে স্নায়ুচাপ বেড়ে যায়, কিন্তু চলমান মিথস্ক্রিয়া এবং সর্বদা চলমান থাকা জরুরী হতে পড়ে।
জানুন আপনার শক্তিকে
এক্সট্রোভার্টদের তুলনায়, ইন্ট্রোভার্টদের নিজেকে মেলে ধরার সম্ভাবনা কম থাকে। এই বিষয়টি গভীরভাবে তাদের অনান্যশক্তি বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিজস্ব শক্তিসমর্থ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আপনাকে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে নিরপেক্ষভাবে কথা বলতে সাহায্য করবে। আত্মবিশ্লেষনের মাধ্যমে এই কাজটি শুরু করুন।
অনুশীলন, অনুশীলন এবং অনুশীলন
ইন্ট্রোভার্টদের একটি সাধারণ সমস্যা এই যে তারা এক্সট্রোভার্টদের মত কথা বলতে পারেন না। এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার মূল চাবি হলো অনুশীলন, অনুশীলন এবং অনুশীলন। ইন্টারভিউতে যে ধরণের প্রশ্ন হতে পারে তার সম্ভাব্য একটা তালিকা তৈরি করে তা অনুশীলন করুন।
সাক্ষাৎকার কিন্তু দ্বিমুখী হয়
ইন্টারভিউ জিজ্ঞাসাবাদ নয়, আলাপচারিতা ভাবুন। ইন্টারভিউতে নিয়োগকর্তা যখন বোঝার চেষ্টা করবে, আপনার যোগ্যতা তাদের পদের জন্য যথোপযুক্ত কিনা, আপনার এটা বোঝানো গুরুত্বপূর্ণ যে এই চাকরী, প্রতিষ্ঠান এবং ম্যানেজমেন্ট আপনার জন্য যথোপযুক্ত। এটা মাথায় রেখে ইন্টারভিউতে কম চাপ দিন এবং ভয় পাওয়ার পরিবর্তে আপনার কর্মদক্ষতা বাড়াতে মনোযোগ দিন।
নিজেকে সময় দিন, থাকুন চাপমুক্ত
ইন্ট্রোভার্টরা শেষ পর্যন্ত এক্টিভ হয়। তাই পর পর ইন্টারভিয়ের শিডিউল নিবেন না। প্রতিটি ইন্টারভিউয়ের পর নিজেকে চাপমুক্ত ও সতেজ হওয়ার জন্য সময় দিন। এমনকি, ইন্টারভিউয়ের স্কিল বাড়ানোর জন্য প্রতিটি ইন্টারভিউ বোঝার জন্য সময় নিন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কোনগুলো ভালো ছিল, কোনগুলো ছিল না এবং পরবর্তীতে কীভাবে ভালো করবেন।
Leave a Reply