ইন্টারভিউয়ে কিস্তিমাত

ইন্টারভিউয়ে কিস্তিমাত

কথায় আছে, যার শেষ ভালো তার সব ভালো। একদমই সত্যি কথা। শেষটাই যদি ঘেঁটে যায়, তাহলে পুরো পরিশ্রমটা বৃথা। তাই শুধু লিখিত পরীক্ষায় কামাল দেখালেই চলবে না, বাজিমাত করতে হবে ইন্টারভিউতে।
কিন্তু অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এই শেষ ধাপে এসে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে না। ব্যস সব তালগোল পাকিয়ে ফেলে। আবার দেখা যায়, প্রথম সারির ছেলে-মেয়ে না হয়ে ইন্টারভিউয়ে ছক্কা মেরে ইন্টারভিউ বোর্ডে পরীক্ষকদের নজর কাড়তে অনেকেই ব্যর্থ হয়। মজার ব্যাপার কয়েকটা ছোট ছোট বিষয়ে নজর দিলেই ইন্টারভিউতেও সেঞ্চুরি হাঁকানো যায়।

ফর্মাল পোশাক:
ছেলের ক্ষেত্রে শার্ট ও প্যান্ট। পায়ে অবশ্যই জুতো। দাড়ি নয়। মেয়েদের ফর্মাল শাড়ি, শার্ট-প্যান্ট কিংবা চুড়িদার পরা যেতে পারে। হালকা মেকআপ চলতে পারে। জামার রং সাদা কিংবা হালকা হলেই ভালো।

নক করে ও হ্যান্ডশেক:
ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার আগে নক করতে হবে। এবং স্যার বা ম্যাডাম আসবে কি না, তা জিজ্ঞেস করা জরুরি। ঢুকেই সকলকে সালাম, গুড মানিং বা গুড আফটার নুন বলা। সকলের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা দরকার।

বসতে বললে বসবে:

যাঁরা ইন্টারভিউ নেবেন, তাঁরা বসতে বলার পর আস্তে করে চেয়ার সরিয়ে বসবে। ব্যাগ থাকলে তা চেয়ারের পাশে রাখবেন।

আস্তে কথা বলা:
উত্তর দেওয়ার সময় আস্তে কথা বলা জরুরি। স্পষ্টভাবে যাতে সকলে শুনতে পায়। তাড়াতাড়ি উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একটা উত্তর শেষ করে অন্যটা দিবেন।

না জানলে বলে দেওয়া:
উত্তর না জানা থাকলে প্রথমেই তা স্বীকার করা। না জেনে চালাকি করে উত্তর দিতে গেলে তা নেগেটিভ মার্কিং হবে। অনেক সময় প্রশ্ন না বুঝলে জিজ্ঞেস করুন। এতে পরীক্ষকরাও খুশি হন।

সকলের চোখের দিকে:

যিনি প্রশ্ন করবেন, প্রথমে তাঁর দিকে চোখ রেখে উত্তর দেওয়ার শুরু করবেন, পরে সকলের দিকে চেয়ে কথা শেষ করবেন। এর ফলে উত্তর যে সকলকে শোনাতে চায়ছেন, তা তাঁরা বুঝতে পারবেন।

একটি ভাষায় উত্তর: ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে তাতেই উত্তর দেওয়া ভালো। বাংলায় করলে বাংলায় বলার সময় কোনওভাবেই ইংরেজি বলা ঠিক নয়।

চুপ থাকাটা জরুরি:
ইন্টারভিউ চলার সময় যদি পরীক্ষকরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন, তখন চুপ থাকা ভালো। যখন তাঁরা কিছু জিজ্ঞেস করবেন, তখনই কথা বলা উচিৎ।

ক্যাজুয়াল নয়:

সোজা হয়ে বসবেন। হাত সব সময় টেবিলে নয়। কখনওই ক্যাজুয়াল যেন মনে না হয়।

শেষেও থ্যাঙ্ক ইউ:
শেষ হওয়ার পর সকলকে উঠে দাঁড়িয়ে থ্যাঙ্ক ইউ বা সালাম দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিৎ। দরজা আস্তে করে খুলে কন্ধ করুন।

টোটকা

অল্প কথায় কিন্তু যুক্তি দিয়ে বলা।
উত্তর দিতে বেশি সময় নয়।
রেজাল্ট দেখতে চায়লেই দেখাবেন।
টেনশন প্রকাশ করবেন না। পানি না খাওয়াই ভালো। হালকা হাসি মুখ রাখলে ভালো হয়।
মোবাইল যেন সাইলেন্ট মুডে থাকে।
প্রশ্ন শেষ হওয়ার পর উত্তর। পরীক্ষকের কথা বলার মাঝখানে কথা নয়।
প্রশ্নের উত্তর বোঝাতে কাগজ লাগালে তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *