ইন্টারভিউতে যা করা যাবে না
চাকরির উদ্দেশ্যে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইন্টারভিউয়ের সময় বিশেষ কিছু দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয় ওই মুহূর্তেই, নয়তো সাধারণ ভুলের কারণেই চাকরি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
চাকরি ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে পুঁথিগত যোগ্যতার পাশাপাশি ইন্টারভিউদাতার ব্যক্তিত্বও বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই নিজেকে সেভাবেই উপস্থাপন করতে হবে।
দেরিতে পৌঁছানো: সঠিক সময়ে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। কারণ প্রথম দিনই যদি দেরি করে ফেলেন তাহলে আপনার উপর নির্ভর করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ জাগতে পারে। যদি নির্ধারিত সময়ের দেরিতে পৌছান তাহলে কাজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না, এমন ধারণাও তৈরি হতে পারে।
সঠিক পোশাক বাছাই: যদি জিন্স এবং টি-শার্ট পরে যান তাহলে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই ইন্টারভিউয়ের জন্য সঠিক পোশাক বেছে নিয়ে তবেই তৈরি হয়ে নিতে হবে।
অতিরিক্ত ভয় পাওয়া: ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবে ভয় যদি এতটাই জেঁকে বসে যে আপনি কোনো উত্তরই ঠিকভাবে দিতে পারছেন না তাহলে কোনোভাবেই ওই কাজের জন্য নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবেন না। তাই প্রথমেই নিজের মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। নাহলে ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত সবার ধারণা হতে পারে যে আপনি চাপ নিয়ে কাজ করতে পারবেন না এবং জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবেন।
মিথ্যা বলা: জীবনবৃত্তান্তে দেওয়া ভুল তথ্য প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পরলেও পরে তা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই সব সময় জীবনবৃত্তান্তে সঠিক তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া ইন্টারভিউয়ের সময়ও সব সঠিক তথ্য দেওয়া জরুরি।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা: চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় কোনোভাবেই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আর্থিক অবস্থা, কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলাপ করা যাবে না। এই সময় কর্মদক্ষতা নিয়ে আলাপ করাই সব থেকে কার্যকর।
দুর্বলতা আড়াল করা: অনেক সময় দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। যদি তা আপনি পুরাপুরি আড়াল করে যান তাহলে পরে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই এ ধরনের প্রশ্ন করা হলে সোজাসাপ্টা উত্তর দিন। কারণ এতে মানসিক পরিপক্বতা প্রকাশ পায়।
চাকরির ইন্টারভিউয়ের উপর আপনার ভবিষ্যতের একটি বড় অংশ নির্ভর করে। তাই ওই দিন এমন কোনো কাজ করা উচিত হবেনা যা আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে।
Leave a Reply